জীবনের বাঁকে বাঁকে

শরীর দেখিয়ে যৌন উদ্দীপনা ছড়িয়ে পুরুষকে আকৃষ্ট করে থার্ড ক্লাস শ্রেণির মেয়েরা

বিয়ে করার আগে হুশ থাকে না, মডেলের মতো সুন্দরী কন্যা, সবার ক্রাশ, পাড়ার সব পুরুষদের আরাধ্য, ফিগার দেখায় বেড়ানো সস্তা মেয়েটার জন্য কুত্তার মতো লালা ঝরতে থাকে, ইশ যদি পাইতাম!

শেষে রূপ দেখিয়ে বেড়ানো সস্তা মেয়েটাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, মেয়ের যোগ্যতা আছে, ডাক্তার। সে নিজেও ডাক্তার, তাদের ছয় বছর প্রেম চলে, একই সাথে আরো দুই তিনজনের সাথে প্রেম চালায় মেয়েটা, ছেলেটা সব জেনেও শেষে বিয়ে করে, থাক, বিয়ে হলে ঠিক হয়ে যাবে, এই আশায় ধুমধাম করে সে বিয়ে করে।

বিয়ের দিন স্টেজে মাখামাখির ছবি দেখায় সবাইকে। হ্যাপী কাপল, নাইস কাপলের কমেন্টে ফেবু সয়লাব।

দিন গড়ায়, বউ ঠিক হয় না, আরো স্বাধীনতা ভোগ করতে থাকে, বউয়ের পোশাক-আশাক, বন্ধু-বান্ধবের সাথে হই হুল্লোড় করা কিছুতেই তেমন বাধা দিতে পারে না।

হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করে বউ দুই তিনটা পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে, সেগুলো জাস্ট ফ্রেন্ডের রিলেশন না, খুব খারাপ সম্পর্ক, মেসেঞ্জারে কথোপকথন আর ছবি দেখে গা রি রি করে উঠে, নিজের উপর ঘৃণা ধরে, শেষমেশ রাগে, অভিমানে আর বিশ্বাসঘাতকতার কষ্ট ভুলতে আত্মহত্যা করে চিরস্থায়ী আযাব ভোগ করতে পরপারে পাড়ি জমায় ডাক্তার আকাশ।

বউ ডাক্তার মিতুর পরকিয়া দেখে রাগে দুঃখে আত্মহত্যা করেছে, ডাক্তার আকাশের জন্য কোনো সমবেদনা নাই। সব জেনেও এরকম থার্ড ক্লাস মেয়ে বিয়ে করে কেন? রূপের মোহে আটকে পড়েছিল ?

আমার পরিচিত এক ছেলেকে বেশ কয়েক বছর ঘর করার পর তার মডেলের মতো সুন্দ্রী বউ ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। বিয়ের আগে সেই মেয়ের প্রেম ছিল, সে তা জানত, তারপরও তার রূপের আগুনে পতঙ্গের মতো নিজেকে সঁপে দিয়েছিল, ভেবেছিল, বউকে পরে ঠিক করে নেবে, বউয়ের মাথায় রংবেরঙের পেঁচানো হিজাব দিতে পেরেছিল, কিন্তু ভিতরে কিছুই পাল্টাতে পারে নাই।

স্বামীর দেওয়া গিফটের মোবাইলে প্রেম করেছে, তার দেওয়া সাজসজ্জা আর পোশাক পরে অন্যদের সাথে মাখামাখি করেছে, জাস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে হই হুল্লোড়ে মেতেছে তারপর পরকিয়া করে ভেগেছে।

ছেলেটাকে বলেছিলাম, ‘বিয়ার আগে তো হুশ থাকে না, ধলা চামড়া আর মঠেল ছেড়ি দেখে পাগলা হও, যেমন থার্ড ক্লাস ছেড়িরে বিয়া করছিলা, তার ফল তো ভোগ করবাই।’

গোশতের দোকানের সামনে কিছু কুত্তা গোশতের দিকে তাকিয়ে জিহবা বের করে লালা ঝরায়, কিছু মেয়ে আছে শরীরের গোস্ত দেখিয়ে রাস্তার মানুষদেরও লালা ঝরায়, আমার এই সব থার্ড ক্লাস মেয়েদের জাস্ট বেশ্যা বলে মনে হয়, আর এদের পিছনে ঘুরঘুর করতে থাকা ছেলেগুলোকে খদ্দের মনে হয়।

একজন মনোবিদের লেখায় পড়েছিলাম, শরীর দেখিয়ে যৌন উদ্দীপনা ছড়িয়ে পুরুষকে আকৃষ্ট করে থার্ড ক্লাস শ্রেণির মেয়েরা। আর এই সব মেয়েদের যারা জেনে শুনে বিয়ে করে বউয়ের রূপ দেখিয়ে বেড়ায় তারা পার্ভাটেড ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিয়ের আগে রূপে দিওয়ানা হয়ে ‘খাইয়া ছেড়ে দেওয়া মালকে’ বিয়ে করে, সব ইতিহাস জেনেও বিয়ে করে, রূপের কাছে চরিত্র ব্যাপার না।

যে যেমন বিয়ে করে, তার তো ফল তাকে ভোগ করতেই হবে। তাই কারো জন্য কোনো সহানুভূতি নাই।

যারা বিয়ে করে নাই, তাদের জন্য এই ঘটনা একটা শিক্ষা। বিয়ের আগে সবার আগে দ্বীনদারীতা কে প্রাধান্য দিতে হবে।

“As you sow so shall you reap
As you marry so shall you repay”

– Dr-Umme Bushra Sumona

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button