হে আল্লাহ আমাদের আগুন থেকে রক্ষা করুন
প্রচণ্ড রোদ। চামড়া জ্বলে যায় কিছুক্ষণ হাঁটলেই। আস্তে আস্তে ধাতস্থ হই। অপেক্ষায় থাকি – আর কিছু পথ পেরুলেই আছে আশ্রয়। আছে ছাদ। আছে ফ্যান কিংবা এসির বাতাস। হয়ত আছে এক গ্লাস পানি, ভাগ্য ভালো থাকলে শরবত।
এই কথাগুলো মনে হতেই গরমটাকে বেশ সহনীয় মনে হয়।
জাহান্নামের তাপমাত্রা পার্থিব আগুনের সত্তর গুণ।
সেই তাপটা কমে যাবে এমন সম্ভাবনা নেই, বন্ধ হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
ছায়া নেই, কেবল ধোঁয়া। তৃষ্ণা মেটাবে এমন পানি নেই। থাকবে অতি উত্তপ্ত একটা দ্রবণ যা গলা দিয়ে যাওয়ার সময় সবকিছু দ্রবীভূত করে নিয়ে যাবে।
যারা চিরজাহান্নামী তাদের সামনেই মৃত্যুকে হত্যা করা হবে। ফলে কোনো একদিন মরণ আসবে – আর জাহান্নামের অবর্ণনীয় যন্ত্রণা শেষ হবে এমন সম্ভাবনাও নেই।
সোজা সাপটা ভাষায় এমন কোনো আশা নেই যা বুকে নিয়ে কষ্টটা সহ্য করা যায়। এই চরম নিরাশাটা জাহান্নামের খুব ভয়াবহ মানসিক শাস্তিগুলোর একটা।
আমরা আল্লাহর আযাব বা ক্রোধের মুখে সামান্যক্ষণ-ও টিকে থাকতে পারব না। থাকতে যে পারি না তার প্রমাণ বাইরের রোদ।
আমরা যখন এই চৈত্রের প্রখর রোদে বের হচ্ছি তখন যেন একটু জাহান্নামের কথা মনে করি। যে জাহান্নামের শাস্তির ভয়ংকর, গ্রাফিক বর্ণনা বারবার আমাদের দেয়া হয়েছে সাবধান করার জন্য। কী করলে জাহান্নামে যেতে হবে সেটা খুব স্পষ্ট বলে দেয়া আছে আমাদের।
আমাদের সাবধান করে দেয়াটা আল্লাহর দয়ার উদাহরণ।
এরপরেও আসলে যে জাহান্নামে যাবে সে মনে-প্রাণে জাহান্নাম চেয়ে নিয়েছে।
আমরা মানুষ হিসেবে ভুল করব, পাপ করব। আমাদের চেষ্টা করতে হবে পাপ থেকে বাঁচার। যদি হয়েই যায়, তবে আমাদের অবশ্যই সাথে সাথে ফিরে আসতে হবে। আমাদের সরাসরি জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে – কয়েকদিন জাহান্নামে থেকে তারপরে বেহেশতে যাব – আল্লাহর কিতাব যে পড়েছে আর বিশ্বাস করেছে – তার পক্ষে এমন চিন্তা করা সম্ভব নয়।
আল্লাহুম্মা আযিরনি মিনান নার। হে আল্লাহ আমাদের আগুন থেকে রক্ষা করুন।