ফেসবুকে নারী-পুরুষের অপ্রয়োজনীয় আলাপ ফিতনার কারন
মাহরাম নয় এমন মেয়েদের সাথে অপ্রয়োজনীয় আলাপচারিতা দ্বীনদারদের জন্য খুবই অশোভন তা যে কারোই বোঝার কথা হলেও বাস্তবতা হলো আপাত দ্বীনদার বা দ্বীনদার হবার চেষ্টা করেন এমন অনেকেই বোঝেন না। সারাহাহ, স্টুলিশ বা আস্ক এফএমের মত জায়গায় সন্দেহ সংশয় থাকায় অনেকে ফিতনায় পতিত হয়, ফেইসবুকে ইনবক্সও যেহেতু কেউ দেখছে না তাই এখানেও অনেকে সামলাতে পারে না নিজেকে। কিন্তু পাবলিক পোস্টের কমেন্টেও বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে দ্বীনদার পুরুষের ঠাট্টা-কৌতুক কষ্টদায়ক। এই ঠাট্টা, কৌতুক, রসিকতাই ধ্বংসের দিকে পথ চলবার প্রথম ধাপ। পরিচিত লোক হওয়া এক্ষেত্রে বৈধ যুক্তি নয় মোটেই। এমনকি কাজিন, এলাকার বড়বোন হওয়াও নয়। মন্দকে মন্দ হিসেবে এড়িয়ে চলতে শিখতে হবে। অন্তত চুপ থাকলেও মন্দের ভাল।
ফেইসবুকে বিনা প্রয়োজনে নারী পুরুষ মেসেজিং ঠিক নয় কেননা তা বদ্ধ ঘরে নির্জনে একত্রিত হবার অনুরূপ অনেকটাই। কোন কিছু জানতে চাওয়া, দ্বীনের দাওয়াত ইত্যাদি জরুরতের ভেতর পরে না। বরং শয়তান জরুরতের বেশেই প্রবেশ করে থাকে। পাবলিক পোস্টের কমেন্টে হলে বরং জরুরত হিসেবে ধর্তব্য হতে পারে। মাহরাম নয় এমন নারী/পুরুষের মেসেজের উত্তরে চুপ থাকা সবচাইতে কল্যাণকর। অপর পক্ষ এতে কী ভাবলো তা ধর্তব্য নয়। ওপরের একই কথা এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই নীতি কাজিন, পরিচিত বড়বোন নির্বিশেষে সবার জন্য প্রায় প্রযোজ্য। প্রায় শব্দটা কনফিউজিং কারণ প্রযোজ্য নয় ভেবেই সব অনুচিত কাজগুলো হয়ে থাকে।
মাহরাম নয় এমন পুরুষ/মহিলার স্ট্যাটাস/কমেন্টে অপ্রয়োজনীয় লাইক/রিএক্ট/শেয়ার দেওয়াও ফিতনার আরম্ভের কারন হতে পারে। “অমুক মহিলা আমার স্ট্যাটাসে নিয়মিত লাইক দেয়, পোস্ট শেয়ার করে। ওয়ালে গিয়ে দেখি আপনার বউ।” কথাটা অন্য পুরুষের কাছ থেকে শুনতে ভাল লাগবে না গীরাহ রয়েছে এমন পুরুষের। অনুরূপ কথা মেয়েদের জন্যও প্রযোজ্য। ফেইসবুক এক বিশাল ফিতনার জায়গা। সংসার ভাঙার জন্য যথেষ্ট। ইসলামের বিধান অনুযায়ী চললে পরে এই দুশ্চিন্তায় পড়া লাগে না যে সংসারে অশান্তিতে আমার কী দোষ!
– Mohammad Rakibul Hasan