যিনার লাইসেন্স !!
বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলেই আসমান-জমিনের রব্ব আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন তা হালাল করেছেন। নিশ্চয়ই স্বয়ং আল্লাহর নির্ধারিত হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল করবার অধিকার কারও নেই। কিন্তু এদেশীয় আইনে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স মেয়েদের ১৮, ছেলেদের ২১। অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে আল্লাহর আইনে বিয়ের উপযুক্ত হলেও উপরোক্ত বয়সসীমার আগে ‘এদেশীয় আইনে’ বিয়েতে আবদ্ধ হতে পারবে না।
কিন্তু বাংলাদেশের Age of Consent হল ১৪ বছর! [১] অর্থাৎ ছেলেমেয়েরা বিয়ে না করেই পরস্পরের সম্মতিতে উদোম আনন্দে মেতে উঠতে চাইলে চৌদ্দ বছর হওয়াই উভয়ের জন্য যথেষ্ট! এ তো শুধু যিনা করবার সুস্পষ্ট লাইসেন্সই নয়, একইসাথে যারা বিয়ে বেছে নিয়ে হালালে চলতে চায় তাদের জন্য আইন করে পথ বন্ধ করে দিয়ে যিনার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। আর ফলাফল? হাজার হাজার গর্ভপাত আর নিষ্পাপ মৃত শিশুদের পথে পড়ে থাকার গল্প।
এটাই ওদের ‘কাছে আসার গল্পের’ পরের গল্প, যা কিনা আড়ালেই থেকে যায় সবসময়।
জাহেলি যুগে কন্যাসন্তানদের জীবন্ত পুঁতে ফেলা হতো, আজ রক্ষা পায় না ছেলেশিশুরাও।
প্রস্তুত হও সেদিনের জন্য যেদিন হত্যার দায়ে তোমাদের দিকে তোমাদের রব্ব ফিরেও তাকাবেন না। সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন শিশুদেরই! প্রস্তুত সেই মুহুর্তের জন্য “যখন জীবন্ত দাফন করা কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হল?” [সূরা তাকবির, ৮-৯]
আর যারা আইন করে এইসবকে সমাজে প্রচলন করে দিল, বিয়েকে হারাম করল, যিনার লাইসেন্স দিল তারা তো স্বয়ং আল্লাহর স্থানে নিজেদের বসালো! আর যারা ‘কাছে আসার গল্প’ দেখিয়ে, ভ্যালেন্টাইন প্রমোট করে ছেলেমেয়েদের জাহান্নামে যাবার পথ উসকে দিল? তাদেরকে তো অবৈধ কাছে আসার পরের সকল হত্যার গল্পের হত্যাকারী বললেও ভুল বলা হয় না।
“নিশ্চয়ই যারা পছন্দ করে যে ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতা / বেহায়াপনা প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।” [সূরা আন নূর, ১৯]
[১] https:/www.ageofconsent.net/world/banglades
লিখেছেন : তানভীর আহমেদ