ভালোবাসাই সব অজুহাত ছাড়িয়ে আল্লাহর পথে এগিয়ে যেতে আপনাকে সাহায্য করবে
ভালোবাসা! সবাই চায় তাকে মানুষ ভালোবাসুক। যে ভালোবাসা পায় সে সত্যি ভাগ্যবান। কারণ সবার ভাগ্যে ভালোবাসা জুটে না। ভালোবাসার এক অন্য রকম শক্তি আছে। মানুষকে দিয়ে এটা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব এমন অনেক কাজও করিয়ে নিতে পারে। এই ভালোবাসার জন্য কিছু মানুষ জীবনও দিয়ে দেয়।
আমার পরিচিত এক বোন যিনি কোনোদিন বিয়ের আগে রান্নাঘরে যায়নি সে জামাইকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে ঘন্টার পর ঘন্টা চুলার সামনে গরমের মধ্যে কাজ করে যায় নিজের ইচ্ছায় এবং খুশি হয়ে। এক ভাইকে চিনি যিনি আরাম প্রিয় ছিলেন,নিজের দুনিয়া নিয়ে থাকতেন, কিন্তু বিয়ের পর যখন সংসারের দ্বায়িত্ব কাঁধে আসল, দিন রাত পরিশ্রম করে উপার্যন করতে লাগলেন। বাবাকে পর্যন্ত চাকরী করতে দিতে চান না। নিজে কষ্ট হলেও ভালোবাসার মানুষদের সুখে রাখতে চান!
সব মেয়েরাই যখন মা হন, নিজে ভীতু হলেও বাচ্চার জন্মের পর সন্তানের ভালোর জন্য যে কোনো কাজ করতে রাজী থাকেন। একজন বাবা বাচ্চার মুখের হাসি দেখে সব কষ্ট ভুলে যেতে পারেন। এতো গেলো সব হালাল ভালোবাসা। হারাম ভালোবাসার জন্য মানুষ যে কতো পাগলামি করে তা বাদই দিলাম।
আমরা প্রায়ই বলি গরম লাগে তাই হিজাব পরতে পারি না, দাড়ি রাখলে সবাই বয়ষ্ক বা জঙ্গী ভাবে তাই রাখি না, ফজরের জন্য ঘুম ভাঙে না তাই ইচ্ছা থাকলেও পড়তে পারি না। পড়ালেখার এতো চাপ বা এতো কাজ করি সারাদিন যে কুর’আন পড়ার সময় পাই না, ইসলাম নিয়ে পড়ার সময় কই? স্কুল কলেজ ভার্সিটির পড়া পড়েই সময় পাই না ইত্যাদি কতো যে অজুহাত আমাদের তা গুনে শেষ করা যাবে না!
কিন্তু এর সব সমস্যার একটা সহজ সমাধান আছে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন সমাধান টা কি? হ্যাঁ, সমাধান হচ্ছে ভালোবাসা। আপনি যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা) কে নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসতে পারবেন তখনই সব সহজ হয়ে যাবে। এই ভালোবাসাই সব অজুহাত ছাড়িয়ে আল্লাহর পথে এগিয়ে যেতে আপনাকে সাহায্য করবে। যিনি না চাইতেই আমাকে এতকিছু দিয়েছেন তাকে না ভালোবাসার পেছনে কী যুক্তি থাকতে পারে আমাদের?
– শরীফ আবু হায়াত অপু