বিবিধ প্রশ্নোত্তর/ফাতাওয়া
ঘরের বিভিন্ন স্থানে কুরআনের আয়াত, দো‘আ, আয়াতুল কুরসী ইত্যাদির ক্যালিগ্রাফী টানিয়ে রাখা যাবে কি?
উত্তর : যাবে না। কারণ (১) অধিকাংশ ক্ষেত্রে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্দেশ্যে কুরআনের আয়াত, দো‘আ ইত্যাদি দ্বারা বিভিন্ন রঙের ডিজাইনে নকশা করা হয়। অথচ কুরআন নাযিল হয়েছে মানুষকে হেদায়াতের জন্য, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নয়। অতএব এরূপ কাজ কুরআনকে তাচ্ছিল্য করার শামিল। (২) কেউ ঝুলিয়ে রাখে বরকত হাছিলের জন্য, যা স্পষ্ট বিদ‘আত। (৩) কেউ টাঙিয়ে রাখে নানা বিপদাপদ বা শয়তানের অনিষ্টকারিতা হ’তে রক্ষা পাওয়ার জন্য। যা স্পষ্ট শিরক। বস্ত্ততঃ রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীগণের যামানায় এরূপ কার্যকলাপের কোন অস্তিত্ব ছিল না। অতএব এসব বিদ‘আতী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা আবশ্যক (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১৩/১৯৭)।
বর্তমানে কুরআনের আয়াতসমূহ ক্যালিগ্রাফিক ডিজাইনে লিখে মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/১৯০)।
আসলে এখন যামানা এমন হয়েছে যে আলেম উলামায় কেরামের কাছে ফতোয়া জিজ্ঞেস করতে হয় না। এখন টিভি চ্যানেল আর ইউটিউব সব থেকে বড় আলেম হয়ে গেছে। আলেম উলামায় কেরাম হচ্ছেন নবী রাসূল সাঃ উঃরসুরি। আমাদের কি হবে? যে যার ইচ্ছা মতো ফতোয়া দিচ্ছে আর গালাগালি করছে এটা ইসলাম ধর্মের নাই।
আস-সালামু আলাইকুম।
পবিত্র বায়তুল্লাহের দরজায়, গিলাফে আয়াতের কালিগ্রাফী আছে।
মসজিদে নববীর ভিতরের দেয়ালেও প্রচুর আয়াতের কালিগ্রাফী আছে।
এ সবই শেখ উসায়মিনের সময়েও ছিল।
বর্তমান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং পবিত্র দুই মসজিদের নিয়ন্ত্রকগণ শেখ উসায়মিনের ছাত্র এবং একই মতের অনুসারী।
বিষয়টি আপনাদের উদ্ধৃত ফতোয়ার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। সমনবয়-এর অনুরোধ রইল।
আপনাদের মন্তব্যে ছবি পেস্ট করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
–ওয়া আলাইকুম আস-সালাম।