বিদআতের বিরুদ্ধে কথা বললে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়?
অনেকে বিদআতের বিরুদ্ধে কথা বললে ভারী গোস্বা হন। এতে নাকি মুসলিম ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়।
মুসলিম ভ্রাতৃত্বের উৎস কী? আল্লাহ এবং তার রসুলের কথা।
এই কথাগুলো বলতে গেলে যে ভ্রাতৃত্ব চলে যায় সেটা আসলে কখনও ছিলই না।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় সারাটা শা’বান মাস সিয়াম থাকতেন। একটু প্র্যাকটিসিং কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখেন – কটা নফল সিয়াম তিনি রেখেছেন এই মাসে?
১৫ তারিখে একটা রো্যা রেখে যদি তৃপ্তির ঢেকুর তোলা যায় তাহলে সারা মাস কষ্ট করে কোন পাগলে?
এক লোক বলছিল, সে পাপ করে কিন্তু শাস্তি পায় না। একজন সালাফ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তাহাজ্জুদ পড়ো?
সে বলল, না।
সালাফ বললেন, এটাই কী তোমার শাস্তি না যে তুমি তাহাজ্জুদ পড়তে পারো না?
আমাদের মধ্যে কয়জন অপরাধবোধে ভুগি যে আমরা রাতের শেষ এক তৃতীয়াংশে আল্লাহ যখন প্রথম আসমানে নেমে আসেন, এসে আমাদের অভাব মোচনের জন্য ডাকেন, ক্ষমা করার জন্য ডাকেন – তখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি?
কয়জনের খারাপ লাগে যে আজ রাতেও আল্লাহর ডাকে সাড়া দেওয়া হলো না?
কেন লাগে না?
কারণ, আমরা বছরের একদিন কিছু রিচুয়াল পালন করে সারাবছর তৃপ্তির ঢেকুর তুলে যাই।
পৃথিবীতে প্রতিটি কাজেই সফল হওয়ার জন্য স্যাক্রিফাইস করা লাগে। সময় দেওয়া লাগে, ঘুম ত্যাগ করা লাগে, কষ্ট করা লাগে।
এই দুনিয়াতে তিন কাঠার একটা জমিতে বাড়ি করতে মানুষ সারা জীবন কষ্ট করতে রাজি।
কিন্তু যে জান্নাতের একটা চাবুক রাখার জায়গার দাম আসমান-জমিন এবং এর ভেতরে যা কিছু আছে – তার চেয়ে বেশি সেই জান্নাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অশ্লীল সব শর্টকার্ট খুঁজি।
কাকে ঠকাই আমরা?