বাঙালী বীরের জাতি
যুদ্ধ করে ইসরায়েলের তিনটা প্লেন ফেলে দেওয়ার রেকর্ড এই পৃথিবীতে একজন মানুষেরই আছে। গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম। এই তিনটা প্লেন তিনি ফেলেছেন মাত্র দুটো মিশনে।
১৯৬৭ সালের আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের ঘটনা।
তার আগেই মিশরের প্লেনগুলো মাটিতে থাকা অবস্থায় ইসরায়েলিরা বম্বিং করে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
পাকিস্তান এয়ার ফোর্স থেকে ধার করা এই এইস পাইলট একবার জর্দানের হয়ে আরেকবার ইরাকের হয়ে যুদ্ধ করেছেন।
তারও আগে ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধে বোমারু বিমান দিয়ে ভারতীয় জঙ্গী বিমানকে হারান তিনি।
পাকিস্তান-ইরাক-জর্দান-বাংলাদেশ চারটা দেশের হয়ে যুদ্ধ বিমান চালিয়েছেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে অনেকগুলো ফ্রন্টে সম্মুখ সমরেও নেমেছিলেন তিনি।
বাঙালী বীরের জাতি – এটা মিথ্যা কথা।
বাংলাদেশে বীর হিসেবে গণ্য করা হয় এভারেস্ট চড়াকে। ভিক্ষে করে পাহাড়ে ওঠাকে। অথচ এই কাজ হাজার হাজার মানুষ করছে, প্রতিবছর করে।
বাঙালি বোঝেই না কে ফকির আর কে বীর যোদ্ধা।
তবে সাইফুল আজম যে এই দেশে জন্ম নেওয়া আঙুলে গোণা বীরদের মধ্যে একজন এটা সত্যি। তিনি যা করেছেন তা কেউ করতে পারেনি, জানি না এর পরে মুসলিমদের মধ্যে এমন মানুষ কবে আসবে।
তিনি মারা গেলেন গত ১৪ই জুন, ২০২০ তারিখে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা উনাকে রহম করুন, উনার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে উনাকে জান্নাতবাসী করুন।
আমরা ছোটবেলা থেকে হিরো হিসেবে দেখে এসেছি কোমর দুলিয়ে নাচা ভারতীয় হিজরেদের। এটা আমাদের বদনসীব।
এ কারণেই আমরা বীরত্ব বুঝি না। এ জন্যই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শুধু ২০১৯ সালেই ৪৩ জন বাংলাদেশি খুন হয়েছে ভারতীয়দের গুলিতে।
অথচ, পাকিস্তান, চীন এমনকি হিন্দু নেপাল পর্যন্ত ভারতের সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন সহ্য করে না। ভারত সেখানে মার খায়।
দিল্লিতে যে রায়ট হয়ে গেল যেখানে শয়ে শয়ে মুসলিমদের লাশ পাওয়া গেছে ড্রেনে সেখানকার চার্জশিটে বিজেপি নেতাদের নাম নেই। হিন্দুরাও নেই। মুসলিমরাই আসামী। এটাই ভারতের ন্যায় বিচার।
আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের শেখাই তার হিরো সাইফুল আজমরা। উমার মুখতার। মুহাম্মাদ বিন কাসিম, বখতিয়ার খিলজি। খালিদ বিন ওয়ালিদ।
আমাদের আসল নায়ক কারা তাদের না চিনলে আত্মার বন্দীদশা কাটবে না।
কোনটা আসলে বীরত্বের সেটা না বুঝলে ভারতের গোলামীর এই জীবন আমাদের শেষও হবে না।
Sharif Abu Hayat Opu