সুন্নাত ছালাত আদায় রত অবস্থায় ইক্বামত শুরু হলে করনীয় কি?

উত্তর: সুন্নাত বা নফল নামায শুরু করার পর যদি ফরজ নামাযের ইক্বামত হয়ে যায়, তবে একদল বিদ্বান বলেন, তখনই নামায ছেড়ে দিতে হবে। যদিও শেষ তাশাহুদে বসে থাকেন না কেন। আরেক দল বিদ্বান বলেন, ইমামের সালাম ফেরানোর আগেই নিজে তাকবীরে তাহরিমা দিতে পারার সম্ভাবনা থাকা পর্যন্ত নামাজ ছাড়বে না। মত দুটি পরস্পর বিরোধী।
প্রথমটি হচ্ছে: শেষ তাশাহুদে বসে থাকলেও নামায ছেড়ে দিতে হবে।
আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে: আপনি নামায চালাতে থাকেন। কিন্তু যদি আশংকা করেন যে, নামায শেষ করে আপনি তাকবিরে তাহরিমা দেওয়ার আগেই ইমাম সালাম ফিরিয়ে দিবেন, তবে নামায ছেড়ে দিয়ে ইমামের সাথে শমিল হবেন।
কিন্তু বিশুদ্ধ ও মধ্যপন্থী মত হচ্ছে, ইক্বামত দেয়ার সময় আপনি যদি শেষ রাকাআতে থাকেন তবে হালকা করে সেই রাকাআত পূর্ণ করে নিন। আর যদি প্রথম রাকাআতেই থাকেন তবে নামায ছেড়ে দিন।
কেননা নবী (ছা:) বলেন, “যে ব্যক্তি এক রাকাআত নামায পেল, সে নামায পেয়ে গেল” (বুখারী ও মুসলিম)। যখন আপনি ইক্বামতের পূর্বে এক রাকাআত ছালাত পড়েছেন, তখন নিষিদ্ধ সময়ের আগেই পড়ে নিয়েছেন। আর যে এক রাকাআত নামায পড়ে নিয়েছে সে পূর্ণ নামাযই পেয়েছে। কিন্তু অবশিষ্ট নামায সে হালকাভাবে আদায় করবে। কেননা নফল নামাযের এক অংশ পাওয়ার চাইতে ফরজ নামাযের এক অংশ পাওয়া অনেক উত্তম। কিন্তু আপনি যদি প্রথম রাকাআতেই থাকেন তবে তো পূর্ণ নামায পাওয়ার সময়ই পেলেন না। কেননা নবী (ছা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এক রাকাআত নামায পেল, সে নামায পেয়ে গেল”। অতএব এ অবস্থায় আপনি নামায ছেড়ে দিবেন। কেননা নবী (ছা:) বলেছেন, “যখন কোন নামাযের ইক্বামত দেওয়া হয়; উক্ত ফরজ নামায ছাড়া আর কোন নামায নেই” (মুসলিম)।
– শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
islam