ভাবুন তো ১৯৫৩ সালে হজ্জ পালনের বিষয়টি কেমন ছিল? যদিও এটি মাত্র ৬২ বছর আগের কথা; কিন্তু এই সময়ের মাঝে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা ও ব্যবস্থাপনায় এসেছে ব্যপক পরিবর্তন। যার অন্যতম কারণ হল হজ্জযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি। সেই সময়ের কিছু চিত্র এখানে উপস্থাপন করা হলো-
আনেক হজ্জযাত্রী মক্কায় যেতেন ফেরি কিংবা জাহাজে। তখনকার দিনে বিমানে ভ্রমন অতটা সহজলভ্য ছিল না, এখনকার মত এত ব্যপকভাবে প্রচলনও ছিল না।
যাদের সামর্থ্য ছিল তারা আশপাশের দেশ থেকে ছোট ছোট বিমানে মক্কায় পৌছাতেন।
সেসময়ও হাজীগণ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে বাস ব্যবহার করতেন।
হজ্জকার্য সম্পাদনের এলাকায় শুধুমাত্র মুসলিমদেরই প্রবেশাধিকার ছিল।
বাড়িঘর এবং হোটেলসমূহ মসজিদের বাইরে থেকেই দেখা যেত। যার অধিকাংশই মসজিদে প্রবেশের সুবিধার্থে পরিস্কার করে ফেলা হয়েছে।
মক্কার একটি ব্যস্ত রাস্তা। অটোম্যান স্টাইলের একটি মিনার দেখা যাচ্ছে।
মসজিদুল হারামের অন্যতম একটি প্রবেশপথ।
মসজিদের প্রবেশপথের বাইরে হাজীগণের অবস্থান।
কা‘বা এলাকা। সাধারণ, সাদামাটা।
কা‘বা। কাছ থেকে দৃশ্যমান।
হাজীগণ কা‘বার ভিতরে প্রবেশ করতে পারতেন।
তখনকার দিনে কা‘বার চারপাশে তাওয়াফ করা ছিল তুলনামূলক সহজ। লোকজনের ভিড় ছিল অনেক কম।
মসজিদুল হারামের কাছের একটি বাজারের দৃশ্য।
বাজারের দৃশ্য।
বাজারের দৃশ্য
পরিবহনের কাজে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার ছিল।
হাজীগণ কুরবানী‘র জন্য পশু পছন্দ করছেন।
হজ্জের সময় হাজীগণ তাদের পশুগুলোকে সাথেই রাখতে পারতেন।
গাধার পিঠে কুরবানীর পর পশুর দেহাবশেষ পরিবহন করা হচ্ছে।
মীনা -তে রান্নাবান্নার কাজ চলছে।
হাজীগণ তাদের উটের পাশেই ছালাত আদায় করছেন।
তাবু গুটিয়ে হাজীগণ পরবর্তী ধাপের দিকে যাচ্ছেন।
হাজীগণ জামারায় শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর নিক্ষেপ করছেন।
একজন হাজী তার মাথা ন্যাড়া করছেন।
গরমে হাজীগণ কোমল পানীয়ের দোকানে ভিড় করেছেন।
অনুবাদ: এম.এ. ইমরান
ছবি: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন