পরিবার/দাম্পত্য

আমি আমার দাদীর বুকের দুধ খেয়ে বড় হয়েছি। অতঃপর গত ২ বছর পূর্বে আমার আপন ফুফুর মেয়ের সাথে আমার বিবাহ হয়েছে। এ বিবাহ কি সঠিক হয়েছে?

উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ এক্ষেত্রে দাদী দুধ মা হওয়ায় উক্ত মেয়েটি আপনার দুধ বোনের মেয়ে তথা আপন ভাগ্নী হিসাবে গণ্য হবে। যাকে বিবাহ করা হারাম (নিসা ৪/২৩) । রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর চাচা হামযা (রাঃ) একই মায়ের দুধপান করেছিলেন। সেকারণ হামযার মেয়ের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হ’লে তিনি বলেন, সে আমার জন্য হালাল নয়। কেননা সে আমার দুধ ভাইয়ের মেয়ে। বংশীয় সূত্রে যে সকল মহিলাকে বিবাহ করা হারাম, দুগ্ধ পান সূত্রেও সেসকল মহিলাকে বিবাহ করা হারাম (বুখারী হা/২৬৪৫; মুসলিম হা/১৪৪৭; মিশকাত হা/৩১৬১) । সে রাসূলের চাচাতো বোন। কিন্তু দুধপানের কারণে ভাতিজী হয়ে গেছে। অনুরূপ ফুফাতো বোন হওয়া সত্ত্বেও দুধপানের কারণে এখন সে আপনার আপন ভাগ্নীতে পরিণত হয়েছে। অতএব উক্ত বিবাহ বিচ্ছিন্ন করা আবশ্যক (বুখারী, মিশকাত হা/৩১৬৯) ।

২টি মন্তব্য

  1. আসসালামুআ’লাইকুম ওয়ারা’হমাতুল্লাহ। একটা বিষয়ের মাসালা জানার জন্য আপনার শরনাপন্ন হলাম। বিষয়টা হলো অন্য সময়ের মতো মসজিদে নামাজ পডতে গেলে দোয়া পড়ে মসজিদে ঢুকে সালাম দিই। তখন অনেক মুসুল্লি সুন্নত বা নফল নামাজ আদায়রত থাকে। এদের মধ্যে কিছু মুসুল্লি আমার সালাম নিয়ে আপত্তি তুলেছে, সালাম দিলে নাকি তাদের নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটে। আজকে ফযর ওয়াক্ত শেষে বাসায় ফেরার পথে আপত্তি তোলা একজন বললো, মসজিদে ঢুকে সালাম দেওয়াটা সুন্নত কিনা? রাসুল (সাঃ) মসজিদে ঢুকে সালাম দিতেন কিনা? আমি শুধু বলেছি, মসজিদে ঢুকে সালাম দেওয়া যাবেনা এটা কোন ইমামের মুখ থেকে শুনিনি। যদি সালাম দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকতো তাহলে যুমার খোতবা দিতে মিম্বরে উঠার সময় ইমাম সাহেবরা সালাম দিতেন না। কারণ তখনো অনেক মুসল্লী সুন্নত/ নফল সালাত আদায়রত অবস্থায় থাকে। যাই হোক, পরে সিদ্ধান্ত হলো আমরা কোন আলেমের নিকট থেকে ফয়সালা নিবো যারা কোরান ও হাদিস সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখেন। তাই এ বিষয়ে আপনার মতামত জানিয়ে একটি সুন্দর সমাধানে পৌঁছতে সহায়তা করবেন এই প্রত্যাশায়। জাজাকুমুল্লাহ

মন্তব্য করুন

Back to top button