জীবনের বাঁকে বাঁকে

বন্ধু, এখন আর তোকে আগের মত ভালোবাসি না, তাই না?

তুই আমার উপরে যে রাগ করে আছিস সেটা আমি বুঝি রে বন্ধু! এখন আর তোর বার্থ ডে, ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি, বাচ্চাদের জন্মদিন- কোনকিছুতেই উইশ করি না, এমনকি ফেইসবুকেও না। আমি তোর ফ্রেন্ডলিস্টে থেকেও তোর বেশিরভাগ স্টেইটাস আপডেটে লাইক/কমেন্ট করি না। অথচ তুই-আমি কত ঘনিষ্ঠ জীবন যাপন করেছি! ভাবছিস এখন আর তোকে আগের মত ভালোবাসি না, তাই না?

সত্যি বলতে কী- এখন তোকে বরং আগের চেয়েও অনেক বেশি ভালোবাসি। আগে বিভিন্ন ওকেশনে তোর বাসায় যেতাম, তোর সাথে আড্ডা দিতাম, তোর বউও যোগ দিত গল্পে। আমার দৃষ্টিকে শাসন করতাম না তখন। খেয়ানত হয়ে যেত। এখন সামনাসামনি তো যাই ই না, এমনকি ফেইসবুকে তুই তোর বউয়ের ছবি আপলোড দিলেও পোস্ট হাইড করে ফেলি।

মুসলিম হিসেবে যেসব দিবস পালন করা হারাম, সেগুলোর ব্যাপারে তুই এখনো সচেতন না। কিন্তু আমি জানি তুই কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিস। তবু কেমন করে তোকে আমি উইশ করি বল?

তুই একটা কবিতা লিখলে, শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে, অথবা দল বেঁধে কোথাও মজা করতে গেলে তোর অন্য বন্ধুরা কত এপ্রেশিয়েট করে! আমি করি না। দূর থেকে শুধু দু’আ করি যেন আকাশের মালাইকারা (ফেরেশতা) একদিন তোকে এপ্রেশিয়েট করে, তারা প্রশ্ন করে, “কে এই পবিত্র আত্মা?”

আত্মা কীভাবে পবিত্র হয় জানিস তো?

বান্দা যদি তার পাপ দিয়ে আসমান-যমীন পরিপূর্ণ করে ফেলে, তারপর সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয়ে তার রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, যদি পুনরায় সে অন্ধকারে ফিরে না যায়, যদি স্বেচ্ছাচারিতাগুলোকে বেঁধে ফেলে নিয়মের শাসনে, তাহলে মহান আল্লাহ্ সুবহানা তা’য়ালা ঐ বান্দার সমস্ত গুনাহ্ ক্ষমা করে দেন।

তখন ঐ ব্যক্তি নবজাত শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে যায়।

আমি তোর সেই নব জন্মের প্রতীক্ষায় রইলাম বন্ধু..

 

– মাহমুদুর রহমান

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Back to top button