আলো
কলুষ ভেদিয়া তমসা ছেদিয়া গগনে উঠিল শশী।
ত্রাস টুটিয়া লহরি ফাটিয়া আলোকের নব স্ফীতি।
অর্ণব সম অপযশ তমঃ চারিদিকে হুতাশনে
পাতক যেন ঝঞ্ঝার হেন ধরাধামে আঘাত হানে।
মিছা অভিলাষে বিকল বেশে জাহিলিয়াতের যুগ
মিছে বৃথা রোষে রূঢ় কলুষে দিয়ে ছিল ঘোর ডুব।
ছিল মানব হইয়া দানব অন্ধতটে ডুবি
প্রভূত পাপের তীব্র চাপে ন্যুব্জ হচ্ছিল পৃথিবী।
এমন কালে আদমের ভালে জুটিল নবীন রবি,
শর্বরী কেটে বর্বর ছেঁটে ধরা সুবাসিত হ’ল খুবি।
অন্ধ ঘরের বন্ধ দ্বারে মানুষ পেল আলোকের দিশা,
নব উল্লাসে ইসলাম এসে ঘুচাল অমানিশা।
ঘন আধারে ঘোর বাঁধারে ফাটিয়া নবীন আলো
নাহি করে ভয় ইসলামের জয় অনিবার্য হলো।
তমসা বাগানে তিমির গগনে উঠিল সোনালী শশী
অাঁধার টুটে পুষ্প ফুটে ধরা হ’ল স্নিগ্ধ সুবাসী।
তাঁর মায়াতে তাঁর ছোয়াতে মুগ্ধ হয়ে সবাই
কুরআনের বাণী সবে গেল জানি শান্তি এলো ধরায়।
মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ
নলত্রী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।