পরিবার ও দাম্পত্য

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

বিবাহ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একটি সুদৃঢ় বন্ধনআল্লাহ তাআলা এর চির স্থায়িত্ব পছন্দ করেন, বিচ্ছেদ অপছন্দ করেনএরশাদ হচ্ছে

তোমরা কীভাবে তা (মোহরানা) ফেরত নিবে ? অথচ তোমরা পরস্পর শয়ন সঙ্গী হয়েছসাথে সাথে তারা তোমাদের থেকে চির বন্ধনের সুদৃঢ় অঙ্গিকারও নিয়েছে [১]

এ চুক্তিপত্র ও মোহরানার কারণে ইসলাম স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে কতক দায়দায়িত্ব ও অধিকার নিশ্চিত করেছেযা বাস্তবায়নের ফলে দাম্পত্য জীবন সুখী ও স্থায়ী হবেসন্দেহ নেইসে সব অধিকারের প্রায় সবগুলোই সংক্ষেপ আকারে বর্ণিত হয়েছে কোরআনের আয়াতে

যেমন নারীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমন তাদের জন্যও অধিকার রয়েছে ন্যায্য-যুক্তিসংগত ও নীতি অনুসারেতবে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব পুরুষদেরআল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় [২]

আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে বর্ণনা করেছেন যে, প্রত্যেকের উপর প্রত্যেকের অধিকার রয়েছেযদিও আনুগত্য এবং রক্ষনা-বেক্ষন ও অভিভাবকত্বের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠত্ব পুরুষদেরএখানে আমরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে বিরাজমান কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধিকার স্তর ও মানের ভিত্তিতে উল্লেখ করছি

প্রথমত:

যে সব অধিকারের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সমান:

দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক সততা, বিশ্বস্ততা ও সদ্ভাব প্রদর্শন করা

যাদের মাঝে নিবিড় বন্ধুত্ব, অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক, অধিক মেলামেশা, সবচেয়ে বেশি আদান-প্রদান তারাই স্বামী এবং স্ত্রীএ সম্পর্কের চিরস্থায়ী রূপ দিতে হলে ভাল চরিত্র, পরস্পর সম্মান, নম্র-ভাব, হাসি-কৌতুক এবং অহরহ ঘটে যাওয়া ভুলচুক ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা অবশ্যম্ভাবীএবং এমন সব কাজ, কথা ও ব্যবহার পরিত্যাগ করা, যা উভয়ের সম্পর্কে চির ধরে কিংবা মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়আল্লাহ বলেন

তাদের সাথে তোমরা সদ্ভাবে আচরণ কর [৩]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন

তোমাদের মাঝে যে নিজের পরিবারের কাছে ভাল, সেই সর্বোত্তমআমি আমার পরিবারের কাছে ভাল [৪]

পরস্পর সদ্ভাবে জীবন যাপন একটি ব্যাপক শব্দএর মাঝে সমস্ত অধিকার বিদ্যমান

পরস্পর একে অপরকে উপভোগ করা

এর জন্য আনুষঙ্গিক যাবতীয় প্রস্তুতি ও সকল উপকরণ গ্রহণ করাযেমন সাজগোজ, সুগন্ধি ব্যবহার এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ দুর্গন্ধ ও ময়লা কাপড় পরিহার ইত্যাদিস্বামী স্ত্রী প্রত্যেকের এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখাঅধিকন্তু এগুলো সদ্ভাবে জীবন যাপনেরও অংশইবনে আব্বাস রা. বলেন

.

আমি যেমন আমার জন্য স্ত্রীর সাজগোজ কামনা করি, অনুরূপ তার জন্য আমার নিজের সাজগোজও পছন্দ করি

তবে পরস্পর এ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য উভয়কেই হারাম সম্পর্ক ও নিষিদ্ধ বস্তু হতে বিরত থাকতে হবে

বৈবাহিক সম্পর্কের গোপনীয়তা রক্ষা করা

সাংসারিক সমস্যা নিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা না করাই শ্রেয়স্বামী-স্ত্রীর মাঝে উপভোগ্য বিষয়গুলো গোপন করারাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন

কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে সর্ব-নিকৃষ্ট ব্যক্তি সে, যে নিজের স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং যার সাথে তার স্ত্রী মিলিত হয়, অতঃপর সে এর গোপনীয়তা প্রকাশ করে বেড়ায় [৫]

পরস্পর শুভ কামনা করা, সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়া

আল্লাহর আনুগত্যের ব্যাপারে একে অপরকে সহযোগিতা করাস্বামী-স্ত্রী উভয়ে একে অপর থেকে উপদেশ পাওয়ার অধিক হকদারদাম্পত্য জীবন রক্ষা করা উভয়েরই কর্তব্যআর এর অন্তরভূক্ত হচ্ছে, পরস্পর নিজ আত্মীয়দের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করা

সন্তানদের লালন-পালন ও সুশিক্ষার ব্যাপারে উভয়েই সমান, একে অপরের সহযোগীআল্লাহ তাআলা বলেন

তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ব্যপারে পরস্পরকে সহযোগিতা কর [৬]

দ্বিতীয়ত :

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য

সুখকর দাম্পত্য জীবন, সুশৃঙ্খল পরিবার, পরার্থপরতায় ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন অটুট রাখার স্বার্থে ইসলাম জীবন সঙ্গিনী স্ত্রীর উপর কতিপয় অধিকার আরোপ করেছেগুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এখানে প্রদত্ত হল

১. স্বামীর আনুগত্য :

স্বামীর আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্যতবে যে কোন আনুগত্যই নয়, বরং যেসব ক্ষেত্রে আনুগত্যের নিম্ন বর্ণিত তিন শর্ত বিদ্যমান থাকবে

(ক) ভাল ও সৎ কাজ এবং আল্লাহর বিধান বিরোধী নয় এমন সকল বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অবাধ্যতায় কোন সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয়

(খ) স্ত্রীর সাধ্য ও সামর্থ্যরে উপযোগী বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা কারণ আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্বারোপ করেন না

(গ) যে নির্দেশ কিংবা চাহিদা পূরণে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, সে ব্যাপারে স্বামীর আনুগত্য করা

আনুগত্য আবশ্যক করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন

নারীদের উপর পুরুষগণ শ্রেষ্ঠত্ব ও কর্তৃত্বের অধিকারী [৭]

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন

পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বকারীকারণ আল্লাহ তাআলা-ই তাদের মাঝে তারতম্য ও শ্রেষ্ঠত্বের বিধান রেখেছেনদ্বিতীয়ত পুরুষরাই ব্যয়-ভার গ্রহণ করে [৮]

উপরন্তু এ আনুগত্যের দ্বারা বৈবাহিক জীবন স্থায়িত্ব পায়, পরিবার চলে সঠিক পথেনবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বামীর আনুগত্যকে এবাদতের স্বীকৃতি প্রদান করে বলেন

যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসের রোজা রাখে এবং নিজের লজ্জাস্থান হেফাজত করে ও স্বীয় স্বামীর আনুগত্য করে, সে, নিজের ইচ্ছানুযায়ী জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে [৯]

স্বামীর কর্তব্য, এ সকল অধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে আল্লাহর বিধানের অনুসরণ করাস্ত্রীর মননশীলতা ও পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে সত্য-কল্যাণ ও উত্তম চরিত্রের উপদেশ প্রদান করা কিংবা হিতাহিত বিবেচনায় বারণ করাউপদেশ প্রদান ও বারণ করার ক্ষেত্রে উত্তম আদর্শ ও উন্নত মননশীলতার পরিচয় দেয়া এতে সানন্দ চিত্তে ও স্বাগ্রহে স্ত্রীর আনগত্য পেয়ে যাবে

২. স্বামী-আলয়ে অবস্থান:

নেহায়েত প্রয়োজন ব্যতীত ও অনুমতি ছাড়া স্বামীর বাড়ি থেকে বের হওয়া অনুচিতমহান আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নারীদের ঘরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেনতিনি তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্ত্রীদের সম্বোধন করে বলেনসকল নারীই এর অন্তর্ভুক্ত

তোমরা স্ব স্ব গৃহে অবস্থান কর, প্রাচীন যুগের সৌন্দর্য প্রদর্শনের মত নিজেদের কে প্রদর্শন করে বেড়িও না [১০]

স্ত্রীর উপকার নিহিত এবং যেখানে তারও কোন ক্ষতি নেই, এ ধরনের কাজে স্বামীর বাধা সৃষ্টি না করাযেমন পর্দার সাথে, সুগন্ধি ও সৌন্দর্য প্রদর্শন পরিহার করে বাইরে কোথাও যেতে চাইলে বারণ না করাইবনে উমর রা. বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

আল্লাহর বান্দিদেরকে তোমরা আল্লাহর ঘরে যেতে বাধা দিয়ো না [১১]

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা: এর স্ত্রী যয়নব সাকাফী রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলতেন

তোমাদের কেউ মসজিদে যাওয়ার ইচ্ছে করলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে না [১২]

. নিজের ঘর এবং সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা

স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করাস্বামীর সাধ্যের অতীত এমন কোন আবদার কিংবা প্রয়োজন পেশ না করারাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন

স্ত্রী স্বীয় স্বামীর ঘরের জিম্মাদারএ জিম্মাদারির ব্যাপারে তাকে জবাবদেহিতার সম্মুখীন করা হবে [১৩]

. নিজের সতীত্ব ও সম্মান রক্ষা করা

পূর্বের কোন এক আলোচনায় আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একটি হাদিস এ মর্মে উল্লেখ করেছি যে, নিজেকে কখনো পরীক্ষা কিংবা ফেতনার সম্মুখীন না করা

. স্বামীর অপছন্দনীয় এমন কাউকে তার ঘরে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া

হোক না সে নিকট আত্মীয় কিংবা আপনজনযেমন ভাই-বেরাদাররাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

তোমাদের অপছন্দনীয় কাউকে বিছানায় জায়গা না দেয়া স্ত্রীদের কর্তব্য [১৪]

স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত নফল রোজা না রাখাকারণ, রোজা নফলআনুগত্য ফরজরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন

নারীর জন্য স্বামীর উপস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া রোজা রাখা বৈধ নয়অনুরূপ ভাবে অনুমতি ব্যতীত তার ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়াও বৈধ নয় [১৫]

তৃতীয়ত :

স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য, সুখকর দাম্পত্য জীবন, সুশৃঙ্খল পরিবার, পরার্থপরতায় ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন অটুট রাখার স্বার্থে ইসলাম জীবন সঙ্গী স্বামীর উপর কতিপয় অধিকার আরোপ করেছেগুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এখানে প্রদত্ত হল

১. দেন মোহর

নারীর দেন মোহর পরিশোধ করা ফরজএ হক তার নিজের, পিতা-মাতা কিংবা অন্য কারো নয়আল্লাহ তাআলা বলেন

তোমরা প্রফুল্ল চিত্তে স্ত্রীদের মোহরানা দিয়ে দাও [১৬]

২. ভরন পোষণ

সামর্থ্য ও প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী স্ত্রীর ভরন-পোষণ করা স্বামীর কর্তব্যস্বামীর সাধ্য ও স্ত্রীর মর্তবার ভিত্তিতে এ ভরন-পোষণ কম বেশি হতে পারেঅনুরূপ ভাবে সময় ও স্থান ভেদে এর মাঝে তারতম্য হতে পারেআল্লাহ তাআলা বলেন

বিত্তশালী স্বীয় বিত্তানুযায়ী ব্যয় করবেআর যে সীমিত সম্পদের মালিক সে আল্লাহ প্রদত্ত সীমিত সম্পদ হতেই ব্যয় করবেআল্লাহ যাকে যে পরিমাণ দিয়েছেন, তারচেয়েবেশি ব্যয় করার আদেশ কাউকে প্রদান করেন না[১৭]

৩. স্ত্রীর প্রতি স্নেহশীল ও দয়া-পরবশ থাকা

স্ত্রীর প্রতি রূঢ় আচরণ না করাতার সহনীয় ভুলচুকে ধৈর্যধারণ করাস্বামী হিসেবে সকলের জানা উচিত, নারীরা মর্যাদার সম্ভাব্য সবকটি আসনে অধিষ্ঠিত হলেও, পরিপূর্ণ রূপে সংশোধিত হওয়া সম্ভব নয়রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামীকারণ, তারা পাঁজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টপাঁজরের উপরের হাড়টি সবচেবেশি বাঁকা। (যে হাড় দিয়ে নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে) তুমি একে সোজা করতে চাইলে, ভেঙে ফেলবেআবার এ অবস্থায় রেখে দিলে, বাঁকা হয়েই থাকবেতাই তোমরা তাদের কল্যাণকামী হও, এবং তাদের ব্যাপারে সৎ-উপদেশ গ্রহণ কর[বুখারি]

৪. স্ত্রীর ব্যাপারে আত্মমর্যাদাশীল হওয়া

হাতে ধরে ধরে তাদেরকে হেফাজত ও সুপথে পরিচালিত করাকারণ, তারা সৃষ্টিগতভাবে দুর্বল, স্বামীর যে কোন উদাসীনতায় নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অপরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে

এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীর ফেতনা হতে খুব যতœ সহকারে সতর্ক করেছেনতিনি বলেন

আমার অবর্তমানে পুরুষদের জন্য নারীদের চেবেশি ক্ষতিকর কোন ফেতনা রেখে আসিনি[১৮]

নারীদের ব্যাপারে আত্মম্ভরিতার প্রতি লক্ষ্য করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন

তোমরা সাআদ এর আবেগ ও আত্মসম্মানবোধ দেখে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছআমি তার চেবেশি আত্মসম্মানবোধ করি, আবার আল্লাহ আমারচেবেশি অহমিকা সম্পন্ন [১৯]

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, যার মাঝে আত্মমর্যাদাবোধ নেই সে দাইয়ূছ (অসতী নারীর স্বামী, যে নিজ স্ত্রীর অপকর্ম সহ্য করে)হাদিসে এসেছে

দাইয়ূছ জান্নাতে প্রবেশ করবে না [২০]

মানুষের সবচেয়ে বেশি আত্মমর্যাদার বিষয় নিজের পরিবারএর ভেতর অগ্রাধিকার প্রাপ্ত স্বীয় স্ত্রীঅতঃপর অন্যান্য আত্মীয় স্বজন এবং অধীনস্থগণ

পরিশেষে নির্ঘাত বাস্তবতার কথা স্বীকার করে বলতে হয়, কোন পরিবার সমস্যাহীন কিংবা মতবিরোধ মুক্ত নয়এটাই মানুষের প্রকৃতি ও মজ্জাগত স্বভাবএর বিপরীতে কেউ স্বীয় পরিবারকে নিষ্কণ্টক অথবা ঝামেলা মুক্ত কিংবা ফ্রেশ মনে করলে, ভুল করবেকারণ, এ ধরাতে সর্বোত্তম পরিবার কিংবা সুখী ফ্যামিলির একমাত্র উদাহরণ আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরিবার ও ফ্যামিলিসেখানেও আমরা মানবিক দোষ-ত্রুটির চিত্র দেখতে পাই, অন্য পরিবারের পবিত্রতা কোথায় ?

জ্ঞানী-গুণীজনের স্বভাব ভেবে-চিন্তে কাজ করা, ত্বরা প্রবণতা পরিহার করা, ক্রোধ ও প্রবৃত্তিকে সংযমশীলতার সাথে মোকাবিলা করাকারণ, তারা জানে যে কোন মুহূর্তে ক্রোধ ও শয়তানের প্ররোচনায় আত্মমর্যাদার ছদ্মাবরণে মারাত্মক ও কঠিন গুনাহ হয়ে যেতে পারেযার পরিণতি অনুসূচনা বৈকি? আবার এমনও নয় যে, আল্লাহ তাআলা সমস্ত কল্যাণ ও সুপথ বান্দার নখদর্পে করে দিয়েছেনতবে অবশ্যই তাকে মেধা, কৌশল ও বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হবে

সমাপ্ত

লেখকঃ আখতারুজ্জামান মোহাম্মাদ সুলাইমান

সম্পাদনাঃ ইকবাল হোসাইন মাসুম

[১]নিসা : ২০

[২]বাকারা : ২২৭

[৩]নিসা : ১৮

[৪]ইবনে মাজাহ : ১৯৬৭

[৫]মুসলিম : ২৫৯৭

[৬]মায়েদা : ২

[৭]বাকারা : ২২৭

[৮]নিসা : ৩৪

[৯]আহমাদ : ১৫৭৩

[১০]আহজাব : ৩৩

[১১]বুখারী: ৮৪৯

[১২]মুসলিম : ৬৭৪

[১৩]বুখারী: ২৫৪৬

[১৪]মুসলিম : ২১৩৭

[১৫]বুখারী : ৪৭৬৯

[১৬]নিসা : ৪

[১৭]তালাক : ৭

[১৮]বুখারী:৪৭০৬

[১৯]মুসলিম : ২৭৫৫

[২০]দারামি : ৩৩৯৭

মন্তব্য করুন

Back to top button