তামিলনাড়ুতে কৃষকদের অত্মহত্যার কারণ কি জানেন?

দুনিয়াটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া সৃষ্টি করেছেন একটা পরীক্ষার হল হিসেবে, মানুষ বানিয়ে ফেলেছে নাট্যমঞ্চ। কোথাও ট্র্যাজেডি, কোথাও হাসির নাটক।
তামিলনাড়ুতে প্রচুর কৃষক আত্মহত্যা করে। তো সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে বলেছে কেন সেটা খুঁজে বের করতে।
নানা কারণ বের হচ্ছে।
কেউ বলছে, মদ খেয়ে বিষণ্ণতায় ভোগে কৃষকরা। সহজেই আত্মহননের পথ বেছে নেয়। কেউ বলছে বিয়ের খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম খায় কৃষকরা।
মহারাষ্ট্র লোকসভার এক সাংসদ বলেছেন – এসব ফালতু কথা। এই যে বিজেপির সাংসদ প্রাক্তন নায়িকা হেমা মালিনী প্রত্যেকদিন মদ খায়। কই, সে আত্মহত্যা করেছে?
ওই যে মন্ত্রী নীতিনবাবু ছেলের বিয়েতে ৪ কোটি রুপি উড়িয়ে দিল – উনি কি এখন আত্মহত্যা করবেন?
বাচ্চু কাদু নামে এই সাংসদ শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুধু টাকার অভাবেই নাকি কৃষকরা আত্মহত্যা করে।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরিবার মক্কা থেকে মাদীনায় হিজরত করার পরে, পরপর তিন দিন পেটপুরে খেতে পারেনি। মাসের পর মাস চলে যেত তার ঘরে উনুন জ্বলত না। খেজুর আর পানিই সম্বল।
এটা হচ্ছে মদীনার শাসকের অবস্থা। সাধারণ মানুষের অবস্থা খুব ভালো ছিল না।
তখন কজন আত্মহত্যা করেছিল?
ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যার করার কারণ একটাই – আল্লাহর কদর অর্থাৎ আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন ভাগ্যে সেটা মেনে নিতে না পারা।
আর সামাজিক প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যার কারণ আল্লাহর হুকুম, বিধান লঙ্ঘন করা। সেটা সুদ খাওয়াতে হোক, সুদ দেওয়াতে হোক, যৌতুকের মাধ্যমে হোক, মদ খেয়ে হোক, যাকাত না দিয়ে হোক আর যুলম-শোষণের কারণেই হোক।
মানুষ বোঝে না আল্লাহর আইন মেনে চলা তাকে শুধু আখিরাতে জান্নাতে নেবে এমনটি নয়, দুনিয়াতেও তাকে জান্নাতের কাছাকাছি শান্তিতে নিয়ে যাবে।