সমস্যা হলে আল্লাহর কাছে চাওয়া, আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়া আমাদের শিখতে হবে

সেদিন এক বোনের কথা শুনলাম। তিনি আত্মহত্যা করতে চাইছেন। অনেক টাকা ঋণ। শোধ করার উপায় নেই। প্রতিদিন ঘরে এসে শাসায় ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী সংস্থার লোকেরা। এমন কিছু বলে, এমন কিছু করে যে তিনি বাসা ছেড়ে পালিয়েছেন।
আজ বণিকবার্তায় একটা খবর পড়লাম। শিরোনাম: কৃষক ও দরিদ্রদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। একটা উপাত্ত দেওয়া:
/ যারা আত্মহত্যা করছেন, তাদের ৫৫ শতাংশেরই পরিবারের মাসিক আয় ৫০ ডলার বা ৪ হাজার টাকার নিচে। এদের মধ্যে ১৪ শতাংশেরই মাসিক আয় ২৫ ডলার বা ২ হাজার টাকার নিচে। আবার এদের ৪২ শতাংশই নিরক্ষর।
আত্মহননকারীদের আয়ের উত্স খুঁজতে গিয়ে সিআইপিআরবির গবেষকরা দেখেন, বড় একটা অংশ কৃষিকাজ বা পারিশ্রমিকবিহীন পারিবারিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে আবার একটা বড় অংশ নারী এবং গৃহবধূ।/
একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের কর্তব্য আমাদের চারপাশের মানুষদের ঋণ সম্পর্কে সচেতন করা। কোনোভাবেই যেন কেউ সুদে টাকা ধার না করে।
সমস্যা হলে আল্লাহর কাছে চাওয়া, আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়া আমাদের শিখতে হবে।
সুদে টাকা ধার অসম্মান, জিল্লতি বয়ে আনে। আল্লাহর অভিশাপ বয়ে আনে। ডেকে আনে আত্মহত্যার মত পরিণতি।
কেউ যদি ধার করেই ফেলেন, কী করবেন?
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একজন মুকাতিব (লিখিত চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ কৃতদাস) তাঁর নিকট এসে নিবেদন করল, আমি আমার নির্ধারিত অর্থ দিতে অপারগ, অতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন।
(এ কথা শুনে) আলী রা. বললেন, তোমাকে কি এমন দোয়া শিখিয়ে দিব না, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখিয়েছিলেন?
যদি তোমার উপর পর্বত সমপরিমাণ ঋণও থাকে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে দেবেন। বলো,
আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা আন হারা-মিক, অআগনিনী বিফাযলিকা আম্মান সিওয়া-ক।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনার হালাল রুযী দিয়ে হারাম রুযী থেকে আমার জন্য যথেষ্ট করুন এবং আপনি ছাড়া অন্য সকল থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করুন। [তিরমিযি ৩৫৬৩, আহমদ ১৩২১]