ব্যাংকে যারা টাকা রাখে সেই কোম্পানিতে চাকরি করা মাকরুহ!
সেদিন একটা ছেলে চাকরি চাইতে আসল। সরোবর কী ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করে?
– বললাম, না।
– তাহলে কী ব্যাংকে টাকা রাখে?
– হ্যাঁ কারেন্ট একাউন্টে।
– তাহলে তো ব্যাংককে সাহায্য করা হলো। খারাপ কাজে সাহায্য করা হলো।
– আমরা চেষ্টা করি ইসলামি ব্যাংকিং দাবীওয়ালাদের সাথে কাজ করার। এর চেয়ে বেশি সম্ভব না।
– আপনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান চেনেন যারা ব্যাংকে টাকা রাখে না।
– সবজিওয়ালা, যে ভ্যানে করে সব্জি বিক্রি করে – তার সম্ভবত ব্যাংক একাউন্ট নেই। বাকি সবারই থাকতে হয়। মানুষ তো আর টাকা ঘাড়ে করে নিয়ে ঘুরবে না।
– শায়খ বলেছেন ব্যাংকে টাকা রাখে যারা সেই কোম্পানিতে চাকরি করা মাকরুহ।
হতভম্ব হয়ে গেলাম।
কত মানুষ আছে যারা খেয়ে না খেয়ে এই দেশে ইসলামি ব্যাংকিং শুরু করিয়েছে, দাঁড় করিয়েছে সুদ খাবে না বলে। কত মানুষের ব্যাবসার একাউন্ট শুধুই ইসলামি ব্যাংকে। কত মানুষ কত ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে সুদ দেবে না বলে। কত মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখে কিন্তু সুদ নিতে বাধ্য হলে সেটা সাওয়াবের নিয়ত ছাড়াই দিয়ে দেয়।
এই মানুষগুলোর ইখলাসকে আমরা এত সহজে হাওয়ায় উড়িয়ে দিতে পারি?
ব্যাংকে একটা রিয়েলিটি, ঠিক যেমন কাগুজে মুদ্রা একটা বাস্তবতা। সুদ ছাড়া ব্যবসা করা যায় কিন্তু ব্যাংক ছাড়া করা যায় না। লেনদেন করাই সম্ভব হবে না।
মানুষের ইসলামের বুঝ এত সংকীর্ণ হলে কীভাবে হবে?
তাকওয়া ভালো যতক্ষণ না আমি আমার বুঝ অন্যদের উপরে চাপিয়ে দিয়ে তাদের খারাপ ভাবতে শুরু না করি। আল্লাহ মাফ করুন।
– শরীফ আবু হায়াত অপু
আর্টিকেলটিতে বক্তব্য অস্পস্ট