পরিবার/দাম্পত্য

স্বামী-স্ত্রী একে অপরের যৌনাঙ্গে মুখ দিতে পারে?

দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর আনন্দ-বিনোদনের ক্ষেত্রে কী কী কাজ করা হারাম তা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। সেগুলো হলো দুটি:

১) ঋতুস্রাব বা বাচ্চা প্রসবোত্তর স্রাব চলাকালীন সময় স্ত্রী সহবাস করা।
২) স্ত্রীর পায়ুপথ ব্যবহার করা।

এই দুটি বিষয় ছাড়া পারস্পরে যেভাবে খুশি সেভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারে। কোন কিছুকে হারাম বলার সুযোগ নাই।
আল্লাহ তাআলা বলেন:

نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ ۖ وَقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ مُلَاقُوهُ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ

“তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।” (Sura Al-Baqarah, Ayah 223)

কেননা বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, স্বামী-স্ত্রী বৈধভাবে একে অপর থেকে আনন্দ উপভোগ করা এবং এর মাধ্যমে হারাম পন্থা থেকে নিজের লজ্জাস্থান এবং চক্ষু হেফাজত করা।

যদিও কেউ কেউ বলতে চেয়েছেন যে, মুখে যেহেতু আল্লাহর জিকির করা হয় এবং লজ্জাস্থান দিয়ে নাপাকি বের হয় তাই স্বামী-স্ত্রী একে অপরের যৌনাঙ্গে মুখ লাগানো ঠিক নয়। আমরা বলব, কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক নয় তা নির্ধারণকারী একমাত্র আল্লাহ এবং তার রাসুল। এর বাইরে আমরা কোন কিছুকে হারাম বলার অধিকার রাখি না। তবে অনেক আলেমের মতে, সর্বোচ্চ বলা যেতে পারে, এটি সুস্থ রুচিবোধ ও উন্নত চরিত্র বিরোধী এবং আদব পরিপন্থী কাজ কিন্তু তা হারাম বা এ জন্য গুনাহগার হতে হবে-এমন কোন কথা বলা ঠিক নয়।

সুতরাং সুস্থ রুচিবোধ ও অনুত্তম হওয়ার দিক বিবেচনায় এ থেকে বিরত থাকা ভালো। তবে যদি লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক বস্তু গিলে ফেলা হয় তাহলে তা হারাম।
(সৌদি বড় আলেমদের ফতোয়ার সার সংক্ষেপ)

▬▬▬▬❤ ❤ ❤ ▬▬▬▬
✍️উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA

১৪টি মন্তব্য

  1. মাশাআল্লাহ জাযাকাল্লাহ খায়ের অনেক অনেক সুন্দর একটা ওয়েবসাইট যেখানে আমরা দৈনন্দিন জীবনের জীবনঘনিষ্ঠ অনেক সমস্যার অনেক প্রশ্নাবলীর শরীয়ত সম্মত বিজ্ঞানসম্মভাবে সমাধান বা জবাব পাই,মাশাআল্লাহ জাযাকাল্লাহ খায়ের,

  2. ভাইয়া,
    ডান হাত দিয়ে লজ্জাস্থান স্পর্শ করা বৈধ নয় অথচ লজ্জাস্থানে মুখ দেওয়া কিভাবে বৈধ হতে পারে ?
    যদি একটু জানাতেন খুব উপকৃত হতাম !

      1. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। ইনশা আল্লাহ সহসা লেখা পাঠানো হচছে।

        ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ।
        মাআস সালাম।

মন্তব্য করুন

Back to top button