নারী অঙ্গনসমাজ/সংস্কৃতি/সভ্যতা

নারী দিবস

১৫ ই অক্টোবর বিশ্ব হাতধোয়া দিবস। এইদিন একদল গিধড়দের শেখানো হয় হাত ধোয়ার মাহাত্ম্য। যারা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার পরে কিংবা খাবার ডাকে সারা দেয়ার আগে হাত ধোয় না, হাতধোয়া দিবসে তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়।

উল্লেখ্য মুসলিমদের কোনো হাত ধোয়া দিবস নাই। তারা সারা বছর প্রতি দিন পাঁচবার উদু করে। প্রতি উদুতে তিনবার করে হাত ধোয়। এরপরেও সুন্নাহ হচ্ছে খাবার আগে এবং পরে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া শেষে হাত ধোয়া। শুধু পানি দিয়ে ধুলেই কাজ চলে, তবে কিছু আলিম মত দিয়েছেন পটাশ বা সাবান বা সমগোত্রীয় কিছু দিয়ে হাত ধোয়া উত্তম।

হাত ধোয়া যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয় তাহলে তার জন্য দিবস কেন? প্রতিদিন গিদড়দের হাত ধোয়া নিয়ে সচেতন করা উচিত। মাদ্রাসার মতো স্কুলেও উদু করা শিখানো উচিত। টিফিন খাওয়ার আগে-পরে বাচ্চাদের হাত ধোয়ার অভ্যাস করানো উচিত।

আসলে দিবস কেন?

দিবসের দরকার বিপণনের জন্য। ওইদিন স্যাভলন কিংবা লাইফবয় নানারকম অনুষ্ঠান করবে–রোড শো, কুইজ, কনসার্ট! ছাড় দেবে। বিজ্ঞাপনে শহর ভরে যাবে। হাত ধোয়া বলতেই মানুষের মাথায় লিকুইড সোপের ছবি চলে আসবে।

দিন শেষে বিক্রি বাড়বে।

(৮ মার্চ) নারী দিবস কেন?

যারা নারীদের দুর্বল মনে করে, তাদের অবহেলা করে তাদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরির জন্য….. ব্লা ব্লা ব্লা…

আসলে কেন?

দিন শেষে বিক্রি বাড়বে।

কাদের বিক্রি বাড়বে?

চারপাশে খেয়াল রাখুন—কারা আজ মহাসমারোহে নারী দিবস উদযাপন করছে।

আল্লাহর কসম, একজন মুসলিমের জন্য প্রতিটি দিন-ই নারী দিবস। প্রতিটি দিন সে তার মায়ের পা টিপে দেবে, তার স্ত্রীকে চুমু খাবে, তার ছোট্ট মেয়েকে কুরআন পড়তে শেখাবে।

আল্লাহর কসম, একজন মুসলিমের জন্য প্রতিটি দিন-ই নারী দিবস। প্রতিটি দিন সে তার চোখকে নামিয়ে রাখবে। সে নারীকে মানুষ হিসেবে দেখবে, ভোগ্যবস্তু হিসেবে না।

আল্লাহ যেন আমাদের মধ্যে নারীদের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করে দেন। আমীন।

 

– শরীফ আবু হায়াত অপু

মন্তব্য করুন

Back to top button