পরিবার ও দাম্পত্য

যেমন কর্ম তেমন ফল

অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্কর। সেজন্যই সম্ভবত অ্যালেকজান্ডার পােপ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন

A little learning is a dangerous thing

Drink deep or taste not the Pierian spring.

কোনাে বিষয়ে ভাসা ভাসা জ্ঞান অর্জন করার চেয়ে সে বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝে নেয়াই কাম্য। নতুবা অসম্পূর্ণ জ্ঞানের ওপর আমল করতে গিয়ে অনর্থ সৃষ্টি হয়।

কিছু কিছু আধুনিক ছেলেমেয়েদের এক বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কুরআন, হাদীস, তাফসীর , ফিকহ কিছুই না পড়ে ইউটিউবে কখানা লেকচার দেখে মুই কি হনুরে’ মনে করা। ব্যাস, তাদের না যায় কিছু বলা আর না যায় কিছু বুঝানাে। ব্যাপারটা এতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকলেও হতাে। কিন্তু যখন ওরা এই অপর্যাপ্ত জ্ঞান অনুযায়ী নিজেরা চলে এবং অন্যদের লেকচার দেয় তখন আরও বড় বিপদ দেখা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় আমাদের কিছু বােনরা ধারণা পেয়ে বসেছে যে, শ্বশুরবাড়ির লােকজনের প্রতি তাদের কোনাে দায়দায়িত্ব নেই। সুতরাং তারা অপরপক্ষের সাথে সামান্য সদাচরণটুকুও বজায় রাখা নিষ্প্রয়ােজন মনে করে। স্বামী যেন তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ। সুতরাং স্বামীকে মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে সহযােগিতা করা তাে দূরে থাক; বরং সে নিজে কিছু করলেও বিরক্তি প্রকাশ করে।

নিতান্ত নিরুপায় হয়ে এই বিষয়ে আলােকপাত করতে হচ্ছে। যেহেতু আমাদের এই অবুঝ বােনগুলাের কারণে ইসলামের ব্যাপারে স্বল্পজ্ঞানসম্পন্ন লােকজনের মনে ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা ইসলামকে কটাক্ষ করার সুযােগ পাচ্ছে। অথচ ইসলামের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে যথাসম্ভব মানবীয় দুর্বলতার ঊর্ধ্বে উত্তরণ করতে সহায়তা করা, যাতে সবার অধিকার সংরক্ষিত হয়।

আমরা কুরআন আদ্যোপান্ত পড়লে দেখতে পাই, এখানে এমন কোনাে বিষয় নেই যা আলােচনা করা হয়নি। ঈমান আকিদা থেকে বিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমরনীতি, এমনকি পারস্পরিক আচরণগুলাে পর্যন্ত স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পারস্পরিক আচরণের ক্ষেত্রে যে সম্পর্ক সবচেয়ে সহজ, স্বাভাবিক এবং আন্তরিক, সেই মা-বাবার সাথে সম্পর্কের নিয়ামাবলি পর্যন্ত বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মা-বাবার সাথে কেমন আচরণ করা যাবে, কী করা যাবে না, তা স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে প্রত্যেক সন্তান তার মাতা-পিতার সাথে সদাচরণ করবে, সাধ্যমতাে দেখাশােনা করবে, সকল আদেশ-নিষেধ মান্য করবে (সে সকল ক্ষেত্র ব্যতীত যা আল্লাহ তায়ালার আদেশের বিরুদ্ধে যায়) এবং কখনােই তাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করবে না। এভাবেই ভাইবােন, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু, প্রতিবেশি এমনকি শত্রুর সাথে আচরণ কেমন হবে তা পর্যন্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অথচ কুরআনের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। শ্বশুরবাড়ির সাথে জামাতা বা বউয়ের আচরণ কেমন হবে। আমাদের কিছু কিছু বােন এখান থেকে ধরে নিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির প্রতি আমাদের কোনাে দায়দায়িত্ব নেই। যিনি সবার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কুরআন নাযিল করেছেন, আমরা কীভাবে ধরে নিতে পারি তিনি এই বিষয়টি কোনাে কারণ ছাড়াই সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে গিয়েছেন? এর পেছনে গুঢ় কারণ রয়েছে এবং সেটা অবশ্যই অসাধারণ।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ কোনাে ব্যক্তির ওপর তার সাধ্যাতীত বােঝা চাপান না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার ওপর বর্তায় যা সে করে। (আল বাকারা: ২৮৬)

এতটুকু স্পষ্ট হবার পর আমরা বুঝার চেষ্টা করে দেখতে পারি এই সম্পর্কটি ব্যাখ্যা না করার মাহাত্ম কী।

এখানে দুটো অংশ আছে। প্রথমত, আল্লাহ তায়ালা কাউকে তার সাধ্যাতীত কোনাে কাজের ভার দেন না। মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পুত্র ও কন্যা উভয়ের জন্য ফরয। এটি বাদ দেয়ার কোনাে উপায় নেই। কারাে সাথে শেয়ার করার কোনাে উপায় নেই। পরিমাণ লাঘব করারও কোনাে উপায় নেই। একজন মানুষের সামর্থ্য সীমিত। তাই একটি গুঢ় দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দিয়েছেন। একটি মেয়ে যখন মনে করে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে খুশি করা তার দায়িত্ব, তখন এই চিন্তা তার মনের ওপর জগদ্দল পাথরের মতাে চেপে বসে। কারণ কোনাে সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে গিয়ে সবার মন-মর্জি বুঝে, সবার সেবায় এমনভাবে নিয়ােজিত হয়ে যাওয়া , যাতে তারা সকলে সন্তুষ্ট হয়ে যায়। অথচ এটা স্বাভাবিক মানবীয় দুর্বলতা যে, মানুষ তার মা-বাবার কাছেও নিজের উত্তম প্রচেষ্টার স্বীকৃতি চায়। শ্বশুরবাড়ির লােকজন যদি মেয়েটির সেবা তাদের পাওনা মনে করে তবে তারা মেয়েটির প্রচেষ্টায় আহা! উহু! করে প্রশংসা করার মতাে কিছু দেখতে পায় না। সব ভালােরই আরও ভালাে সংস্করণ হতেই পারে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ অনুদার ও স্বার্থপর হয়ে পড়ে এবং মেয়েটির কৃত সবকিছুকে ফর গ্রান্টেড’ ধরে নেয়। যার ফলে মেয়েটি কী করতে পারল, তার চেয়েও তার আরও কী করা উচিত ছিল সেটাই তাদের কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে মেয়েটি উত্তরােত্তর প্রচেষ্টার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে করতে একসময় মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সাধ্যাতীত পরিশ্রম তাকে করে তুলতে পারে ক্ষুব্ধ, হতাশ ও ভগ্নহৃদয়। ফলে তার আচরণ হয়ে যেতে পারে রুক্ষ ও অনিয়ন্ত্রিত।

সেজন্য আল্লাহ এটা কারাে ওপর দায়িত্ব হিসেবে চাপিয়ে দেননি। এখানেই আল্লাহর দূরদৃষ্টির কাছে আমাদের শির আপনা আপনিই নত হয়ে যায়।

এবার আসছে দ্বিতীয় অংশ, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার ওপর বর্তায় যা সে করে। আল্লাহ মা-বাবার বাইরেও যাদের সাথে আমরা অন্যান্যভাবে সম্পর্কিত; যেমন প্রতিবেশী, সহকর্মী, বন্ধুবর্গ, চেনা-অচেনা লােকজন; সবার প্রতি আমাদের মানবিক দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছেন যার জন্য আমরা জিজ্ঞাসিত হব। এই দায়িত্ব মা-বাবার প্রতি দায়িত্বের মতাে এতখানি কঠোর নয়। আবার দায়িত্বে অবহেলা করার মতাে শিথিলও নয়। এর ফলাফল আমরা আখেরাতেও পাব, দুনিয়াতেও পাব। আমাদের মনে রাখা প্রয়ােজন, দায়িত্ব ব্যতীত অধিকার জন্মায় না। যে ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে হয় সেই ছেলেটি আরেকজনের দীর্ঘকালীন শ্রম এবং প্রচেষ্টার ফলাফল। সুতরাং ছেলেটির ওপর তার যতখানি অধিকার তা শাশুড়ির সাথে ভাগ করে নেয়া তার দায়িত্ব। শাশুড়িকেও বুঝতে হবে তাঁর ছেলের সংসারে আগত মেয়েটি তাঁর ভবিষ্যত বংশধরদের মা। তার সাথে সুসম্পর্কই নিশ্চিত করবে তাঁর আগামী দিনের প্রতিনিধিদের সুন্দর ভবিষ্যত। তাহলে বিয়ের পর বউ শাশুড়ি মিলে একজন পুরুষকে নিয়ে চর দখলের প্রতিযােগিতায় নামবেন না; বরং উভয়ে সচেষ্ট হবেন একটি নির্মল, সুন্দর, সৌহার্দ্যপূর্ণ পারিবারিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে, যেখানে হেসে-খেলে বেড়াবে আগামীর প্রতিনিধিরা। আমাদের মনে রাখা প্রয়ােজন, সে তাই-ই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই-ই তার ওপর বর্তায় যা সে করে। যৌবনে আমরা যদি স্বামীর দখলদারিত্বে মত্ত হই, বৃদ্ধবয়সে আমাদের সন্তানদের কাছে আমরা একই আচরণ ফিরে পাব।

এখন দেখুন, একটি মেয়ে যদি মনে করে শ্বশ্রবাড়ির লােকজনের জন্য কিছু করা তার দায়িত্ব নয়; কিন্তু সে তাদের সাথে হেসে কথা বলা থেকে শুরু করে তাদের জন্য যা কিছু করবে সবকিছুর জন্য তার আখেরাতের খাতায় জমা হতে থাকবে ভুরি ভুরি বােনাস পয়েন্টস, তখন ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে? তখন তাকে কারাে বাধ্য করতে হবে না; বরং সে খুশি হয়ে সবার জন্য ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ হবে। তার চাপ বােধ হবে না। যেহেতু সে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যতটুকু করতে পারবে তার বাইরে তাকে কোনােকিছু করতে বাধ্য করা হবে। এমনকি শ্বশুরবাড়ির কেউ তাকে অ্যাপ্রিশিয়েট না করলেও তাকে সবার সাথে সদ্ব্যবহার করা থেকে ঠেকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে। কারণ সে জানে যার যার জবাবদিহিতা তার তার। ওদের মূল্যায়ন ব্যতিরেকে সে তার বােনাস পয়েন্টস পেয়ে যাবে। উপরন্তু স্বামী যদি স্ত্রীর আত্মীয়-পরিজনের সাথে সদ্ভাব। বজায় রাখে তাতে স্ত্রী যেমন আনন্দিত হয়, স্ত্রী স্বামীর পরিবার পরিজনের সাথে সদাচরণ করলে স্বামীও তেমনই সন্তুষ্ট হয়। শেষতক কেয়ামতের মাঠে স্বামী এবং স্ত্রীই তাে পরস্পর পরস্পরের প্রধান সাক্ষী, তাই একে অপরকে ক্ষেপিয়ে লাভ কী? স্বামী বা স্ত্রীর ওপর জবরদস্তি করে দুনিয়াতে হয়তাে সাময়িক জিত হয়, কিন্তু আখেরাত পুরােটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আনন্দের কথা হলাে, দুনিয়াতে কিছু ধৈর্য ও ত্যাগের বিনিময় যে শুধু পরকালে মিলবে তা কিন্তু নয়, এর আংশিক পুরস্কার আমরা জীবদ্দশাতেই পেয়ে যাব।

অপরদিকে শ্বশুরবাড়ির সবার কাছে যদি ব্যাপারটা পরিষ্কার থাকে যে, বউ মানবিক সম্পর্কের বাইরে তাদের কারাে জন্য কিছু করতে বাধ্য নয় তখন সে তাদের সাথে হেসে কথা বললেও তারা আনন্দিত হবেন। তার বাইরে আরও কিছু করলে তাে আল্লাদে আটখানা হয়ে যাবেন। ‘যে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়।

মুসনাদে আহমদ, তিরমীযি এই কথা মাথায় রেখে তারা মেয়েটির সকল প্রচেষ্টাকেই স্বাগত জানাবেন, অ্যাপ্রিশিয়েট করবেন। তখন স্বাভাবিকভাবেই উভয়ের মাঝে সৃষ্টি হবে একটি সুমধুর সম্পর্ক। পুরুষদের বেলাতেও এটি সমভাবে প্রযােজ্য।

শ্বশুরবাড়ির প্রতি দায়িত্ব চাপিয়ে না দেয়ার পেছনে এটিই মূল রহস্য।

আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং পরকালে তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে আত্মরক্ষা করা। এই লক্ষ্য অর্জন করার জন্য মহান আল্লাহ আমাদের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা হলাে,

“তােমরা দৌড়ে এসাে তােমাদের প্রভুর ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে, যার প্রশস্ততা মহাকাশ এবং পৃথিবীর মতাে। তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্যে। যারা ব্যয় (দান) করে সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায়, যারা রাগ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল-কোমল। আর আল্লাহ তাে কল্যাণকামীদেরই ভালােবাসেন। (আলে ইমরান: ১৩৩-১৩৪)

জান্নাতের পথে ছুটে চলার সময় যদি কারাে সাথে ভুল বুঝাবুঝি হয়, তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ মনােভাব সৃষ্টি হয়, তবে এর বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করে দেবেন ভেবে তাদের মাফ করে দিলে নিজের চলার গতি বৃদ্ধি হয়। আমাদের দৃষ্টি যদি আমাদের লক্ষ্যের দিকে নিবদ্ধ থাকে, তাহলে আশেপাশে বিদ্যমান বাঁধাবিপত্তি চলার পথে সাময়িক বিঘ্ন সৃষ্টি করলেও আমাদের লক্ষ্যচ্যুত করতে পারবে না। একটি আয়াত আমাদের মাথায় স্পষ্ট হওয়া প্রয়ােজন, তা হলাে,

‘পৃথিবীর উপর যা কিছু আছে সেগুলাে আমরা এর শােভা বানিয়ে দিয়েছি মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য যে, আমলের দিক থেকে তাদের মধ্যে কে উত্তম? (আল কাহফ: ৭)

সুতরাং পৃথিবীস্থ কোনাে কিছুই আমাদের লক্ষ্যবস্তু হবার উপযুক্ত নয়। পৃথিবীতে আমাদের সাময়িক অবস্থান কেবল পরীক্ষার নিমিত্ত মাত্র। আল্লাহ তায়ালা দেখতে চান আমাদের মাঝে কে নিজের প্রভুকে ভালােবেসে তাঁর সন্তুষ্টিকে লক্ষ্য বানিয়ে এগিয়ে যায়। আর কে পথের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেলনাসদৃশ বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মূল লক্ষ্য ভুলে বসে থাকে। তবে যে লক্ষ্যের ওপর অটল থাকে, সে বিজয়ী হবেই। যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, তার প্রতিযােগিতায় পুরস্কার পাবার কোনাে যৌক্তিকতা নেই বলাই বাহুল্য।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা বিবেচনা করি, তাহলে অনেক কিছুই বুঝা অনেক সহজ হয়ে যায়। জীবনের আপাতদৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই তখন তুচ্ছ বা অপ্রয়ােজনীয় মনে হয়। অনেক ব্যর্থতা এবং না পাওয়ার বেদনা তখন হাসির উদ্রেক করে।

বিয়ে শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং এটি ইহকাল ও পরকালের জীবনকে সাজানাের জন্য দুজনের পার্টনারশিপ। এতে আনুষাঙ্গিক ব্যাপারগুলােকে প্রাধান্য দিয়ে এত দুঃখ, বেদনা ও দ্বন্দ্বের অবতারণা না করে নিজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবার মাঝেই সাফল্য নিহিত।

– রেহনুমা বিনতে আনিস

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button