নির্বাচিত ফেসবুক স্ট্যাটাস

নারীবাদীরা কি যৌতুক আবার ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে?

নারীবাদীদের এতকাল যৌতুকের বিরোধিতা করতে দেখেছি। তবে এখন দেখছি তারা যৌতুকের বিষয়টা আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছে।

ফেমিনাৎসি ফারজানা মাহবুবার একটা পোস্ট চোখে পড়লো সে লিখেছে কারো মেয়ে বা বোন যদি বিদেশে থাকে আর তাদের স্বামীর যদি বাড়ি থাকে তাইলে তারা যেন নিশ্চিত করে বাড়ির মালিকানায় তাদের নাম থাকে। বাড়ি যেন স্বামীর একার নামে না হয়। এর কারণ, এবিউসিভ সম্পর্কে মেয়েরা দুর্ভোগের স্বীকার হয় কারণ তাদের ফাইনানশিয়াল গ্রাউন্ড শক্ত না। যে স্বামীর বাড়ি কেবল তার একার নামে, তার “অবশ্যই” কোনো কুমতলব আছে।

প্রথমত, পশ্চিমা দেশগুলোতে সিঙ্গেল প্যারেন্টদের জন্য বিরাট সুযোগ-সুবিধা আছে। সরকার তাদের থাকা-খাওয়া এবং বাচ্চা পালন করার জন্য ভালো অংকের অর্থ দেয়। এতটাই সুযোগ সুবিধা দেয় যে মানুষ খুব ছোটোখাটো কারণেও সম্পর্ক শেষ করে ফেলে কারণ সে জানে সরকার থেকে টাকা পয়সা আসবে। এমনকি অনেক সময় সিঙ্গেল প্যারেন্টরা ইচ্ছে করেই সরকারের এই সিস্টেমকে এবিউস করে। এখানে সম্পর্কের টানাপড়েন হলে এত চিন্তার কিছু নাই, তার ফাইনানশিয়াল গ্রাউন্ড শক্ত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই, সরকারই তার সবচেয়ে বড় গ্রাউন্ড।

দ্বিতীয়ত, এবিউসিভ রিলেশনশিপ এর ক্ষেত্রে কিছু করা লাগে না, ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশে সত্য মিথ্যা কিছু একটা বলবেন স্বামী এবিউস করতেসে, সাথে সাথে ধরে ধরে নিয়ে যাবে। পরেরদিন দেখবেন সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি এসে হাজির, লিগ্যাল, সোশাল, ইমোশনাল (সাইকোলজিক্যাল), ফাইনসিয়াল সমস্ত প্রকার সার্ভিস সাহায্য করার জন্য এক পায়ে খাঁড়া। এখানেও প্রগতিশীল নারীরা ব্যাপক এবিউস করে। (এবিউস যে কী সেটা আরেক আলোচনা, স্বামী গলা উঁচু করলেও এখানে আবার এবিউস হয়)।

এত এত নারীবান্ধব সার্ভিস থাকার পরেও এই যৌতুকলোভী ফেমিনাৎসি বাহিনীর চোখ পড়েছে এখন স্বামীর বাড়ির দিকে, জয়েন্ট মালিকানায় নাম থাকতে হবে।

আচ্ছা এমন কি হতে পারে না যে ফেমিনাৎসি বাহিনীর একজন দুষ্টু সদস্য জয়েন্ট মালিকানায় নিজের নাম লিখিয়ে মাস ছয়েক পরে ডিভোর্স নিয়ে নিলো? সেক্ষেত্রে ছেলেটাই কি ভুক্তভোগী হল না?

উত্তর হচ্ছে, না। কারণ,

১) নারী মাত্রই নিষ্পাপ, সে দুষ্ট না, তার “কখনোই” কুমতলব থাকতে পারে না,।
২) পুরুষ মাত্র ট্র্যাশ, “নিশ্চয়ই” সে-ই খারাপ কিছু করেছে এ কারণেই স্ত্রী ডিভোর্স নিয়েছে।

– Zim Tanvir

মন্তব্য করুন

Back to top button