সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী নির্যাতন

শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদের ডেনজারস ইন দ্য হোম নামে ছোট্ট একটা বই আছে যাতে তিনি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা বাসাতে মহিলা কাজের মানুষ রাখার কুফল নিয়ে কথা বলেছেন। বিশেষ করে যে বাসাতে উঠতি বয়সী ছেলে এবং পুরুষ মানুষেরা থাকেন সেসব বাসায়।
সৌদি আলিমরা বার বার তাদের দেশের মানুষদের সাবধান করেন। বিদেশ থেকে কাজের মানুষ আনতে নিষেধ করেন। নিজের কাজ নিজে করতে বলেন।
শুধু সৌদিতে না বাংলাদেশে যারা খুব সিরিয়াসলি ইসলাম মানেন তাদের অধিকাংশের বাসাতে ফুল টাইম কাজের মানুষ থাকতে দেখিনি আমি। পার্ট টাইম সাহায্যকারী আসেন, কাজ করে চলে যান।
নারী-পুরুষের মেলামেশার একটা সীমানা ইসলাম দিয়েছে – এটা শাহবাগী এবং প্রগ্রতিশীলদের অন্যতম গা-জ্বালার কারণ। অথচ এই বিধানটা দেওয়া হয়েছে নারীদের ইজ্জত রক্ষার জন্য। পুরুষদের পশুত্বকে বেঁধে রাখার জন্য।
এই যে সৌদি আরব থেকে কাজের বুয়াদের লাশের পর লাশ আসছে এটা নিয়ে শাহবাগীরা সোচ্চার অথচ এই মহিলারা সৌদি মুসলিম নয় বরং সৌদি শাহবাগীদের অত্যাচারের শিকার।
জি, বাংলাদেশের মতো সৌদিতেও প্রচুর সেক্যুলার এবং শাহবাগী আছে। কনসার্ট গো-আর আছে। সৌদি শাহবাগীরাই মুহাম্মাদ বিন সালমানের কাজগুলোকে সমর্থন করে। বাংলাদেশের মতো সৌদিতেও শাহবাগীরা এখন ক্ষমতায়, মুসলিমরা কোণঠাসা।
কাজের মেয়ে খুনের ঘটনা ঢাকা শহরেও অনেকবার হয়েছে।
এবং জেনে বুঝে যারা ইসলাম মানেন তাদের বাসায় ঘটনাগুলো ঘটেনি।
সৌদিতে নারী নির্যাতনের ঘটনাকে প্রথমে সৌদি পরে ইসলামের ঘাড়ে ফেলার একটা নোংরা ছোটলোকি আমরা শাহবাগীদের করতে দেখি।
অথচ শাহবাগী চেতনার অধিকাংশদের হাতেখড়ি একটা চটি সাইটে যেখানে কাজের লোকদের সাথে যৌন সম্পর্কের রগরগে বর্ণনা এই শাহবাগীরাই রসিয়ে রসিয়ে লিখত।
আমরা মুসলিমরা মনে করি সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো সম্পূর্ণ হারাম একটা কাজ।
কারণ?
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি যে নারী ঈমান রাখে, তার মাহরামের সঙ্গ ছাড়া একাকিনী এক দিন এক রাতের দূরত্ব সফর বৈধ নয়। [সহীহ বুখারি ও মুসলিম]
এর পরেরবার সৌদিতে নারী নির্যাতন নিয়ে কথা বলার আগে এটা স্বীকার করে নিয়েন পৃথিবীতে যত অন্যায়-অনাচার হয় সব কিছুর মূল আল্লাহর হুকুমের অবাধ্যতা।
যে চাকরি দিচ্ছে এবং যে চাকরি নিয়ে যাচ্ছে দুজনেই স্পষ্ট হারাম কাজ করছে।
সৌদিতে একের পর এক নারী শ্রমিকদের খুনের পেছনে সৌদি লম্পটদের সাথে সাথে বাংলাদেশের সরকার এবং নিহত নারীদের পরিবারের লোভ সমভাবে দায়ী।
-> শরীফ আবু হায়াত অপু