জীবনের বাঁকে বাঁকে

শঙ্খ ও স্বাধীনতা

১.

আমরা তখন সোবহানবাগ কলোনীতে থাকি। একদিন সকালে নাস্তা খেতে খেতে আবিষ্কার করলাম গ্যারেজের ছাদে কাকেদের বিশাল জটলা। নিতান্তই উৎসুক হয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে দেখলাম একটা বাদামী রঙের প্রাণীকে ঘিরে রেখেছে কাকের দল, একটা ঠোকর মারছে, বাকি সবাই চিৎকার করে উৎসাহ দিচ্ছে – অনেকটা আমাদের দেশের পকেটমার পেটানোর মত। তবে কাকেরা নিজেরা নিজেদের মাংস খায় না, মানুষ খায়। যাহোক, প্রাণীটার জন্য আমার মনের পশুপ্রেমী অংশ জেগে উঠল। ঠুনকো টিনের চাল ভার সইতে পারবে না বিধায় হাঁচড়ে-পাঁচড়ে প্রাচীর বেয়ে চললাম ঘটনাস্থান লক্ষ্য করে। কাকেরা দল বেধে থাকলে ভারী বিপদজনক, তাই হাতে একটা লাঠি নিয়ে হুশ-হুশ করে ভয় দেখাচ্ছি। কাছে গিয়ে দেখি ক্ষত-বিক্ষত একটা চিল ডানার মাঝে মুখ লুকিয়ে আছে। অনেক কায়দা করে চিলটাকে কোলে তুলে কিভাবে যে বাসায় আসলাম আল্লাহই জানেন। ভাগ্যিস কাকগুলো আলফ্রেড হিচককের দ্য বার্ডস দেখেনি।

বাসায় আসার পরে গবেষণা শুরু হল উঁচু আকাশের পাখি কিভাবে মাটিতে এল সেই মর্মে। হতে পারে আগের রাতে যে ঝড় হয়েছিল তাতে ডেন্টাল কলেজ ছাত্রাবাসের বিশাল গাছগুলোর কোন একটা বাসা থেকে এই চিলটি পড়ে গেছে। দেখতে বিশাল মনে হলেও চিলটা আসলে ছিল নেহায়েত একটা বাচ্চা – ওড়াও শেখেনি। এমনিতে কাকেরা চিলকে সমঝে চলে – কিন্তু শত্রুর অসহায় শিশুকে বাগে পাবার সুযোগ কেউ কি আর ছাড়ে? আজকেই যখন কেউ ইসলাম মেনে চলতে চায় তখন অমুসলিম তো বটেই মুসলিম নামধারী কাকেদের কথার আঘাতে, মিথ্যা ধমকানিতে আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে ক্ষত-বিক্ষত হতে হয়। আমার চিলটাকে সাইকেলের পিছনে বাক্সবন্দী করে গুলিস্তানে সরকারী পশু হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। আল্লাহর দয়ায়, সেই সহৃদয় ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খেয়ে আমার চিলটার ক্ষতগুলো সেরে গিয়েছিল। আল্লাহ আমাদের মুসলিমদের জন্যও দয়া করেছেন – আল কুরান, যার আরেকনাম আশ-শিফা – তা মন কিংবা দেহের ব্যাধির আরোগ্য হিসেবে নাযিল করেছেন। আমরা মুসলিমরা আজ এতই হতভাগা যে রক্তাক্ত মন নিয়ে আমরা গান শুনি, দুঃখ ভুলে যেতে তরল দ্রব্যে পিনিক করি। আর আশ-শিফা কাপড়ের ভাজে মসজিদের র্যাকে অবহেলায় শুয়ে থাকে।

২.

চিলটার নাম রাখলাম শঙ্খ। বিশাল বাথরুমে তাক বানিয়ে তার থাকার জায়গা করা হল। ডিমভাজি খেতে ভালবাসত। ছোট একটা মেনি মাছ আস্ত খেয়ে ফেলত, কাঁটার কঙ্কালটা পড়ে থাকত। যে পাখিটা ছোট্ট বেলা থেকে মানুষের কাছে আছে তাকে কিভাবে এমনভাবে কাঁটা বেছে খাওয়া শেখালেন আল্লাহ তিনিই জানেন। পাখিটাকে উড়তে শেখান কর্তব্য জ্ঞান করে মাঝে মাঝে মাঠে নিয়ে যেতাম। একটু ওড়ার চেষ্টা করেই ধুপ করে পড়ে যেত। চারদেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে শঙ্খেরও হয়ত আর ভাল লাগত না। সে কেবলি উড়তে চাইত। একদিন ছাদে খেলার সময় তাকে নিয়ে গিয়েছি – ওড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে পাশের বিল্ডিং এর সাথে ধাক্কা খেয়ে একদম নীচে পড়ে গেল। পাখি বলেই বেঁচে গিয়েছিল বোধহয় সে যাত্রায়।

আমরা মানুষেরাও আসলে শঙ্খের মত। আমরা বুঝিনা যে আমাদের ওড়ার সময় হয়নি। আমাদের পাখাগুলোতে ওড়ার শক্তি আসেনি। শঙ্খের মত আমরাও স্বাধীনতা চাই – কিন্তু স্বাধীনতা কি সেটা আমরা বুঝিনা। বুঝিনা বলেই স্বাধীনতা পাবার চেষ্টায় কত কি করি, পরিণামে কেবলই নিজেদের ক্ষত-বিক্ষত হতে হয়।

এই পৃথিবীতে কি কোন মানুষ সত্যি সত্যি স্বাধীন হতে পারে? আমাদের প্রতিদিন প্রতিটা কাজের জন্য কত মানুষের উপরে নির্ভর করতে হয়। আমরা খাবারের জন্য কৃষকের উপরে নির্ভরশীল, পানির জন্য ওয়াসার দ্বারস্থ হই, বিদ্যুতের জন্য ডেসা। যারা চাকরি করে তারা ভয়ে ভয়ে থাকে – চাকরি চলে গেলে যা যা কিনে আমাদের জীবন বাঁচে তার কিছুই যে কিনতে পারবনা। যে ব্যবসা করে সে তাই খদ্দেরদের মন রক্ষা করে চলে। যে মানুষ সমাজের একটা অংশ এবং এই সমাজের বাইরে গেলে সে মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করতে পারবে না – তাকে আসলে ঠিক কি অর্থে স্ব-অধীন বলা যায়? ইনডিপেনডেন্ট তো সে কখনই নয়।

ফ্রিডম অর্থেও যে মানুষ স্বাধীন তা আমি মানতে পারিনা। আমার কি যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা আছে? আমি চাইলেই কি শঙ্খের মত আকাশে শাইশাই করে উড়তে পারব? ব্যর্থ প্রেমিক কি চাইলেই মনের মানুষটার মন জয় করতে পারে? প্রেমিকার মনে যে আছে তাকে সরিয়ে নিজেকে সেখানে বসিয়ে দিতে পারে? কেউ কি চাইলেই ওয়ারেন বাফেটের মত ধনকুবের হতে পারবে? কিংবা লিনাস পলিং এর মত বিশাল বিজ্ঞানী? আমার তো কত ইচ্ছে করে – তাও তো আমি ইয়াসমিন মোজাহেদের মত শব্দ বুনতে পারিনা, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মত ছন্দ মেলাতে পারিনা, জীবননান্দের মত চিত্রপট আঁকতে পারিনা। আমি কত্ত ভাবি – আমি খুব ভাল একটা মানুষ হব। উমার রাদিয়াল্লাহু তা’আল আনহুর মত হব – যে শয়তান আমাকে দেখলেই রাস্তা ছেড়ে পালাবে। কই পারিনাতো। শয়তান রাস্তা ছাড়া তো দূরে থাক – সুযোগ পেলেই সোজা বুকের ভিতরে গিয়ে বসে থাকে, সলাতে দাড়ালে রাজ্যের গল্প বলা শুরু করে। আমার ইচ্ছের জোর পৃথিবী তো দূরের কথা – আমার নিজের উপরই খাটেনা। ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়’ – কথাটা হয়ত সত্য তবে এর পরিসর বড্ড ছোট।

আল্লাহ এ বিশ্ব চরাচর সৃষ্টি করেছেন, তাকে কিছু নিয়ম কানুন দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। ভৌত বিজ্ঞানের নিয়ম – মানুষ মাটি থেকে লাফ দিয়ে মাটিতে এসেই পড়বে। জীববিজ্ঞানের নিয়ম – মাঝারি বাঙালির ছেলে তেমনই হবে – ভাইকিংদের মত দানবাকৃতির নয়। আল্লাহ তার অর্থনীতির নিয়ম দিয়ে পৃথিবী চালাবেন – তিনি যাকে সম্পদ দেবেন, সে সম্পদশালী হবে। তিনি তার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞানে যাকে ক্ষমতা দেবেন সেই সবার উপরে ছড়ি ঘোরাবে। তিনি যাকে খুশী জ্ঞান দান করবেন, যাকে খুশী মেধা দেবেন। তার নিয়ম ভাঙার শক্তি আমাদের নেই, সাধ্যও নেই। প্রাকৃতিক এসব নিয়মের বাঁধায় আমাদের ইচ্ছে বাঁধা পড়ে। কালের বাঁধনে আটকে থাকি বলে আমরা আমাদের শৈশবে ফিরে যেতে পারিনা। স্থানের নিগড়ে বন্দী থাকি বলে শত ইচ্ছেতেও দেশে ফেলে আসা প্রিয়জনদের মুখ দেখতে পারিনা। এ ধরিত্রিতে আমরা তাই স্বাধীন নই – প্রাকৃতিক আইনের অধীন, সমাজের আইনের অধীন। অন্য মানুষের অধিকারের প্রাচীর আমাদের স্বাধীনতাকে খর্ব করে দেয়।

কিন্তু আল্লাহ তো আমাদেরও সৃষ্টি করেছেন। আমাদের বুকের ভেতরে স্বাধীনতার যে আকুতিটা আছে সেটার খবর কি তিনি রাখেননা? তিনি কি জানেননা যে আমাদের যা খুশী করতে ইচ্ছে করে, যা খুশী পেতে ইচ্ছে করে, যেখানে খুশী যেতে ইচ্ছে করে, যেভাবে খুশী যেতে ইচ্ছে করে। তিনি জানেন বলেই জান্নাত বানিয়েছেন যেখানে মানুষ যেখানে খুশী সেখানে থাকতে পারবে।১ তারা যা চাবে তাই তাদের দেয়া হবে – যা চাবে, যা খুশী তার সব, সব।২ জান্নাতে সময়ের প্রতীকি মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষকে জানিয়ে দেয়া হবে সময় নামক পার্থিব মাত্রাতে জান্নাত আবদ্ধ নয়। জান্নাতে সম্পদের সীমাবদ্ধতা নেই – একজন পেলে অন্যজনের ভাগে কম পড়বে সেই ভয়টা নেই। সেখানে মানবদেহের কোষ বিভাজিত হতে হতে শেষে বুড়ো হয়ে যাবে না – জরা বা ব্যাধি মানুষকে স্পর্শ করবেনা। এই যে অনন্তকালের স্বাধীনতা – এটা মানুষকে আল্লাহ দান করবেন একটা মাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে: এই পৃথিবীতে মানুষ তার নিজের স্বাধীনতাটা কার হাতে তুলে দিচ্ছে – আল্লাহর হাতে না অন্য কিছুর পায়ে।

শয়তানের যতগুলো বুদ্ধি আছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার – তথাকথিত স্বাধীনতার দাবী অন্যতম। শয়তান মানুষকে তার নিজের দাস বানায়, অর্থের দাস বানায়, প্রেমাষ্পদের দাস বানায়, নেতা-নেত্রীর দাস বানায়, প্রবৃত্তির দাস বানায়। এত কিছুর দাস বানানোর পরেও সে মানুষকে বলে – এই যে তুমি স্বাধীন। একসময় মহাসাগরের ওপার থেকে আসা ব্রিটিশরা আমাদের প্রভুত্ব করেছে, আমাদের তারা অশিক্ষা-কুশিক্ষা থেকে স্বাধীনতা দিয়েছে – আমরা বর্তে গিয়েছি। এরপরে দেশ ভাগ হল – আজাদী এলো। পশ্চিম পাকিস্তানের গোলামি করবনা বলে আমরা যুদ্ধ করলাম – আমাদের বলা হল দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আমরা মানুষেরা স্বাধীন হয়েছি কি? ৭১ এর আগে ক্ষমতার কেন্দ্র ছিল ইসলামাবাদ, আজ সেটা গোপালগঞ্জ। পুরনো প্রভুরা ঘোড়ায় চড়ে আমাদের শোষণ করত, এখনকার প্রভুদের বাহন কালো বেড়াল। একজন সুস্থ মানুষ নেতার আদেশে আরেকটা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে – এটাই কি ব্যক্তির স্বাধীনতা? সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে ভাই ভাইকে খুন করে – এটা কি অর্থের দাসত্ব নয়? একজন নারীকে ধর্ষণ শেষে কেটে টুকরো টুকরো করা – এটা কি প্রবৃত্তির দাসত্ব না? মাসে মাসে নজরানা ঠিক মত দিলে পীর সাহেব সাথে করে জান্নাতে নিয়ে যাবেন – এটা কি তাগুত্বের দাসত্ব না? আপন সন্তানকে হত্যা করে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়া – এটাই কি সেই স্বাধীনতা যা আমাদের শেখানো হচ্ছে – “আমার দেহ আমি দেব, যাকে খুশী তাকে দেব”

মানুষ এ পৃথিবীতে স্বাধীন নয়। সবচে যে স্বাধীনচেতা – সেও নিজের অজান্তে তার দেহের ভিতরে থাকা ‘নাফসে আম্মারা’র দাসত্ব করে। এই নাফস ব্যক্তির ভিতরে থাকলেও সে ব্যক্তির অংশ নয়। সে ব্যক্তিকে সুখের খোজে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। যেটা দেখতে ভাল লাগে – নাচ, মুভি, চিত্রকর্ম – এই দেখাটাকেই সে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য বানিয়ে দেয়। যেটা শুনতে ভাল লাগে – অর্থহীন প্রলাপ, মানুষকে অবমাননা করা কৌতুক, শাস্ত্রীয় কিংবা অশাস্ত্রীয় সংগীত – এই শোনাগুলোতেই সে মানুষের জীবনকে সীমাবদ্ধ করে দেয়। জিহবাকে নিত্য-নতুন স্বাদ উপহার দিতে সে জীবন উৎসর্গ করে দেয়। ছোট্ট এক বোতল সুগন্ধীর বিনিময় মূল্য হয় শ’খানেক উপোসী শিশুর একদিনের খাবার। বিভিন্ন ইন্দ্রিয় থেকে পাওয়া এই যে নানান ধরণের ভালোলাগা, ভালো থাকা – সবকিছু আবৃত্ত হয় নিজেকে কেন্দ্র করে। ‘আমি’ এবং ‘আমার’ এ দুটি শব্দ ছাড়া পৃথিবীতে অন্য সবকিছুর অস্তিত্ব মূল্যহীন হয়ে যায়।

৩.

শঙ্খ আমার বন্ধু ছিল। আমি ঘুমিয়ে থাকলে ও মাথার কাছে বিছানার কিনারে বসে থাকত। মাঝে মধ্যে ওকে কাঁধে নিয়ে হাটতে বেরোতাম সন্ধ্যায়। কিন্তু যখন দেখলাম ও বড় হয়ে যাচ্ছে – আমাদের বিশাল বাথরুমটাও ওর কাছে ছোট্ট একটা খাচার মত মনে হচ্ছে তখন মা আর ছোটভাইটা মিলে ওকে বোটানিকাল গার্ডেনে রেখে এসেছিলেন। আমার কাছে ওর সান্নিধ্যের চেয়ে স্বাধীনতাটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল। দূর আকাশ থেকে উড়ে এসে হাতে বসবে – হলিউডি মুভিতে দেখা এই দৃশ্য আমার জীবনে সত্যি হয়নি। শঙ্খকে নিয়ে যাওয়ার পরে বহুদিন মন খারাপ ছিল। বহুদিন কোন চিল ডাকলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে শঙ্খকে কল্পনা করে নিয়েছি। কিন্তু দিনশেষে সত্য এটাই যে আমাদের অনেক প্রিয় কিছুকেও ছেড়ে দিতে হয় বৃহত্তর স্বার্থে। আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা – অনন্তুকাল ধরে যা ইচ্ছে করার সুযোগ চাইলে এ পৃথিবীতে আমাদের আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের আল্লাহ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। আমাদের স্বেচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে কার কাছে আমরা আমাদের সীমিত পার্থিব স্বাধীনতা সমর্পণ করব – আল্লাহর কাছে না অন্যান্য মিথ্যা প্রভুদের কাছে।

এই স্বাধীনতা বিসর্জন কোন লোক দেখানো আচরণ নয় – এটা বিশাল একটা আত্মোপলব্ধির ব্যাপার। যে আল্লাহ আমাদের অসীম স্বাধীনতা, সত্যিকারের স্বাধীনতা উপহার দিচ্ছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখিয়ে, তাকে ভালবেসে, তার অসন্তুষ্টিকে ঘৃণা করে ছোট্ট এ জীবনে আমরা আত্মসমর্পণ করব। মহান আল্লাহকে তো আমরা তার দয়ার প্রতিদান হিসেবে কিছুই দিতে পারিনা, তাকে একটুখানি সন্তুষ্ট করার চেষ্টাটুকু তো করতে পারি। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে তো খুব বেশী কিছু করতে হয়না, আমরা মননে-চলনে-বলনে সত্যিকার মুসলিম হব – আল্লাহর এই সামান্য চাওয়াটা কি খুব অযৌক্তিক?

আল্লাহ যেন তার দ্বীনের অসীম সৌন্দর্যটা আমাদের চোখ মেলে দেখার সুযোগ দেন। সীমিত স্বাধীনতার বিনিময়ে সত্যিকার স্বাধীনতা পাবার সুযোগ দেন। আমিন।

– শরীফ আবু হায়াত অপু

২০ রজব, ১৪৩৩ হিজরি।

————————————-

১ সুরা আয-যুমার, ৩৯:৭৪

২ সুরা ইয়াসিন, ৩৬:৫৭

মন্তব্য করুন

Back to top button