আপনি যদি আপনার রবের পক্ষে থাকেন তাহলে আপনার কোনো ভয় নেই
দৃশ্যটা খুব অস্বস্তিকর ছিল। একজন মা তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে বিছানার মাঝখানে কাঁপছেন। দুপাশে দুটো লোক শুয়ে আছে। এই লোকদুটো চীন সরকারের পুলিশ, মুসলিম মহিলাটাকে সেকুলারিজম শিক্ষা দিচ্ছে।
এই ধরণের অনেক ঘটনা আছে, শুধু উইঘুরদের ওপরে না, অন্যান্য মুসলিমদের ওপরেও অত্যাচার চলছে। চীনে যেসব বাংলাদেশি মুসলিম ভাই লম্বা সময়ের জন্য ছিলেন তাদের কাছ থেকেও শুনেছি।
সারা দুনিয়াতেই ইসলাম মানতে চাওয়া মানুষদের ওপর নানা পরীক্ষা আসে। যে যতটা সিরিয়াসলি মানতে চায় তার পরীক্ষা তত বেশি।
কারো পরীক্ষার মাধ্যম তার আপন পরিবার, কারো সমাজ, কারো ক্ষেত্রে জালিম সরকার।
কিন্তু প্রতিটা ক্ষেত্রেই আল্লাহর ওয়াদা আছে। তিনি মানুষকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলে তার সেরা চরিত্রটা বের করে নিয়ে আসেন।
সেই মায়ের কথা মনে আছে, আসহাবুল উখদুদের সেই মা?
তাকে আগুনের গর্তে লাফ দিতে হয়েছিল। সে ভেবেছিল, আমি নাহয় মরলাম, কোলের এই বাচ্চাটার কী দোষ?
কোলের বাচ্চাটার মুখে আল্লাহ কথা ফুটিয়ে দিলেন। সে বলল, মা আপনার সিদ্ধান্তটা সঠিক।
এই যে আগুনে পুড়ে মরে যাওয়াটাকে আমরা পরাজয় হিসেবে দেখব না – বিজয় হিসেবে দেখব।
আল্লাহর রাস্তায় মরে যাওয়ার তাকতটাকে দুনিয়াতে এট এনি কস্ট বেঁচে থাকার চেয়ে অনেক বেশি সম্মানের হিসেবে দেখব এই জন্যই আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা আমাদের সোনালী ইতিহাসগুলোর কথা কুরআন এবং সুন্নাহতে বার বার বলেছেন।
আমরা ভাবি মানুষ অনেক শক্তিশালী।
অ্যামেরিকা, চীন, সৌদি আরব, বাংলাদেশ।
কী একেকটা সরকার! অ্যাবসোলুট ক্ষমতা!!
অথচ সিজদাতে করা একটা দু’আ, একটা চোখের অশ্রুবিন্দুকে যদি আল্লাহ কবুল করে নেন তিনি যে কী করতে পারেন এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সূরা মুদ্দাসসিরে কী বলেছেন জানেন?
وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ
আর আপনার রবের বাহিনী সম্পর্কে তিনি ছাড়া কেউ জানে না।
আপনি যদি আপনার রবের পক্ষে থাকেন তাহলে আপনার কোনো ভয় নেই। আখিরাতে তো না-ই, দুনিয়াতেও না।
– শরীফ আবু হায়াত অপু
আলহামদুলিল্লাহ