সন্তান প্রতিপালনের ব্যাপারে বিদ্যমান কিছু ভুল দৃষ্টিভঙ্গী
সন্তান প্রতিপালন এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে খুব বেশি সুপরিকল্পিত আলোচনা, কোর্স, সেমিনার, অনুষ্ঠান কিংবা বই প্রকাশিত হতে দেখা যায় না। এর কারণগুলির অন্যতম হল:
এক. একজন মুসলিম হিসেবে সন্তান প্রতিপালনের গুরুদায়িত্ব সম্পর্কে ধারণার অভাব।
দুই. একে একটি স্বত:স্ফূর্ত প্রক্রিয়া বলে মনে করা। অর্থাৎ এই ধারণা পোষণ করা যে প্রত্যেক্যেই তার পূর্ববর্তীদের দ্বারা প্রতিপালিত হয়েছে, ফলে সে ব্যবহারিকভাবেই প্রক্রিয়াটির মধ্য দিয়ে গিয়েছে – আর তার কাজ এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ যে একই প্রক্রিয়া সে পরবর্তী প্রজন্মের ওপর প্রয়োগ করবে।
তিন. সন্তান প্রতিপালনকে অপরিবর্তনশীল একটি প্রক্রিয়া মনে করা। অর্থাৎ এই ধারণা যে আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন আদর্শ মুরব্বী – সুতরাং আমরা তাঁদের দর্শন অনুযায়ী সন্তান প্রতিপালনের কাজটি করাই যথেষ্ট – এ বিষয়ে নতুন কিছু জানার বা শেখার নেই।
চার. এই ধারণা করা যে সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে করণীয়গুলো স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে একই। তেমনি এই ধারণা যে প্রতিটি সন্তানের জন্য একই প্রক্রিয়া কার্যকর।
পাঁচ. সন্তান প্রতিপালনকে মা ও বাবার সাপেক্ষে দুভাগে ভাগ করা, যেখানে বাবার কাজ শুধুই সম্পদ উপার্জন, আর বাদবাকী যা আছে: শিক্ষা, সঙ্গ দেয়া, দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা – এগুলো সবই মায়ের দায়িত্ব গণ্য করা।
বাস্তবতা হল সন্তান প্রতিপালন মা-বাবার ওপর স্রষ্টা কর্তৃক আরোপিত একটি বাধ্যতামূলক গুরুদায়িত্ব যার বাধ্যবাধকতার সপক্ষে কুরআনের আয়াত ও হাদীস ইতোপূর্বে উল্লিখিত হয়েছে। তাই সন্তান প্রতিপালনে সাফল্যের সাথে মুসলিম হিসেবে সাফল্যের বিষয়টি জড়িত। সন্তান যদি মা-বাবার অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে বিপথগামী হয়, আল্লাহদ্রোহী হয় – তবে এর জন্য মা-বাবাকে শাস্তি পেতে হতে পারে।
বর্তমান সময়ে ঈমানের দুর্বলতা ও দ্বীন থেকে দূরত্ব বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে অনেক মা-বাবাই পার্থিব জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পেছনে ছুটছেন এবং সন্তান প্রতিপালনের গুরুদায়িত্বকে পায়ে ঠেলছেন। আজ গল্প বা ছড়া বলে বাচ্চাকে খাবার খাওয়ানোর কষ্টকর প্রক্রিয়ার তুলনায় ব্যস্ত মায়ের পছন্দ হল স্যাটেলাইট চ্যানেল ‘কার্টুন নেটওয়ার্ক’। বস্তুবাদী জীবনের ব্যস্ততায় ‘কার্টুন নেটওয়ার্ক’ এর ক্ষতিকর দিক ভেবে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ের স্বল্পতার কারণে অনেককেই চোখ বন্ধ করে তা চালিয়ে যেতে হয়।
যাহোক, সন্তান প্রতিপালন একটি ইবাদত। আর সালাত, সাওম, যাকাত, হাজ্জ্বের মত ইবাদতগুলো যেমনিভাবে পালনের পূর্বেই আমরা বিশুদ্ধ উৎস থেকে এর সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি, তেমনি সন্তান প্রতিপালনের মত বিষয়টিও হতে হবে জ্ঞানের ভিত্তিতেই।
সুতরাং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মতই এই বিষয়েও জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণ অতীব জরুরী।
উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া যদি একটি গাড়ি চালানো বৈধ না হয়, তবে প্রশিক্ষণ ছাড়া একজন মনুষ্যসন্তানকে গড়ে তোলার মত স্পর্শকাতর বিষয়টি পরিচালনা কিভাবে সমীচীন হতে পারে?
যদি একটি মোটরযানের মত জড়বস্তু চালানোর জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন হয়, তবে একটি পরিবার পরিচালনার জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজন হওয়া উচিৎ নয় কি?
বিশেষত বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রায় নিত্যনতুন বিভিন্ন জটিলতার উদ্ভব হওয়ার কারণে পরিবার পরিচালনা ও সন্তান প্রতিপালনের ওপর বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত কোর্সের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
দ্বিতীয়ত, সন্তান প্রতিপালনকে শ্বাস-প্রশ্বাসের মত একটি স্বত:স্ফূর্ত প্রক্রিয়া হিসেবে নেয়াটা এক্ষেত্রে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। একজন মনুষ্যসন্তান যে কোন জটিল যন্ত্র থেকেও বহু মাত্রায় বেশি জটিল। কোন একটি যন্ত্রকেও মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে চালানোর চেষ্টা করলে একে নষ্ট করে ফেলবে। ধরা যাক কেউ যদি একটি ওয়াশিং মেশিন এনে বলে যে একটা করে সুইচ টিপতে থাকলেই এর কার্যপদ্ধতি শেখা হয়ে যাবে, তবে নিশ্চয়ই সে মারাত্মক ভুল করবে! বরং প্রথম কাজ ম্যানুয়েল পড়া।
একই ভাবে সন্তান প্রতিপালন ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার সমষ্টি নয়। সন্তানের প্রত্যেক কথা বা কাজের সাথে মা-বাবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার অভিব্যক্তি – যা কখনও ধমক, কখনও মার, কখনও চিৎকার, কখনও উল্লাস, কখনও প্রশংসা, কখনও মুখমণ্ডলের বিকৃতি – যখন যেটা স্বত:স্ফূর্তভাবে বের হয়ে আসে – সেরূপে প্রকাশিত হয় – এটি সন্তান প্রতিপালনের কাঙ্ক্ষিত রূপ নয়।
বরং সন্তান প্রতিপালন হবে সঠিক জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে গৃহীত পূর্ব-পরিকল্পনার সুশৃংখল বাস্তবায়ন।
উদাহরণ:
দৃশ্যপট ১:
স্কুলের ইউনিফর্মে কাদা মেখে সন্তানের প্রবেশ এবং মা কর্তৃক তাৎক্ষণিক চপেটাঘাত। বাচ্চার চিৎকার দিয়ে ক্রন্দন ও বাড়ি মাথায় তোলা। বাসার অন্য বয়স্ক সদস্য কর্তৃক মাকে তিরস্কার। বাবা অফিস থেকে ফেরা মাত্র সন্তান এবং অন্য বয়স্কদের বিরুদ্ধে মায়ের নালিশ, পরিণতিতে দাম্পত্য কলহ: “আমি কতদিক খেয়াল করব…”, “আমি বাপের বাড়ি চললাম…” ইত্যাদি।
দৃশ্যপট ২:
স্কুলের ইউনিফর্মে কাদা মেখে সন্তানের প্রবেশ। মা বললেন: জামাটা খুলে অমুক বালতিতে রাখ, গোসল করে পরিষ্কার হয়ে এস। ঐ সপ্তাহের ছুটির দিনে হালকা পরিবেশ থাকা অবস্থায় স্বামীকে প্রশ্ন, “আচ্ছা, বাচ্চারা মাঝে-মধ্যে জামায় কাদা মেখে আসে, ওদেরকে জামা কাপড়ের পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগী করতে কী করা যেতে পারে?” স্বামী-স্ত্রীর ঐকমত্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ: এর পর থেকে যেদিন জামা নোংরা করে আনবে, নিজের জামা নিজ হাতে ধুতে হবে। প্রথমে সিদ্ধান্ত জানানোর ব্যবস্থা: সাপ্তাহিক পারিবারিক মিটিং এ যাবতীয় আনন্দদায়ক আলাপ-আলোচনা [ও খাওয়া-দাওয়া] শেষে বাবার ঘোষণা: “শোন, বাচ্চারা। একটা নতুন নিয়ম হয়েছে। কেউ জামায় কাদা মেখে ফিরলে তাকে নিজ হাতে সেটা ধুতে হবে!”
ফলাফল: বাচ্চাদের সতর্কতা, মা-বাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক অটুট থাকা, পরিবারের বয়স্কদের সাথে বচসা না হওয়া, দাম্পত্য সম্পর্ক দৃঢ় থাকা, শৃঙ্খলার প্রশিক্ষণ … এবং আরও অনেক উপকার।
দৃশ্যপট – ১ এর সাথে ২ এর একমাত্র তফাৎ হল ২ এ মা ও বাবার আচরণ স্বতস্ফূর্ত হওয়ার পরিবর্তে পূর্বপরিকল্পিত ছিল।
তৃতীয়ত, আমাদের বুঝতে হবে যে আমাদের মুরব্বীরা চমৎকার ছিলেন, কিন্তু মানুষ হওয়ার কারণেই তাঁদের প্রতিপালনে ভুল-ত্রুটি ছিল, যেমনটি আমাদের প্রতিপালন প্রক্রিয়াতেও ভুল-ত্রুটি আছে, থাকবে। এজন্য কোন একটা পদ্ধতিতে অটল হয়ে গিয়ে শেখার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া হবে আত্মঘাতী। বরং মুরব্বীর দায়িত্ব প্রতিনিয়ত নিজ প্রতিপালন পদ্ধতিকে মূল্যায়ন করা এবং এতে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও উন্নতিসাধন।
উদাহরণ: কারও বাবা তাকে যেদিন সিগারেট হাতে দেখে ফেলেন, এমন পিটিয়েছেন যে তিনি তিনদিন বিছানা থেকে উঠতে পারেননি এবং সারাজীবন তার সেটা মনে ছিল। তিনি নিজ সন্তানের ওপরও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন কি?
না, সেটা উচিৎ হবে না। কেননা এভাবে মারাটা ইসলাম অনুমোদন করে না। উপরন্তু তার সন্তান তার তুলনায় অতিরিক্ত আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন হতে পারে, ফলে সে অভিমান করে উল্টো-পাল্টা কিছু করে বসতে পারে। কিংবা সে তার তুলনায় অতিরিক্ত ভীতু হতে পারে, ফলে সে স্থায়ী মানসিক আঘাতের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারাতে পারে – সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আক্ষেপ কোন কাজে আসবে কি?
এক্ষেত্রে বিকল্প একটি সুন্দর অথচ কার্যকর আচরণ হতে পারে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু না বলা, কেননা যদি তাকে সিগারেট হাতে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়, তবে প্রবৃত্তি অকস্মাৎ কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করবে। বরং সেদিন তাকে কিছু না বলে ধূমপানের ওপর একটা মর্মস্পর্শী বক্তব্য তৈরী করা যেতে পারে। সেই সাথে পরবর্তীতে তার ধূমপানের প্রচেষ্টার ফলাফল হিসেবে কী কী শাস্তি হতে পারে তার একটা তালিকা তৈরী হতে পারে। পরের দিন তাকে ডেকে তালিকাসহ বক্তৃতাটি শোনানো যাক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মর্মস্পর্শী এই বক্তৃতাই সন্তানের মনে অপরাধবোধকে নাড়া দিতে ও কাজটি ত্যাগ করতে তাকে উদ্বুদ্ধ করতে যথেষ্ট হবে – যদি সে এই বদভ্যাসের প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে থাকে।
চতুর্থত, সন্তান প্রতিপালনের পদ্ধতিগুলো স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে পরিবর্তনশীল। পাশ্চাত্যে বড় হওয়া ১০ বছরের একটা বাচ্চা আর বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা ১০ বছরের বাচ্চার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, দুজনকে ঠিক একই ভাষায় তিরস্কার করা কিংবা একই পদ্ধতিতে সংশোধন করা যাবে না।
তেমনি সময়ের পার্থক্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগের রক্ষণশীল সমাজ-ব্যবস্থায় সন্তান প্রতিপালনের জন্য যা যা করণীয় ছিল, সেগুলোই আজকের ‘বিশ্বায়িত’ সমাজ ব্যবস্থায় উপযুক্ত হবে – এ ধারণা সঠিক নয়।
উদাহরণস্বরূপ বর্তমান যুগে কোন একজন বাবা তার ১০ বছরের বাচ্চাকে ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফি সার্চ করতে দেখে যদি এ কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় আঁতকে ওঠেন যে তিনি তার যুগে ১৫/১৬ বছরের আগে এসব বুঝতেনই না, তবে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে ভুল হবে। নিঃসন্দেহে ১০ বছরের একটা বাচ্চার এ ধরনের ‘ইন্টারনেট অ্যাকসেস’ থাকাটাই ভুল হয়েছে। তা সত্ত্বেও ধরা যাক যদি এ রকম কিছু ঘটেই যায়, সেক্ষেত্রে তা বন্ধ ও সংশোধন করতে হবে অবশ্যই, কিন্তু যুগের পার্থক্য মাথায় না রাখাটা হবে মারাত্মক ভুল। বিষয়টিতে শৈথিল্য দেখানোর উদ্দেশ্যে নয়, বরং বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য এ কথা বলা যেতে পারে যে বর্তমান যুগে কারও ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফি সার্চ পূববর্তী প্রজন্মের একজনের মায়ের আচারের বয়াম থেকে চুরি করে আচার খাওয়ার সমতুল্য হতে পারে।
তেমনি একই মা-বাবার প্রত্যেক সন্তানের জন্য প্রযোজ্য প্রতিপালন প্রক্রিয়া এক নাও হতে পারে। বড় ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই পড়ুয়া কিন্তু ছোটটার শারীরিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধূলার প্রবৃত্তি প্রবল, লেখাপড়ায় আগ্রহ কম। এক্ষেত্রে ছোটটিকে বড়টির মত একই পদ্ধতি অবলম্বনে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী করা যাবে না এটাই স্বাভাবিক। এ রকমের পরিস্থিতিতে অনেক মা-বাবাই ছোটটা বড়টার মত না হওয়ার বিষয়টিকে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির এক অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে না দেখে একে ছোটটার ‘দোষ’ গণ্য করে একমাত্র তাকে তিরস্কার করার বিবিধ পথ ও পদ্ধতিতেই বৈচিত্র্য বাড়াতে থাকেন। ফলে সে অমনোযোগীই থেকে যায়। উপরন্তু মা-বাবা থেকে দূরে সরে যায় এবং মা-বাবার আদরের বড় ছেলেকে ঘৃণা করতে শুরু করে।
পঞ্চমত: সন্তান প্রতিপালন মা ও বাবার সম্মিলিত, যৌথ ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফসল। তাই এক্ষেত্রে উভয়ের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, উপলব্ধি, সামাজিক অবস্থান ও সর্বোপরি সন্তান প্রতিপালনে অবলম্বিত পন্থার ব্যাপারে ঐকমত্য অতীব জরুরী একটি বিষয়, যার অভাবে সন্তান প্রতিপালন রশি টানাটানি খেলার মত একটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত প্রক্রিয়ায় পরিণত হতে পারে – যার ফলশ্রুতিতে সন্তানের জীবন ছিন্নভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সন্তান প্রতিপালনে ভুলের অন্যতম উৎস মা ও বাবার ভূমিকা নির্ধারণে ত্রুটি। সমাজের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গী হল বাবার একমাত্র কাজ উপার্জন। বাচ্চার লেখাপড়া থেকে শুরু করে বাকি সব বিষয় মা দেখবেন, বাবা মাস শেষে সংসার খরচের টাকা মার হাতে তুলে দেবেন ।
কিন্তু বাস্তবতা হল বিষয়টি পরিবর্তনশীল। কোন মা এমন যিনি বাচ্চার লেখাপড়া দেখার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু কোন মা এমন যার পক্ষে এই তদারকি সম্ভব নয়, কিংবা তার সে তদারকী বাচ্চার জন্য অপকারী হবে। সেক্ষেত্রে বাবাকে বাচ্চার লেখপড়া দেখতে হবে বা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটকথা পরিস্থিতি বুঝে মা-বাবা উভয়কে নিজ নিজ ভূমিকা নির্বাচন করতে হবে এবং পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব রাখতে হবে। সন্তান প্রতিপালনের বিষয়টি টিম-ওয়ার্ক। একজন আরেকজনকে দোষারোপ করতে থাকলে দল হারবে। একজন আরেকজনের পরিপূরক ভূমিকা পালন করা চাই।
________
– মুহাম্মাদ নাসিল শাহরুখ, ঈমান অ্যারাবিক স্কুল
সন্তান পাল েনর কোন কর্ স এর কোন ব্য বস্ থা আছ িক? অথব া কোন বই?
বই সন্তান প্রতিপালন
http://www.quraneralo.com/raising-children/
জাযাকাল্লাহু খায়রান