কুরআন ও তাফসীর

বই: পড়ো

আনন্দের নানা ধরন আছে। কেউ হাজার হাজার ফুট উঁচু বিমান থেকে লাফিয়ে আনন্দ পায়। কেউ মজা পায় হরেক দেশের নানারকম খাবার খেয়ে। কারও আনন্দ বৃষ্টিতে কাদামাটিতে ফুটবল খেলে। কারও সুখ টাকা গুণে। কারও আনন্দ নিছক যৌন চেতনাতেই সীমাবদ্ধ। কারও খুশি অন্যকে খুশি করাতে।

কেউ আবার আনন্দ পান বই পড়ে। বর্ষার সময় জানালার ধারে বসে। অথবা বর্ষা ছাড়াই, জানালা ছাড়াই। হাতে এক কাপ চা থাকলে ভালো, না থাকলেও ক্ষতি নেই। আনন্দটা বই পড়াতে। লেখকের চিন্তার নির্বারিণী বরাবর মনপবনের নাও বেয়ে। অথবা স্রোতের বিপরীতে। লেখকের যুক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তার মতের সাথে দ্বিমত করে। বই পড়ার আনন্দে শামিল আছে। বইটি পড়ে কাঁদা-হাসা, কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া, অথবা নিথর-সন্তব্ধ হয়ে বসে থাকা।

একেকজনের একেকরকম সুদ। আনন্দের মতো পাঠকেরও রকমফের অনেক। এমনকি কোনো বই আছে যা নানান পাঠককে একটা মলাটের ভেতর আনতে পারে? সথান-কাল-পাত্র, এমনকি ভাষার বিভিন্নতাকে জয় করতে?

পৃথিবীতে একটা বই নিয়ে অসংখ্য বই লেখা হয়েছে। একটা বই একটা জাতিকে আমূল বদলে দিয়েছে এমন নজির আর নেই। আনপড় একটা জাতিকে একটা বই এসে পড়াশোনাতে ডুবিয়ে দিয়েছে এমন ঘটনা পৃথিবীতে আর ঘটেনি। পৃথিবীর লাখ লাখ লোক একটা বই আগা-গোড়া মুখস্থ করে রেখেছে— এমন বই একটাই। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন অডিওবুক সেটি—মানুষ। শুধু পড়ে না, শোনেও। সেই বইটি দাবি করে সেটা এই পৃথিবীর না। কোনাে মানুষ এই বইয়ের মেধাসত্বের দাবি করেনি। এই বইটি দাবি করে সে ভুলের উর্ধের্ব। এই বইটি আলো দেয়, অন্ধকার সরায়, সত্য আর মিথ্যাকে আলাদা করে দেয়।

কোন বই সেটি?

আল-কুরআন।

পড়ো বই সেই বইটিকে নিয়েই।

পড়ো বইটাকে কেউ ব্যাখ্যাগ্রন্থ বা তাফসীর বলে ভুল করবেন না। এতে মানবীয় ভাবনা আছে; কারণ, আল্লাহ আমাদের কুরআন নিয়ে ভাবতে বলেছেন। আল-কুরআন ভুলের উধ্বে পড়ো নয়। বাংলাদেশের দুই জন বড় আলিম বইটির শারঙ্গ সম্পাদনা করেছেন। তারপরেও ভুল থাকতে পারে। ভাষাগত ভুল থাকতে পারে। আমাদের জানালে আমরা সে ভুল সংশোধনের চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।

শুরু করেছিলাম আনন্দ দিয়ে, শেষেও তা-ই থাক। পড়ো বইটি আনন্দের জন্য। বুদ্ধিবৃত্তিক আনন্দ। এই বইটি পড়ে কেউ যদি কুরআনকে অন্য আলোয় দেখেন, সরাসরি কুরআন পড়ে বুঝতে উদ্ধৃদ্ধ হন, জীবনে কুরআনকে বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হন তবে বইটি সার্থক।

pdfPoro-POD.pdf 1.71 MB
Download

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

৪টি মন্তব্য

  1. ভাইয়া, গ্রন্থস্বত্ব উন্মুক্ত না করে দিলে কি পিডিএফ করা ঠিক কিনা? এ ভয়ে আমি বই পড়তে পারছি না। এ ব্যাপারে আপনারা কি কোন কিছু বলতে পারে?

  2. আপনারা কি অনুমতি নিয়ে বইটার পিডিএফ দিয়েছেন? কেননা সমকালীনের কোন বই অনুমতি ছাড়া এভাবে প্রকাশ নিষিদ্ধ। তাছাড়া ‘বাক্সের বাইরে’ বইটারও আপনারা পিডিএফ দিয়েছেন। সেটারও কি পারমিশন আছে?

মন্তব্য করুন

Back to top button