ইসলামের একটা সৌন্দর্য হচ্ছে এর বাস্তবতাবোধ
![](https://i-onlinemedia.net/wp-content/uploads/2018/05/beauty-780x470.jpg)
ইসলামের একটা সৌন্দর্য হচ্ছে এর বাস্তবতাবোধ।
যেমন মিথ্যা কথা বলা একটা ভয়াবহ পাপের কাজ। সিরিয়াসলি কিংবা মজা করে কখনই মিথ্যা কথা বলা জায়েজ নেই।
কিন্তু উম্মে কুলসুম বিনতে উকবাহ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা থেকে একটা হাদিসে আমরা পাই, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“সে মিথ্যাবাদী নয় যে মানুষের মধ্যে মিলমিশ করে দেয়ার জন্য মিথ্যা বলে। সে ভালোটা বলে, ভালোটা পৌঁছায়।”
মানে, আপনার দুই বন্ধুর মধ্যে সম্পর্ক খারাপ। তারা সাধারণত একে অপরের ব্যাপারে খারাপ কথা বলে।
আপনি করলেন কী, খারাপগুলো না বলে তাদের একজনের কাছে গিয়ে বললেন অপরজন তার নামে কত ভালো ভালো কথা বলে।
এতে দুজনেরই মনে হতে থাকল, “আরে ও আমার সম্পর্কে এত ভালো ধারণা রাখে আর আমি ওর ব্যাপারে খারাপ কথা বলি?”
এরপর এই কারণে দেখা যাবে তাদের মধ্যে খারাপ সম্পর্কটা ভালো হয়ে গেছে।
আপনার এই কাজটাতে মিথ্যা থাকলেও দোষণীয় নয় কারণ আপনি মিথ্যা বলাতে যত ক্ষতি তার চেয়ে বড় ক্ষতি – দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ থাকা – সরাচ্ছেন।
সত্য বলা ভালো কাজ হলেও এখানে মিথ্যা বলাতেই উপকার আছে বিধায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা মানুষের মধ্যে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে সত্যকে ছেড়ে দিয়েছেন।
এবার চিন্তা করে দেখুন, আপনি কি এমন কিছু কাজ করছেন যাতে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ভালো তো হয়ই না, উল্টা খারাপ হয়?
আপনি ফেবু ঘেটে ঘেটে কে কে আপনার বন্ধুর নামে খারাপ খারাপ কথা বলেছে সেটা তাকে বলছেন। সত্যি কথাই বলছেন, কিন্তু এই কাজটা করে কার উপকার হচ্ছে?
আপনার বন্ধুর মানসিক অবসাদ বাড়ছে। নিজের সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে কারোই ভালো লাগে না। যারা খারাপ কথা বলে তাদের প্রতি শত্রুতা এবং দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।
আর আপনি এমন কাজ করছেন যেটা খুবই ঘৃণ্য। দুজন মানুষের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করছেন। যেখানে শত্রুতা কমানোর জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা হারামকে হালাল করেছেন সেখানে আপনি পুরো বিপরীত আচরণ করছেন।
একটা জায়গায় বর্জ্য পড়ে আছে। সেটা সরাতে না পারলে ওখানে থাকতে দিন। বর্জ্য ঘাটবেন না। নিজে নোংরা হবেন, দুর্গন্ধে অন্যকে কষ্ট দেবেন।
ভাইয়েরা, বর্তমান পৃথিবীতে নেতিবাচক মানসিকতার অভাব নেই। এটা আর ছড়াবেন না। যারা নেতিবাচক কথা বলে তাদের এড়িয়ে চলুন।
যারা এমন কিছু লেখে যেখানে উম্মাহর কোনো কল্যাণ নেই, কেবল বিভক্তি আর কোন্দল বৃদ্ধি পায় এদের থেকে দূরে থাকুন।
আপনার অন্তর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রশান্ত রাখবেন।
ভাইয়েরা, আপনার নামে কেউ খারাপ করে বললে তাকে ক্ষমা করে দিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার সব ভাইদের ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ আপনাকেও ক্ষমা করে দেবেন।
অন্যদের প্রতি দয়ার্দ্র হোন, আল্লাহও আপনাকে দয়া করবেন।
আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা যেন এই রমাদানের বরকতময় সময়ে আমাদের তাঁর ক্ষমা এবং দয়ার দিকে ধাবিত হবার তাওফিক দেন।
জাযাকাল্লাহী খইরান, অসাধারণ একটি ওয়েব সাইট, আমিও এরকম ইসলামিক প্রবন্ধ কবিতা লিখে থাকি সে গুলা প্রকাশ করার কোন মাধ্যম জানা নেই ফেইসবুক ছাড়া আপনারা যদি দ্বীনের কাজে সাহাজ্য করতেন, তাহলে আমি উপ্রকৃত হতাম, আপনাদের এই সাইটে লেখা পাঠাতে চাই,
‘‘রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কেউ হেদায়েতর দিকে আহ্বান করলে যত জন তার অনুশরন করবে প্রত্যেকে সমান ছওয়াব এর অধিকারী সে হবে। তাদের ছওয়াব এর কোন কমতি হবে না। [সহীহ্ মুসলিম হাঃ ২৬৭৪]