রামাযান ও ছিয়াম সম্পর্কে কতিপয় যঈফ ও জাল বর্ণনা
মাহে রামাযান আল্লাহর এক অনন্য নে‘মত। বান্দাদের পরকালীন মুক্তি ও জান্নাত লাভের সুযোগ করে দিতে এ মাস আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুদান, অতি বড় ইহসান ও অনুগ্রহ। ছহীহ হাদীছে রামাযান ও ছিয়ামের অশেষ গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। তারপরেও এ মাসের ফযীলত বর্ণনায় বিভিন্ন যঈফ-জাল বর্ণনা সমাজে প্রচলিত আছে। এগুলি আমলযোগ্য নয়। তদুপরি এক শ্রেণীর আলেম এসব প্রচার করে থাকেন। এ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক ও সাবধান করতে কিছু জাল-যঈফ বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-
১. ﻭَﺻِﻴَﺎﻡُ ﺷَﻬْﺮِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺑِﺎﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﻛَﺼِﻴَﺎﻡِ ﺃَﻟْﻒِ ﺷَﻬْﺮٍ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺳِﻮَﺍﻩُ، ﻭﻓﻲ ﻟﻔﻆ : ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻦْ ﺃَﻟْﻒِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺳِﻮَﺍﻫَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒُﻠْﺪَﺍﻥِ –
‘মদীনায় এক রামাযান ছাওম পালন করা অন্যান্য শহরে হাযার মাসের ছাওমের সমান’। অন্য শব্দে আছে, ‘দুনিয়ার অন্যান্য শহরে হাযার রামাযানের তুলনায় উত্তম’।[1] হাদীছটি মওযূ‘।[2]
২. ﺳَﻴِّﺪُ ﺍﻟﺸُّﻬُﻮﺭِ ﺷَﻬْﺮُ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻭَﺃَﻋْﻈَﻤُﻬَﺎ ﺣُﺮْﻣَﺔً ﺫُﻭ ﺍﻟْﺤِﺠَّﺔِ –
‘মাস সমূহের সরদার হচ্ছে রামাযান মাস। আর সবচেয়ে বেশী সম্মানিত হচ্ছে যিলহজ্জ’।[3] হাদীছটি যঈফ।[4]
৩. ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﻣَﻼَﺋِﻜَﺔٌ ﻻَ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻋَﺪَﺩَﻫُﻢْ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ، ﻓَﺈﺫَﺍ ﺩَﺧَﻞَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥُ ﺍِﺳْﺘَﺄْﺫَﻧُﻮْﺍ ﺭَﺑَّﻬُﻢْ ﺃَﻥْ ﻳَّﺤْﻀُﺮُﻭْﺍ ﻣَﻊَ ﺃُﻣَّﺔِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ –
‘আসমানে বহু ফেরেশতা রয়েছে, যাদের সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। যখন রামাযান মাস আগমন করে, তখন তারা উম্মতে মুহাম্মদীর সাথে (তারাবীতে) অংশগ্রহণ করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে’।[5] হাদীছটি যঈফ।[6]
৪. ﺷَﻬْﺮُ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺃَﻭَّﻟُﻪُ ﺭَﺣْﻤَﺔٌ ﻭَﺃَﻭْﺳَﻄُﻪُ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓٌ ﻭَﺁﺧِﺮُﻩُ ﻋِﺘْﻖٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ –
‘রামাযান মাসের প্রথম অংশ রহমত, মধ্যম অংশ মাগফেরাত ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তির’।[7] হাদীছটি মুনকার।[8]
৫. ﺻُﻮْﻣُﻮْﺍ ﺗَﺼِﺤُّﻮْﺍ –
‘ছাওম পালন কর, সুস্থ থাক’।[9] হাদীছটি যঈফ।[10]
৬. ﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺍﻟْﻌِﺒَﺎﺩُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻟَﺘَﻤَﻨَّﺖْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﺃَﻥْ ﻳَﻜُﻮﻥَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥُ ﺳَﻨَﺔً ﻛُﻠَّﻬَﺎ، ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺗُﺰَﻳَّﻦُ ﻟِﺮَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﺭَﺃْﺱِ ﺍﻟْﺤَﻮْﻝِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺤَﻮْﻝِ ،
‘বান্দারা যদি জানত যে, রামাযানে কি রয়েছে, তাহ’লে তারা আশা করত পুরো বছর যেন রামাযান হয়। নিশ্চয়ই জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে অন্য বছরের শুরু পর্যন্ত রামাযানের জন্য সুসজ্জিত করা হয়…’।[11] হাদীছটি দুর্বল।[12]
৭. ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻟﺘَﺰَّﺧْﺮَﻑُ ﻭَﺗُﻨَﺠَّﺪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻮْﻝِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺤَﻮْﻝِ ﻟِﺪُﺧُﻮﻝِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ، ﻓَﺘَﻘُﻮْﻝُ ﺍﻟْﺤُﻮْﺭُ : ﻳَﺎ ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟَﻨَﺎ ﻓِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺸَّﻬْﺮِ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟًﺎ ،
‘নিশ্চয়ই জান্নাত এক বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রামাযান আগমনের জন্য সজ্জিত ও পরিপাটি করা হয়। তখন জান্নাতী হূররা বলে, হে আল্লাহ! এ মাসে তোমার বান্দাদের থেকে আমাদের জন্য স্বামী নির্বাচন কর’।[13] হাদীছটি মুনকার।[14]
৮. ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻹِﻓْﻄَﺎﺭِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺻُﻤْﺖُ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺭِﺯْﻗِﻚَ ﺃَﻓْﻄَﺮْﺕُ –
‘নবী করীম (ছাঃ) প্রত্যেক ইফতারের সময় বলতেন, হে আল্লাহ! আপনার জন্য ছাওম পালন করছি এবং আপনার রিযকের দ্বারাই ইফতার করছি’।[15] হাদীছটি দুর্বল।[16]
৯. ﺟَﺎﺀَ ﺃَﻋْﺮَﺍﺑِﻲٌّ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺇِﻧِّﻲ ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﺍﻟْﻬِﻠَﺎﻝَ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﺸْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﺃَﺗَﺸْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻗَﺎﻝَ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻗَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﺑِﻠَﺎﻝُ ﺃَﺫِّﻥْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺃَﻥْ ﻳَﺼُﻮﻣُﻮﺍ ﻏَﺪًﺍ .
‘এক বেদুঈন নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমি চাঁদ দেখেছি, তিনি বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)। সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে বেলাল! মানুষকে জানিয়ে দাও, তারা যেন আগামী কাল ছাওম পালন করে’।[17] হাদীছটি মুরসাল[18] ও যঈফ।[19]
১০. ﻧَﻮْﻡُ ﺍﻟﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻋِﺒَﺎﺩَﺓٌ، ﻭَﺳُﻜُﻮﺗُﻪُ ﺗَﺴْﺒِﻴﺢٌ، ﻭَﺩُﻋَﺎﺅُﻩُ ﻣُﺴْﺘَﺠَﺎﺏٌ، ﻭَﻋَﻤَﻠُﻪُ ﻣُﺘَﻘَﺒَّﻞٌ-
‘ছায়েমের নিদ্রা ইবাদত, তার চুপ থাকা তাসবীহ (পাঠের সমতুল্য), তার দো‘আ ও আমল কবুল হয়’।[20] হাদীছটি যঈফ।[21]
11. ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﻯ ﻓِﻴْﻪِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔً ﻛَﺎﻥَ ﻛَﻤَﻦْ ﺃَﺩَّﻯ ﺳَﺒْﻌِﻴْﻦَ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔً ﻓِﻴْﻤَﺎ ﺳِﻮَﺍﻩُ ،
‘যে ব্যক্তি রাযামানে একটি ফরয আদায় করবে, অন্য মাসে তা সত্তরটি ফরয আদায়ের সমান’।[22] হাদীছটি মুনকার।[23]
12. ﻋﻨﺄﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟِﻜُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﺯَﻛَﺎﺓٌ ﻭَﺯَﻛَﺎﺓُ ﺍﻟْﺠَﺴَﺪِ ﺍﻟﺼَّﻮْﻡُ –
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক বস্ত্তর যাকাত আছে, আর শরীরের যাকাত হচ্ছে ছিয়াম’।[24] হাদীছটি যঈফ।[25]
13. ﻳُﺴَﺒِّﺢُ ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻛُﻞُّ ﺷَﻌْﺮَﺓٍ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻳُﻮْﺿَﻊُ ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻤِﻴْﻦَ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﺋِﻤَﺎﺕِ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺗَﺤْﺖَ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﻣَﺎﺋِﺪَﺓٌ ﻣِّﻦْ ﺫَﻫَﺐٍ –
‘ছায়েমের প্রতিটি লোমকূপ তাসবীহ পাঠ করে। আর ছিয়াম পালনকারী নারী-পুরুষের জন্য ক্বিয়ামত দিবসে আরশের নীচে স্বর্ণের দস্তরখানা বিছানো হবে’।[26] হাদীছটি যঈফ।[27]
14. ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻋِﻨْﺪَ ﻛُﻞِّ ﻓِﻄْﺮٍ ﻣِﻦْ ﺷَﻬْﺮِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻛُﻞَّ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻋُﺘَﻘَﺎﺀَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﺳِﺘُّﻮْﻥَ ﺃَﻟْﻔًﺎ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻮْﻡُ ﺍﻟْﻔِﻄْﺮِ ﺃَﻋْﺘَﻖَ ﻣِﺜْﻞَ ﻣَﺎ ﺃَﻋْﺘَﻖَ ﻓِﻲْ ﺟَﻤِﻴْﻊِ ﺍﻟﺸَّﻬْﺮِ ﺛَﻠَﺎﺛِﻴْﻦَ ﻣَﺮَّﺓً ﺳِﺘِّﻴْﻦَ ﺃَﻟْﻔًﺎ ﺳِﺘِّﻴْﻦَ ﺃَﻟْﻔًﺎ –
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রামাযান মাসের প্রত্যেক দিন ইফতারের সময় ষাট হাযার মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। অতঃপর ঈদুল ফিতরের দিনে ঐ পরিমাণ ক্ষমা করেন যে পরিমাণ তিনি পূর্ণ মাস করেছেন। ত্রিশবারে ষাট হাযার ষাট হাযার’।[28] হাদীছটি যঈফ।[29]
15. ﺇﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﻭَّﻝُ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣِّﻦْ ﺷَﻬْﺮِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻧَﻈَﺮَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺇِﻟَﻰ ﺧَﻠْﻘِﻪِ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻧَﻈَﺮَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺇِﻟَﻰ ﻋَﺒْﺪٍ ﻟَﻢْ ﻳُﻌَﺬِّﺑْﻪُ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﻭَﻟﻠﻪِ ﻓِﻰْ ﻛُﻞِّ ﻳَﻮْﻡٍ ﺃﻟْﻒُ ﺃﻟﻒِ ﻋَﺘَﻴْﻖٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻟَﻴْﻠَﺔُ ﺗِﺴْﻊٍ ﻭَّﻋِﺸْﺮِﻳْﻦَ ﺃَﻋْﺘَﻖَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓِﻴْﻬَﺎ ﻣِﺜْﻞَ ﺟَﻤِﻴْﻊِ ﻣَﺎ ﺃَﻋْﺘَﻖَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺸَّﻬْﺮِ ﻛُﻠِّﻪِ –
‘রামাযানের প্রথম রাত্রিতে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির দিকে তাকান। আর আল্লাহ যখন কোন বান্দার দিকে দৃষ্টি দেন তাকে আর কখনই শাস্তি দেন না। প্রতিদিন হাযার হাযার বা দশ লক্ষ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর ২৯ তারিখ রাত্রিতে আল্লাহ ঐ পরিমাণ মানুষকে ক্ষমা করে থাকেন সারা মাসে যত লোককে ক্ষমা করে দেন’।[30] হাদীছটি মাওযূ‘।[31]
১৬. ﺷَﻬْﺮُ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺷَﻬْﺮُ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﺗَﺮْﻣُﺾُ ﻓِﻴْﻪِ ﺫُﻧُﻮْﺑُﻬُﻢْ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺻَﺎﻣَﻪُ ﻋَﺒْﺪٌ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜْﺬِﺏْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻐْﺘَﺐْ ﻭَﻓِﻄْﺮُﻩُ ﻃِﻴْﺐٌ، ﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻦْ ﺫُﻧُﻮْﺑِﻪِ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﺨْﺮُﺝُ ﺍﻟْﺤَﻴَّﺔُ ﻣِﻦْ ﺳَﻠَﺨِﻬَﺎ –
রামাযান মাস আমার উম্মতের মাস, যাতে তাদের গোনাহ সমূহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম বান্দা যখন ছিয়াম পালন করে, মিথ্যা বলে না, গীবত করে না এবং তার ইফতার হবে পবিত্র বস্ত্ত দ্বারা, সে তার গোনাহ থেকে এমনভাবে বের হয়ে যায়, যেভাবে সাপ তার গর্ত থেকে বের হয়ে যায়’।[32] হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ।[33]
17. ﻣَﻦْ ﺃَﺩْﺭَﻙَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺑِﻤَﻜَّﺔَ ﻓَﺼَﺎﻡَ ﻭَﻗَﺎﻡَ ﻣِﻨْﻪُ ﻣَﺎ ﺗَﻴَﺴَّﺮَ ﻟَﻪُ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟَﻪُ ﻣِﺎﺋَﺔَ ﺃَﻟْﻒِ ﺷَﻬْﺮِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺳِﻮَﺍﻫَﺎ . ﻭَﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟَﻪُ ﺑِﻜُﻞِّ ﻳَﻮْﻡٍ ﻋِﺘْﻖَ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ ﻭَﻛُﻞِّ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻋِﺘْﻖَ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ ﻭَﻛُﻞِّ ﻳَﻮْﻡٍ ﺣُﻤْﻼَﻥَ ﻓَﺮَﺱٍ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻓِﻰ ﻛُﻞِّ ﻳَﻮْﻡٍ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻓِﻰ ﻛُﻞِّ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﺣَﺴَﻨَﺔً –
‘যে ব্যক্তি মক্কায় রামাযান মাস পেল, ছিয়াম রাখল এবং যথাসাধ্য (রাতে) ইবাদত করল, আল্লাহ তা‘আলা তাকে অন্য স্থানের তুলনায় এক লক্ষ রামাযান মাসের ছওয়াব দান করবেন এবং প্রতিটি দিনের পরিবর্তে একটি গোলাম এবং প্রতিটি রাতের পরিবর্তে একটি গোলাম আযাদ করার ছওয়াব (তার আমলনামায়) লিখে দিবেন, প্রতিটি দিনের পরিবর্তে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য একটি ঘোড়া দানের সমপরিমাণ ছওয়াব, প্রতি দিনের জন্য একটি নেকী এবং প্রতিটি রাতের জন্য একটি নেকী দান করবেন।[34] হাদীছটি মাওযূ’।[35]
18. ﺭَﺟﺐُ ﺷَﻬْﺮُ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻭَﺷَﻌْﺒَﺎﻥُ ﺷَﻬْﺮِﻱْ، ﻭَﺭَﻣَﻀَﺎﻥُ ﺷَﻬْﺮُ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ –
‘রজব আল্লাহর মাস ও শা‘বান আমার মাস। আর রামাযান আমার উম্মতের মাস’।[36] হাদীছটি যঈফ।[37]
19. ﺧﻴﺮﺓ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺸﻬﻮﺭ ﺷﻬﺮ ﺭﺟﺐ، ﻭﻫﻮ ﺷﻬﺮ ﺍﻟﻠﻪ، ﻣَﻦ ﻋﻈّﻢ ﺷﻬﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺟﺐ ﻋﻈﻢ ﺃﻣﺮ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﻣﻦ ﻋﻈﻢ ﺃﻣﺮ ﺍﻟﻠﻪ؛ ﺃﺩﺧﻠﻪ ﺟﻨﺎﺕ ﺍﻟﻨﻌﻴﻢ، ﻭﺃﻭﺟﺐ ﻟﻪ ﺭﺿﻮﺍﻧﻪ ﺍﻷﻛﺒﺮ . ﻭﺷﻌﺒﺎﻥ ﺷﻬﺮﻱ، ﻓﻤﻦ ﻋﻈﻢ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻓﻘﺪ ﻋﻈﻢ ﺃﻣﺮﻱ، ﻭﻣﻦ ﻋﻈﻢ ﺃﻣﺮﻱ ﻛﻨﺖ ﻟﻪ ﻓﺮﻃﺎً ﻭﺫﺧﺮﺍً ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ، ﻭﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺷﻬﺮ ﺃﻣﺘﻲ، ﻓﻤﻦ ﻋﻈﻢ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﻋﻈﻢ ﺣﺮﻣﺘﻪ، ﻭﻟﻢ ﻳﻨﺘﻬﻜﻪ، ﻭﺻﺎﻡ ﻧﻬﺎﺭﻩ، ﻭﻗﺎﻡ ﻟﻴﻠﻪ، ﻭﺣﻔﻆ ﺟﻮﺍﺭﺣﻪ؛ ﺧﺮﺝ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﻟﻴﺲ ﻋﻠﻴﻪ ﺫﻧﺐ ﻳﻄﻠﺒﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻪ .
‘মাস সমূহের মধ্যে উত্তম মাস রজব। আর সেটি আল্লাহর মাস। যে ব্যক্তি আল্লাহর মাস রজবকে সম্মান করবে। সে আল্লাহর নির্দেশকে মর্যাদা মন্ডিত করল। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশকে মর্যাদা মন্ডিত করল আল্লাহ তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন এবং তার জন্য তাঁর মহা সন্তুষ্টি আবশ্যক করে দিবেন। আর শা‘বান আমার মাস। যে ব্যক্তি শা‘বান মাসকে সম্মান করবে। সে আমার নির্দেশকে সম্মান করবে। আর যে ব্যক্তি আমার মাসকে সম্মান করবে। আমি তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন অগ্রগামী ও আখিরাতের পুঁজি হয়ে যাব। আর রামাযান মাস আমার উম্মতের মাস। যে ব্যক্তি রামাযান মাসকে সম্মান করবে, তার মর্যাদাকে রক্ষা করবে, এর সম্মান খাটো করবে না, এর দিনে ছিয়াম পালন ও রাতে ক্বিয়াম করবে এবং এর বিধানকে হেফাযত করবে সে রামাযান মাসকে এমনভাবে অতিক্রম করবে যে, তার কোন গুনাহ থাকবে না, যার কারণে আল্লাহ তাকে তলব করবেন’।[38] হাদীছটি মাওযূ‘।[39]
২০. ﻋَﻦْ ﺳَﻠْﻤَﺎﻥَ ﺍﻟْﻔَﺎﺭِﺳِﻲِّ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﻣَﻦْ ﻓَﻄَّﺮَ ﺻَﺎﺋِﻤًﺎ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﻛَﺴْﺐٍ ﺣَﻼَﻝٍ ﺻَﻠَّﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔُ ﻟَﻴَﺎﻟِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻛُﻠِّﻬَﺎ، ﻭَﺻَﺎﻓَﺤَﻪُ ﺟِﺒْﺮِﻳْﻞُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ ﻟَﻴْﻠَﺔَ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ، ﻭَﻣَﻦْ ﺻَﺎﻓَﺤَﻪُ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞُ ﺗَﻜْﺜُﺮُ ﺩُﻣُﻮْﻋُﻪُ، ﻭَﻳَﺮِﻕُّ ﻗَﻠْﺒُﻪُ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺟُﻞٌ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺃَﺭَﺃَﻳْﺖَ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﺫَﺍﻙَ ﻋِﻨْﺪَﻩُ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻠُﻘْﻤَﺔُ ﺧُﺒْﺰٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻓَﺮَﺃَﻳْﺖَ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﺫَﺍﻙَ ﻋِﻨْﺪَﻩُ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻘَﺒْﻀَﺔٌ ﻣِﻦْ ﻃَﻌَﺎﻡٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻓَﺮَﺃَﻳْﺖَ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﺫَﺍﻙَ ﻋِﻨْﺪَﻩُ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻤَﺬْﻗَﺔٌ ﻣِﻦْ ﻟَﺒَﻦٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻓَﺮَﺃَﻳْﺖَ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﺫَﺍﻙَ ﻋِﻨْﺪَﻩُ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﺸَﺮِﺑَﺔٌ ﻣِﻦْ ﻣَﺎﺀٍ .
সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানে কোন ছায়েমকে হালাল উপার্জন থেকে ইফতার করাবে, তার জন্য ফেরেশতাগণ রামাযানের রাত্রিগুলিতে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। ক্বদরের রাত্রিতে জিবরীল (আঃ) তার সাথে মুছাফাহা করবেন। আর জিবরীল যার সাথে মুছাফাহা করবেন, তার অশ্রু অধিক হবে এবং তার অন্তর নরম হবে। জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! তার কাছে যদি ঐরূপ খাদ্য না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক লোকমা রুটি (খাওয়াবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক মুষ্টি খাদ্য (খওয়াবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক ঢোক দুধ (পান করাবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে পানি পান করাবে’।[40] হাদীছটি যঈফ।[41]
এতদ্ব্যতীত আরো বহু জাল-যঈফ বর্ণনা সমাজে প্রচলিত আছে। মানুষকে দ্বীনের দিকে ফিরিয়ে আনার মানসে এ ধরনের বর্ণনা প্রচার করার প্রয়োজন নেই। কেননা এসব প্রকৃতপক্ষে রাসূলের উপরে মিথ্যাচার। এর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। মানুষকে হকের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য ছহীহ হাদীছ বর্ণনার মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। জাল-যঈফ বর্ণনা প্রচার করে নিজে গোনাহগার হওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার জাল-যঈফ ও বানোয়াট বর্ণনা পরিহার করে ছহীহ হাদীছ প্রচার করার তাওফীক্ব দান করুন-আমীন!
– আবু আব্দুল্লাহ
[1] . ত্বাবারাণী, কাবীর; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৪৮০০; আল-ইলালুল মুতানাহিয়াহ হা/৯৪৭।
[2] . সিলসিলা যঈফাহ হা/১০৬৭; যঈফুল জামে‘ হা/৩৫২২।
[3] . বাযযার, দায়লামী; কাশফুল খাফা, হা/১৫০৪; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৪৭৭৫।
[4] . যঈফাহ হা/৩৭২৭; যঈফুল জামে‘ হা/৩৫২১।
[5] . বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান ৩/৩৩৭; সুয়ূতী, দুররুল মানছূর ৮/৫৮২; কানযুল উম্মাল ৮/৪১০।
[6] . যঈফাহ হা/৪১৪২।
[7] . উকায়লী, কিতাবুয যু‘আফা ২/১৬২; ইবনু আদী, আল-কামেল ফী যু‘আফায়ির রিজাল ১/১৬৫; ইবনু আবী হাতেম, কিতাবু ইলালিল হাদীছ ১/২৪৯।
[8] . যঈফাহ ২/২৬২, ৪/৭০।
[9] . আল-ইরাকী, তাখরীজুল ইহইয়া ৩/৭৫; আল-কামেল ফী যু‘আফায়ির রিজাল ২/৩৫৭; শাওকানী, আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ফিল আহাদিছিল মাওযূ‘আহ ১/২৫৯; আস-সাখাবী, মাকাছীদুল হাসানাহ ১/৫৪৯; আজুলুনি, কাশফুল খাফা ২/৫৩৯।
[10]. যঈফাহ ১/৪২০, হা/২৫৩।
[11]. হায়ছামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪১।
[12]. ইবনুল জাওযী, আল-মাওযূ‘আত ২/১৮৮; তানযীহুশ শরী‘আহ ২/১৫৩; আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ১/২৫৪।
[13]. ত্বাবারাণী, আল-আওসাত্ব হা/৩৬৮৮; আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ১/৩৪।
[14]. যঈফাহ হা/১৩২৫।
[15]. আবু দাউদ হা/২৩৫৮; মিশকাত হা/১৯৯৪।
[16]. ইবনুল মুলাক্কিন, খুলাছাতুল বাদরুল মুনীর ১/৩২৭, হা/১১২৬; হাফেয ইবনু হাজার, তালখীছুল হাবীর ২/২০২, হা/৯১১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৫৬; যঈফুল জামে‘ হা/৪৩৪৯।
[17]. আবূ দাউদ হা/২৩৪০; তিরমিযী হা/৬৯১; নাসাঈ, আল-কুবরা হা/২৪৩৩-৩৬; ইবনু মাজাহ হা/১৬৫২।
[18]. নাসাঈ, আল-কুবরা হা/২৪৩৫-৩৬।
[19]. ইরওয়াউল গালীল হা/৯০৭।
[20]. মুসনাদ ইবনে আবী আওফা ২/১২০; দায়লামী ৪/৯৩।
[21]. যঈফাহ হা/৪৬৯৬; যঈফুল জামে‘ হা/৫৯৭২।
[22]. ইবনু খুযায়মা হা/১৮৮৭; মিশকাত হা/১৯৬৫।
[23]. যঈফাহ হা/৮৭১; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৯।
[24]. ইবনু মাজাহ হা/১৭৪৫; মিশকাত হা/২০৭২।
[25]. যঈফাহ হা/১৩২৯।
[26]. ত্বাবারাণী, কাবীর; তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত ১/৭০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৫০৮৮।
[27]. যঈফাহ হা/১৩২৯, ৩৮১১; যঈফ আত-তারগীব, হা/৫৭৯।
[28]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, ৩/৩০৪, হা/৩৬০৬।
[29]. যঈফ আত-তারগীব হা/৫৯৯।
[30]. ইছফাহানী, আত-তারগীব ১/১৮০।
[31]. আল-মাওযূ‘আত ২/১৮৯-৯০; আল-লালিলমাছনূ‘আহ ২/১০০-১০১; যঈফাহ হা/৫৪৬৮; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৯১।
[32]. মুসনাদুল ফিরদাউস পৃঃ ২২৮।
[33]. যঈফাহ হা/৫৪০০।
[34]. ইবনু মাজাহ হা/৩১১৭।
[35]. যঈফাহ হা/৮৩২; যঈফুল জামে’ হা/৫৩৭৫; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৫।
[36]. কাশফুল খাফা হা/১৩৫৮; তানযীহুশ শরী‘আহ হা/৫০।
[37]. যঈফাহ হা/৪৪০০।
[38]. বায়হাক্বী হা/৩৮১৩, ৩/৩৭৪
[39]. যঈফাহ হা/৬১৮৮।
[40]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৩৯৫৫, ৩/৪১৯।
[41]. যঈফাহ হা/১৩৩৩; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৯।