প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে মানুষের ব্যাপক মাথা গরম, অথচ গরম হওয়া উচিত নৈতিকতা নিয়ে
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে মানুষের ব্যাপক মাথা গরম।
অথচ গরম হওয়া উচিত নৈতিকতা নিয়ে।
কেন ছাত্ররা না পড়ে প্রশ্ন খুঁজছে?
কেন অভিভাবকেরা জানালা দিয়ে সন্তানদের নকল দিচ্ছেন?
কেন শিক্ষকেরা পরীক্ষার হলে উত্তর বলে দিচ্ছেন?
কেন বোর্ড শিক্ষকদের যে কোনো মূল্যে এ প্লাস পাওয়াতে হবে বলে উদারভাবে মার্ক দিতে বলছে?
কেন শিক্ষামন্ত্রী ঘুষ খাওয়াকে উৎসাহিত করছেন?
কেন বোর্ডের বইতে প্রেমপত্র লেখা শেখানো হচ্ছে?
কেন জীববিজ্ঞানে বিবর্তনবাদের ১০০ বছর আগে বাতিল হয়ে যাওয়া তত্বকে ‘পরীক্ষাগারে প্রমাণিত’ বলে মিথ্যা কথা লেখা হচ্ছে?
কেন বুয়েটের হলের ছাদে গাঁজার আসর বসবে? আর যারা এর প্রতিবাদ করবে তাদের ঘুম থেকে মারতে মারতে তুলে ‘শিবির’ বলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হবে?
কেন ঢাবির জেনেটিক এনজিনিয়ারিং এ পড়া ছেলেটা প্রথম বছরেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখবে সে বিসিএস করে কাস্টমসে চাকরি করবে কারণ সেখানে ঘুষ খেয়ে অনেক টাকা কামাই করা যায়?
এই ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক এরা সবাই সেকুলার নৈতিকতাহীন শিক্ষার ফসল।
প্রশ্ন ফাঁস খারাপ।
তবে নৈতিক (এবং অর্থনৈতিকভাবে) দেউলিয়া একটা জাতির পাবলিক পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁস হওয়া আর না হওয়া দিয়ে কোনো যায় আসে না।
আচ্ছা স্যার, চেতনা চেতনা খেলতে খেলতে একটা জাতির শিক্ষা নামক মেরুদণ্ডকে নেহারি বানিয়ে খেয়ে দিতে আপনাদের একটুও বাধল না?