কবিতা/গান

আর খাবো না ক্রাশ

সকালে উঠিয়া ক্লোজআপ দিয়া করিলাম দ্রুত ব্রাশ-

রাস্তার মোড়ে জলদি আসিলাম; এসেই খাইলাম ক্রাশ!

নাম জানি না সুনয়নার, মুখটায় বড় মায়া,

মিনিট পাঁচেক চাহিয়া রইলাম, ভুলিয়া সকল হায়া।

খুঁজিতে লাগিলো সে ব্যস্ত নয়নে সিএনজি বা অটো,

শাওমি দিয়া চুপিচুপি আমি তুলিলাম তাহার ফটো।

ভার্সিটির বাস আসিলে পরে অগত্যা উঠিতে হলো,

বাসে বসিয়াও ভাবছি তারে,ভাবনা এলোমেলো।

ফটোতে তাহার মুখ-খানি দেখি বারেবারে করিয়া জুম,

সুনয়না কাড়িয়া নিলো সাতটি রাতের ঘুম।

মনের কথা শেয়ার করিলাম দোস্ত রাইয়ানের কাছে,

রাইয়ানটা আজকাল কেমন জানি হুজুর হইয়া গেছে।

হোক সে হুজুর,প্রতিবেশী আমার বাল্যকালের সখা,

গিটার-কফির আড্ডায় তার মেলে না এখন দেখা।

“করেছিস ভুল, ভেবে দেখ একটু ঠান্ডা করিয়া মাথা,

মুসলিম হিসেবে দৃষ্টি যে তোর সংযত রাখার কথা!

চোখের জিনা করিসনে আর শুধরে নে তোর ভুল,

হারাম প্রেমে আরাম কভু পাবিওনা একচুল।

কাছে আসার সব নোংরা গল্প ব্রেইন করিয়াছে ওয়াশ?

মরিচীকা সব,সাবধান বন্ধু শেষে পাবি শুধু বাঁশ।”

রাইয়ান হুজুরের লেকচার শেষে ফিরিয়া এলাম বাড়ি,

কত যে স্বপ্ন তারে লয়ে আমি জীবন দেবো পারি!

স্বপ্নে আমার রাইয়ান হুজুর ঢালিয়া দিয়াছে পানি,

কথাগুলো তার সঠিক ছিলো মন থেকে তা মানি।

কলিং বেলের ডাক শুনিয়া, দরজা খুলিয়া দেখি-

সামনে দাঁড়ায়ে সেই মেয়েটি, ঘুম কাড়িছে যার আঁখি!

” বাড়ি ভাড়া হইবে-পোস্টার দেখিয়া কথা বলিতে এলাম,”

শুনিয়া এ কথা আম্মারে আমি তাড়াতাড়ি ডাক দিলাম।

বাড়ি ভাড়া নিয়ে ড্রয়িং রুমে কথা বলিতেছেন তারা,

পাশের রুমে বসিয়া আমি কান রাখিয়াছি খাড়া।

কহিল সে “নাম আমার মুক্তা সরকার,

দুই রুম বিশিষ্ট ভালো একটা বাসা দরকার।

হাজবেন্ড আমার কম্পানিতে করেন চাকুরী,

একটাই মেয়ে দু বছর বয়স নাম তার কস্তুরী।”

এটুক শুনেই মনে মনে আমার বেহুশ হবার দশা,

আক্কেলগুড়ুম,ওষ্ঠ আমার হারিয়েছে সব ভাষা।

রাইয়ানরে তুই ঠিক বলেছিলি, আমিই ছিলাম ভুল,

দৃষ্টি সংযত না রাখাটাই সকল ভুলের মূল।

যাহোক বাপু তাওবা করি, আর খাবো না ক্রাশ,

ভাগ্যে লেখা প্রিয়ার আশে কাটুক বছর মাস।

– আমাতুর রহমান

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

আরও দেখুন
Close
Back to top button