জীবনের বাঁকে বাঁকে

জান্নাতমহল!

পাশের ভাড়াটিয়া। এ-পাড়ায় নতুন এসেছেন। পরিচিত হতে এলেন। এ ঘরের বাচ্চাগুলোকে সবার চেয়ে আলাদা মনে হয়। চোখে পড়ে। ভদ্র শান্তশিষ্ট। এ নিয়ে তার কৌতূহলের অন্ত নেই। আশেপাশে আরো বাড়িতেও এ-কয়দিনে যাওয়া হয়েছে। গিন্নিদের সাথে গল্পগাছা হয়েছে।
মেজবান হাসিমুখে অভ্যর্থনা করে বসালেন। ঘরের সাজানো-গোছানো পরিবেশ দেখে, মেহমানের চোখ জুড়িয়ে গেল। চারটা ফুটফুটে বাচ্চা। তিনটা ঘর জুড়ে হুটোপুটি করছে। বেড়াল ছানার মত। তিন নাম্বার বাচ্চাটার বয়েস তিন কি চার হবে। জড়ানো আদুরে কণ্ঠে বলে উঠল:
-আম্মু! আজ জান্নাতে ঘর বানাবে না?
তার দেখাদেখি বাকি দুইজনও বলতে শুরু করল:
-আম্মু, আজ জান্নাতে ঘর বানাবে না?
মেহমান অবাক হলেন। এত ছোট্ট পিচ্চি এটা কী বলছে? জান্নাতে ঘর কিভাবে বানাবে? মেজবানকে প্রশ্ন করলেন:
-‘জান্নাতে ঘর বানানো’ ব্যাপারটা কি?
প্রশ্ন শুনে মেজবানের মুখে স্মিত হাসি ফুটে উঠল। শরবতের গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বললো:
-একটু অপেক্ষা করুন! নিজের চোখেই দেখে যাবেন ব্যাপারটা! ওটা আমাদের ছানাদের ঘরোয়া খেলা!
.
মা হাতের কাজটা গুছিয়ে এলেন। মেহমানকে হালকা নাস্তা দিলেন। তারপর কোলেরটাকে নিয়ে মেঝেতে বসে গেলেন। বড় মেয়ে আর ছোট দু’ভাই মাকে ঘিরে বসল। সবার চোখেমুখ থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা ঠিকরে বেরোচ্ছে!
-এক দুই তিন! শুরু ‘জান্নাতমহল’ নির্মাঅাঅাঅাণ!
তিন কচিকাঁচা একসাথে কোরাস করে সূরা ইখলাস পড়তে শুরু করল। পড়া শেষ হল! একে একে দশবার পড়া হল। পড়া শেষ করেই সবাই সমস্বরে হৈ চৈ করে উঠল:
-আলহামদুলিল্লাহ! আমরা জান্নাতে একটা প্রাসাদ বানিয়েছি।
-খুব ভাল করেছ! এবার বলত বাছারা, তোমরা এই প্রাসাদে কী রাখতে চাও?
-কুনূজ! ধনভাণ্ডার রাখতে চাই আম্মু!
-ঠিক আছে রাখ!
-লা হাওলা ওয়া লা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ! লা হওলা………..!
-ওমা! কী বড় কুনুজ বানিয়েছ! আচ্ছা, এবার বল, কাকে বেশি ভালবাস?
-আল্লাহকে!
-তারপর?
-আমাদের নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে।
-কেয়ামতের দিন সবার কেমন লাগবে?
-ভীষণ পিপাসা লাগবে?
-আর কী লাগবে?
-নবীজির সুপারিশ লাগবে!
-তোমরা কি সেদিন সুপারিশ আর পানি পেতে চাও?
-জ্বি চাই!
-তাহলে?
-আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ………… ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
-আচ্ছা, কার কার জান্নাতে বাগান করার শখ?
-আমাল! আমার আমার!
-তাহলে?
-সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
বাচ্চারা একে একে আরো যিকির করে গেল। যিকির যিকির খেলা শেষ। এবার সবাই আগের হুটোপুটিতে ফিরে গেল।
.
মেজবানের দু’চোখ কপালে। এত সুন্দর খেলার কথা তার কল্পনাতেও আসে নি কখনো। তার ছেলে-মেয়েগুলো যিকির দূরের কথা ‘নবীজি’ কে সেটাও ঠিকমতো বলতে পারবে কি না, ঘোরতর সন্দেহ! তাদের বাবাটাও কি! নিজেও ধর্মকর্মের ধার ধারবে না, অন্যদেরকেও ধর্ম পালন করতে দেবে না। তার কথা হল, কী দরকার এসব! বুড়ো হলে দেখা যাবে! এমন যার মনোভাব, তার ছেলেমেয়েরা আল্লাহ-রাসুল চিনবে কী করে!
-আপা কিভাবে তাদেরকে এভাবে গড়ে তুললেন? আমারগুলো তো আরবী অক্ষরও চেনে না!
-ছোটরা গল্প শুনতে ভালবাসে! খেলাধূলা করতে পছন্দ করে। ছোটবেলা থেকেই ওদেরকে খেলাচ্ছলে, গল্পচ্ছলে এসব শিক্ষা দিয়েছি। সহজ সহজ আয়াতের অর্থ শুনিয়েছি। সহজ সহজ হাদীস শুনিয়েছি। বিভিন্ন যিকির শিখিয়েছি। মাসনুন দু‘আগুলো শিখিয়েছি। সাথে সাথে কোন আমলের কী লাভ, সেটা শিখিয়েছি!
-আমার ঘরে যে এমন করা অসম্ভব? আমার কী হবে? আমি নিজেও ধর্মকর্ম করি না! বুঝিও না! তবে এটুকু বুঝি, এটা করা দরকার!
-সন্তানকে মানুষ করতে হলে, সবচেয়ে বেশি দরকার মা-বাবার দু‘আ। নবীগনও যেখানে সন্তানের জন্যে দু‘আ করেছেন! আমরা সাধারণ মানুষের কেমন করা উচিত বুঝে দেখুন!
-কী দু‘আ করতে পারি!
-আপনি তাদেরকে যেমনটা গড়তে চান, সেই দু‘আ করবেন। একজন নেককার হওয়ার দু‘আ করবেন! তাছাড়া বাচ্চাদের আব্বু আর আমি মিলে কিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি! সন্তানকে মানুষ করতে হলে কিছু কষ্ট স্বীকার করতেই হয়!
-নিয়মগুলো?

-তেমন কঠিন কিছু নয়:

  1. আমরা বাইরের কারো সামনে তাদেরকে জামা-কাপড় পরাইনা। এমনকি ভাইবোনদের সামনেও না। একটু বুঝ হওয়ার পর থেকেই চেষ্টা করে আসছি, তাদের ‘সতর’ যেন কেউ না দেখে। নিজেই যেন আড়ালে গিয়ে পোষাক পরতে পারে।
  2. হাম্মামে গেলে যেন নিজেই ছুছু দিতে পারে! এটা ওদেরকে বারবার বলে বলে অভ্যস্ত করেছি। প্রথম দিকে আমরা চোখ বন্ধ করে ওদেরকে ছুছু করিয়েছি। তাদেরকে বলেছি, অন্য কেউ সতর দেখা ঠিক নয়। এটা শরমের। আমরা নিজেরা হাম্মামে গেলে দরজা বন্ধ করি। তাদেরকেও ছোটবেলা থেকে উদ্বুদ্ধ করেছি। প্রথম দিকে দরজাটা শুধু ভেজান থাকত, ছিটকিনি লাগিয়ে বন্ধ করা হত না, কারন তারা ছিটকিনি নাগাল পেত না। ওদের আব্বু বারবার আমাকে, বলেন:
    -ওদেরকে লজ্জা শেখাও! শরম শেখাও!
    আমি প্রথম প্রথম অবাক হয়ে জানতে চাইতাম:
    -শরম বুঝি শেখানো যায়!
    -কেন যাবে না, অবশ্যই শেখানো যায়! শরম শেখানো মানে, শরম কাকে বলে, সেটা ছানাদেরকে বোঝানো, অনুভব করানো!
  3. বাড়িতে মেহমান এলে তাদের সাথে কোনও বাচ্চাকে ঘুমুতে দেয়ার ব্যাপারেও ওদের আব্বুর ঘোরতর আপত্তি। এমনও হয়েছে আমরা সবাই একটা ঘরে ফ্লোরিং করেছি। মেহমান মনক্ষুন্ন হয়েছে, কিন্তু তাদের বাবা বিনয়ের সাথে এড়িয়ে গেছেন। আবার এটাও খেয়াল রাখা, সন্তান যেন আলাদা রূমে একাকী রাত না কাটায়।
  4. বাড়িতে কোনও পুরুষ মেহমান এলে, তিনি খেয়াল রাখতেন, তারা যেন তার কোলে না বসে। বিশেষ করে দুই পায়ের উপর বা মাঝে না বসে।
  5. মুখে বা ঠোঁটেও চুমু খেতে বারণ করতেন। বেশির চেয়ে বেশি কপালে হতে পারে। তাও একদম ছোটবেলায়। শিশুকেও অন্য কাউকে চুমু খেতে জোরাজুরি না করা। কারো কোলে বসতে না চাইলে জোরাজুরি করে না বসানো।
  6. তেল বা লোশন লাগানোর সময়, তাদের লজ্জাস্থানে যতটা সম্ভব আলগোছে তেল-লোশন মেখে চলে যাওয়া। হালকার চেয়ে বেশি চাপ না দেয়া। এ-কাজ যতদূর সম্ভব নিজেরাই করা। খেয়াল রাখা, লজ্জাস্থানের সেনসিটিভিটি (স্পর্শকাতরতা) যেন পুরোই অক্ষুন্ন থাকে। ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যেই এটা প্রযোজ্য।
  7. হারাম বা গুনাহ করতে পারে, এমন কোনও সুযোগ-ফুরসতই তাকে না দেয়া। তাকে তার মতোই থাকতে দেয়া, তবে সব সময় একটা চোখ তার প্রতি নিবদ্ধ রাখা। ভাই-চাচা-মামা কারও হাতেই পুরোপুরি ছেড়ে না দেয়া। এমনকি তার সমবয়েসী বন্ধুর সাথেও না। অল্প সময়ের জন্যে হতে পারে। তবে সে অল্পসময়টা নিয়মিত হয়ে গেলে, ভিন্ন সুযোগ গ্রহণের সম্ভাবনাও থাকে। সচেতন থাকা।
  8. শিশুদের সাথে সম্পর্কটাকে অত্যন্ত স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা। সে যেন সবকিছু মনখুলে বলতে পারে। দ্বিধা-সংকোচ ছাড়াই। বেশি বেশি সন্তানের সাথে সময় কাটানো।
  9. শিশুকে একাকী বাসায় রেখে কোথাও না যাওয়া। এমনকি পরিচারিকার সাথে রেখেও না। এমন ঘটনাও ঘটেছে, মা গেছে ধর্মসভায়! ছেলে আর মেয়েকে রেখে গেছে ‘খাদেমার’ কাছে। কোনও কারনে খাদেমাকে চাকুরিচ্যুত করা হল। একদিন মা বাহির থেকে এসে দেখল ছেলেটা তার বোনের সাথে দুর্ব্যবহার করছে। জিজ্ঞাসার করলে ছেলে জানাল। সে খাদেমার সাথেও এমন করত। খাদেমাই তাকে এমনটা করতে শিখিয়েছে। সন্তানের মুখের ভাষা, চিন্তা, আচরণ অনেক সময় বাবা-মায়ের চেয়ে বাড়ির কাজের লোক দ্বারাই বেশি প্রভাবিত হয়।
  10. যতদূর সম্ভব কার্টুন দেখা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। কারন এটা থেকেই ভবিষ্যতে ‘গুনাহ’ দেখার পথ তৈরী হতে থাকে। মানসিক প্রস্তুতি শুরু হতে থাকে।
  11. এমনকি বাসা-বাড়িতে লিফট থাকলে, সেখানে তাকে একা একা চড়তে না দেয়া। অন্য লোক থাকলে তো প্রশ্নই আসে না। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, শহরে অনেক সন্তান লিফটেই প্রথম ভিন্নধর্মী আচরণের মুখোমুখি হয়।
  12. গণজমায়েত, অন্ধকার স্থান ও পরিত্যাক্ত স্থানে সন্তানকে যেতে না দেয়া। বর্তমানের বিনোদনকেন্দ্রগুলোর ব্যাপারেও সতর্ক থাকা। শিশুমনে পাপের দৃশ্যগুলো গভীর রেখাপাত করে। দু’জনে হাত ধরাধরি করে হাঁটার জীবন্ত দৃশ্য, পর্দায় অবভ্য ছবি দেখার চেয়েও মারাত্মক।
  13. ছেলে হলে মেয়ে শিক্ষক, মেয়ে হলে পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ দানকে ব্যাপারে শতভাগ পরিহার করে চলা। এমনকি শিক্ষাদানটা পর্দার আড়াল থেকে হলেও নিরাপদ মনে না করা।
  14. অপরিচিতের দেয়া কিছু না খাওয়া। জোরাজুরি করলেও না। ভদ্রভাবে না বলে দেয়া।
  15. আব্বু-আম্মুর অনুমতি ছাড়া, ঘরের দরজা না খোলা। পরিচিত কেউ হলেও না।
  16. বারবার বলে দেয়া, আব্বু-আম্মু ছাড়া অন্য কেউ কিছু শেখাতে চাইলে, বাড়িতে এসে সেটা যেন জানায়। যে শিক্ষকের কাছে, যা শিখতে পাঠানো হয়েছে, এর বাইরে কিছু শিখছে কি না, খোঁজ রাখা। শিক্ষক হলেই তিনি শতভাগ ‘আস্থাভাজন’ হবেন, এমন নয়। হালের অনেক শিক্ষক থেকেও ছাত্ররা ‘ভিন্ন’ কিছুর পাঠ পায়। মেমোরি কার্ডে। পেনড্রাইভে।
  17. নিজেদের মধ্যে ভাব আদান-প্রদানের জন্যে একটা নিজস্ব ভাষা তৈরী করা। পাসওয়ার্ডের মত। অন্য কেউ তাকে স্কুল থেকে আনতে গেলে, পাসওয়ার্ড বলতে না পারলে, তাকে যেন বিশ্বাস না করে।
  18. বাড়াবাড়ি পরিহার করা। আদর ও শাসন উভয় ক্ষেত্রে।
  19. সন্তানের জন্যে কুরআন কারীমের দু‘আগুলো বেশি বেশি পড়া। বাবা ও মা উভয়ে। মাঝেমধ্যে সন্তানদেরকে সাথে নিয়েও দু‘আগুলো পড়া। প্রতিটি দু‘আর অর্থ তাদেরকে শিখিয়ে দেয়া। যাতে তারা বুঝতে পারে, তাদের জন্যে কী দু‘আ তাদের আব্বু আম্মু করছেন! তারা কোন দু‘আয় আমীন বলছে!

১.আমার জন্যে আমার সন্তানদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলুন (আহকাফ ১৫)।
ﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻲ ﻓِﻲ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲ
২. (ইয়া রাব)! আমি তাকে ও তার বংশধরগণকে অভিশপ্ত শয়তান থেকে হেফাজতের জন্যে আপনার আশ্রয়ে অর্পণ করলাম। (আলে-ইমরান ৩৬)
ﺇِﻧِّﻲ ﺃُﻋِﻴﺬُﻫَﺎ ﺑِﻚَ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺘَﻬَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺍﻟﺮَّﺟِﻴﻢِ
৩. হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের পক্ষ হতে দান করুন নয়নপ্রীতি এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানান। (ফুরকান ৭৪)
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻫَﺐْ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻨَﺎ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺎﺗِﻦَﺍ ﻗُﺮَّﺓَ ﺃَﻋْﻴُﻦٍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ﺇِﻣَﺎﻣًﺎ
৪. হে আমার প্রতিপালক! আমাকেও নামায কায়েমকারী বানিয়ে দিন এবং আমার আওলাদের মধ্য হতেও (এমন লোক সৃষ্টি করুন, যারা নামায কায়েম করবে)। হে আমার প্রতিপালক! এবং আমার দু‘আ কবুল করে নিন।( ইবরাহীম ৪০)
ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻣُﻘِﻴﻢَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺗَﻘَﺒَّﻞْ ﺩُﻋَﺎﺀِ
৫. হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আপনার একান্ত অনুগত বানিয়ে নিন এবং আমাদের বংশধরদের মধ্যেও এমন উম্মত সৃষ্টি করুন, যারা আপনার একান্ত অনুগত হবে এবং আমাদেরকে ইবাদতের পদ্ধতি শিক্ষা দিন এবং আমাদের তওবা কবুল করে নিন। নিশ্চয়ই আপনি এবং কেবল আপনিই ক্ষমাপ্রবণ (এবং) অতিশয় দয়ার মালিক। (বাকারা ১২৮)
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻤَﻴْﻦِ ﻟَﻚَ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻨَﺎ ﺃُﻣَّﺔً ﻣُّﺴْﻠِﻤَﺔً ﻟَّﻚَ ﻭَﺃَﺭِﻧَﺎ ﻣَﻨَﺎﺳِﻜَﻨَﺎ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ
৬. হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে আপনার নিকট হতে কোনও পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দু‘আ শ্রবণকারী। (আলে ইমরান ৩৮)
ﺭَﺏِّ ﻫَﺐْ ﻟِﻲ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺫُﺭِّﻳَّﺔً ﻃَﻴِّﺒَﺔًﺇِﻧَّﻚَ ﺳَﻤِﻴﻊُ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀِ
৭. (ইয়া রাব!), আমাকে ও আমার পুত্রকে মূর্তিপূজা হতে রক্ষা করুন। (ইবরাহীম ৩৫)
ﻭَﺍﺟْﻨُﺒْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻨِﻲَّ ﺃَﻥ ﻧَّﻌْﺒُﺪَ ﺍﻟْﺄَﺻْﻨَﺎﻡَ


লিখেছেনঃ  Atik Ullah

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Back to top button