শরী‘আত সম্পর্কে মূর্খ ও অজ্ঞ লোকদের আমল আল্লাহর নিকটে গ্রহণযোগ্য হয় কি?
উত্তর : ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত ৩টি : (১) আক্বীদা ছহীহ হওয়া (কাহফ ১১০) (২) তরীকা ছহীহ হওয়া (মুসলিম হা/১৭১৮)। (৩) আমল ইখলাছপূর্ণ হওয়া (যুমার ৩৯/১১)। এই শর্তগুলি পূরণ হ’লে আমল কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি সৎকর্ম করে, আমরা তার পুরষ্কার বিনষ্ট করি না’ (কাহফ ১৮/৩০)। তিনি আরো বলেন, অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে পাবে (যিলযাল ৯৯/৭)। তবে দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা ফরযে আইন, যা সকল মুসলমানের জন্য আবশ্যিক। সেগুলি হ’ল- ঈমান ও তা বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ, বিশুদ্ধ ও বাতিল আক্বীদা, তাওহীদ-শিরক, হালাল-হারাম, ছালাত-ছিয়াম, হজ্জ-যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় ফরয ইবাদত পালনের নিয়ম-পদ্ধতি সমূহ (আল-ফাক্বীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ হা/১৬৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলিমের উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা ফরয’ (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; মিশকাত হা/২১৮)।
আলহামদুলিল্লাহ…আল্লাহ তা’আলা আপনাদের কবুল করুন,আমিন।।
যারা আল্লাহ সোবহান ওয়াতা‘আলাকে এবং তিনি যেসব বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে বলেছেন সেগুলোর প্রতি আন্তরিকতাপূর্ণভাবে ও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস স্থাপন করবে সেসব ঈমানদারগণের করণীয় কি প্রথমত সেসব জানতে হবে; জানতে হলে কুরআন-হাদীস পড়তে হবে, বুঝতে হবে অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন করতে হবে, সে জ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ তথা পাক-পবিত্র করার চেষ্টা করতে হবে অর্থাৎ মহান পালনকর্তা আল্লাহকে ডাকার জন্যে তথা ইবাদতের জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে, তবেই মহান আল্লাহ আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন। নিজেকে পরিশুদ্ধ তথা পবিত্র না করে ভালো আমল আল্লাহর দরবাবে কিভাবে কবুল হবে?
قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّىٰ ﴿الأعلى: ١٤﴾
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا ﴿الشمس: ٩﴾
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا ﴿الشمس: ١٠﴾
আলহামদুলিল্লাহ! সুন্দর এমন মন্ত্যব্য হলে আমাদের ধারনা স্পস্ট হবেম ইসলাম সম্পরকে !
ধন্যবাদ !