আকাইদ

হেদায়াত

মানবতার হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে কালক্রমে ১ লক্ষ ২৪ হাযার নবী-রাসূল আগমন করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ছিলেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তাঁর পরে আর কোন নবী আসবেন না। তিনি মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথ, কল্যাণের পথ দেখিয়ে গেছেন। মুসলিমের সতত সাধনা সেই হেদায়াত লাভ করা, কল্যাণের পথে চলা। কিন্তু কিভাবে পাওয়া যাবে সে পথ? কিভাবে লাভ হবে হেদায়াত? সে সম্পর্কেই আলোচ্য নিবন্ধের অবতারণা। পরকালে মুক্তির জন্য হেদায়াত অতীব যরূরী। এজন্য আল্লাহ মানুষকে হেদায়াত প্রার্থনার দো‘আ শিখিয়েছেন। মুমিন মাত্রই দৈনন্দিন ৫ ওয়াক্তের ১৭ রাক‘আত ফরয ছালাতে ১৭ বার এবং ১০ বা ১২ রাকা‘আত সুন্নাত ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে আরো ১০/১২ বার আল্লাহর কাছে হেদায়াত প্রার্থনা করে। যেমন কুরআনে এসেছে-

اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُستَقِيْمَ

‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন ’ (ফাতিহা ৬) অর্থাৎ হেদায়াত দিন । আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, জিবরাঈল (আঃ) বলেছিলেন, হে মুহাম্মাদ (ছাঃ)! আপনি বলুন, اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ অর্থাৎ ‘আমাদেরকে হেদায়াত বিশিষ্ট পথের উপর প্রতিষ্ঠিত করুন। তা হ’ল আল্লাহর দ্বীন, যার মধ্যে কোন বক্রতা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ‘ছিরাতে মুস্তাক্বীম’-এর একটা দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। তাহ’ল এই যে, ঐ পথের দুই দিকে দু’টি প্রাচীর রয়েছে, তাতে কয়েকটি খোলা দরজা আছে, দরজাগুলোর উপর পর্দা লটকানো রয়েছে। আর ছিরাতে মুস্তাক্বীমের প্রবেশ দ্বারে সব সময়ের জন্য একজন আহবানকারী নিযুক্ত আছেন। তিনি বলছেন ‘হে জনমন্ডলী! তোমরা সবাই এই সোজা পথে চলো, অাঁকা-বাঁকা পথে চলোও না। তাহ’লে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।

উপরের আলোচনা হ’তে জানা যায় যে, স্বয়ং আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-কে জিব্রাঈল (আঃ) হেদায়াত চাইতে বলেছেন। অতএব যারা রাসূল (ছাঃ)-এর খাঁটি উম্মতের দাবীদার হবেন, তাদের সকলকেই হেদায়াত চাইতে হবে। কিন্তু আমরা যারা মহান আল্লাহর দরবারে প্রতিনিয়ত হেদায়াত চাই, তাদের চাওয়ার পথ ও পদ্ধতি কেমন তা একটু খতিয়ে দেখা দরকার। নইলে আমাদের চাওয়া ও পাওয়া সত্যিই সত্যি ব্যর্থ হবে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।

صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ‘সেসব লোকদের পথ যাদেরকে আপনি নে‘মত দান করেছেন’ (ফাতেহা ১/৬)। নে‘মতপ্রাপ্ত কারা? তাঁরা হ’ল-  مِّنَ النَّبِيِّيْنَ وَالصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاء وَالصَّالِحِيْنَ ‘নবীগণ, ছিদ্দীক্বগণ, শহীদগণ ও নেক্কারগণ’ (নিসা ৪/৬৯-৭০)।

আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেছেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ঐসব ফেরেশতা, নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ এবং সৎ লোকের পথে পরিচালিত করুন, যাদেরকে আপনি আপনার আনুগত্য ও ইবাদতের কারণে পুরস্কৃত করেছেন। ইবনু আববাস (রাঃ)-এর বর্ণনা থেকে আর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, মহান আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদত করার কারণে তাঁদেরকে আল্লাহ হেদায়াত দান করেছেন। অতএব আনুগত্য ও ইবাদত ব্যতিরেকেই যদি আমরা শুধু চাইতে থাকি তাহ’লে আমাদের চাওয়াটা শুধু চাওয়াই থেকে যাবে, সফলতা আসবে না। আর আনুগত্য এবং ইবাদত উক্ত হেদায়াত প্রাপ্তগণ যেভাবে, যে তরীকায় সম্পন্ন করেছেন ঠিক সেইভাবে হ’তে হবে। এখানে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নির্দেশ ব্যতীত কোন ইমাম, পীর, আলেম ও বুযর্গগণের শিখানো পদ্ধতিতে করলে তা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না।

غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّيْنَ

‘তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, তাদের পথেও নয় যারা পথভ্রষ্ট’ (ফাতেহা ১/৭)।

আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হয়েছে যে, مَغْضُوْبِ দ্বারা ইহুদী ও  ضَالِّيْنَ দ্বারা খৃষ্টানদের বুঝানো হয়েছে। অপর একটি হাদীছে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আদী বিন হাতেম এর এক প্রশ্নের জওয়াবে উক্ত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। কারণ ইহুদীদের গভীর জ্ঞান আছে কিন্তু আমল নেই, এজন্য তারা অভিশপ্ত এবং খৃষ্টানদের জ্ঞান নেই, তাই তারা পথভ্রষ্ট। খৃষ্টানরা যদিও একটা জিনিসের ইচ্ছা করে কিন্তু তারা সঠিক পথ পায় না। কারণ তাদের কর্মপন্থা ভুল এবং তারা সত্যের অনুসন্ধান হ’তে দূরে সরে পড়েছে। তবে অভিশাপের দিক দিয়ে ইহুদীরা একধাপ উপরে আছে। তাদের অভিশাপ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,

قَدْ ضَلُّوْا مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّوْا كَثِيْراً وَضَلُّوْا عَنْ سَوَاءَ السَّبِيْلِ-

‘তারা পূর্ব হ’তেই পথভ্রষ্ট এবং তারা অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে এবং তারা সোজাপথ হ’তে ভ্রষ্ট রয়েছে’ (মায়েদাহ ৫/৭৭)।

অনেকে বলে থাকেন যে, উক্ত আয়াত ও বিষয়টি ইহুদী ও খৃষ্টানদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, মুসলমানদের সাথে এর কি সম্পর্ক? আমার প্রশ্ন এখানেই কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চিতরূপে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের গতির উপর চলবে। তাদের সাথে তোমাদের চলনগতি এমন সাদৃশ্যযুক্ত হবে যে, মোটেই পার্থক্য থাকবে না। জনগণ জিজ্ঞেস করল, ইহুদী ও খৃষ্টানদের গতির উপর কি? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উত্তরে বললেন, হ্যাঁ, তাদেরই চলনগতির উপর। সুতরাং তাদের কথা ও কাজের সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য কর্তব্য।

আমরা নিশ্চিতরূপে জানতে পারলাম যে, উক্ত আয়াত ইহুদী-খৃষ্টানদের উদ্দেশ্যে নাযিল হয়েছে বটে কিন্তু এক শ্রেণীর নামধারী মুসলিম অবশ্য অবশ্যই ইহুদী-খৃষ্টানদের অনুসরণ-অনুকরণ করবেই। ছহীহ মুসলিমের অপর একটি হাদীছে রয়েছে- রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ততক্ষণ পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংগঠিত হবে না, যতক্ষণ না আমার উম্মতের একদল ইহুদী-খৃষ্টানের অনুকরণ করবে’।

জাহেলী যুগে জনগণের মধ্যে ইহুদী-খৃষ্টান আলেমদের খুবই প্রভাব ছিল। তাদের জন্য জনগণ উপঢৌকন দিত এবং ফকীর-দরবেশদের মাযারে বাতি জ্বালাবার উদ্দেশ্যে দান নির্দিষ্ট ছিল। এসব তাদের চাইতে হ’ত না; বরং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের নিকট পৌঁছে দিত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নবুওয়াতের পর ঐসব লোভ-লালসাই তাদের ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত রেখেছিল। হারাম ভক্ষণকারী এই দলটি নিজেরা হক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্যদেরকেও ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করত। তারা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করে দিয়ে জনগণকেও সত্যের পথ থেকে বিরত রাখত। আর মূর্খদের মাঝে বসে তারা চড়া গলায় বলত জনগণকে আমরা সত্যের পথেই আহবান করছি। অথচ এটা ছিল স্পষ্ট প্রতারণা। ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে এমন অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হবে যে, তাদের কোন বন্ধু ও সহায়ক থাকবে না।

তারা মানুষকে হেদায়াতের কথা বলে, হেদায়াতের রাস্তা দেখানোর কথা বলে নিজেরা মানুষের ধন-সম্পদ অবৈধ পন্থায় ভক্ষণ করে। তারা মানুষকে হেদায়াতের রাস্তা দেখাবে কিভাবে? অপরকে রাস্তা দেখানোর পূর্বে নিজেকে সঠিক রাস্তায় প্রতিষ্ঠিত করা উচিৎ নয় কি?
মহান আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّ كَثِيْراً مِّنَ الأَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُوْنَ أَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ،  وَيَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللهِ-

‘হে মুমিনগণ! অধিকাংশ আহবার এবং রুহবান (ইহুদী-খৃষ্টান আলেম ও ধর্মযাজক) মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে এবং আল্লাহর পথ হ’তে বিরত রাখে’ (তওবা ৯/৩৪)।

হাফেয ইবনু কাছীর বলেন, আলেম ও ছূফী-দরবেশ অর্থাৎ বক্তা ও আবেদদের বর্ণনা দেয়ার পর এখন আমীর, সম্পদশালী এবং নেতাদের অবস্থা বর্ণনা করা হচ্ছে যে, যেমন এই দুই শ্রেণীর লোকদের মধ্যে হীন প্রবৃত্তির লোক রয়েছে, তদ্রূপ এই তৃতীয় শ্রেণীর লোকদের মধ্যেও হীন ও সংকীর্ণমনা লোক রয়েছে। সাধারণতঃ মানুষের মধ্যে এই তিন শ্রেণীর লোকদের বিশেষ প্রভাব পড়ে থাকে। বহু সংখ্যক লোক তাদের অনুসারী হয়। সুতরাং যখনই এই তিন শ্রেণীর লোকের অবস্থা বিগড়ে যাবে তখন সাধারণ মানুষের অবস্থাও বিগড়ে যাবে। এ সম্পর্কে ইবনুল মুবারক (রহঃ) বলেন,

وَهَلْ اَفْسَدَ الدِّيْنَ اِلاَّ الْمُلُوْكُ وَاَخْبَارُ سُوْءٍ وَرُهْبَانُهَا-

‘দ্বীনকে বিগড়িয়ে থাকে বাদশাহগণ এবং নিকৃষ্ট ও হীন প্রকৃতির আলেম, ছূফী ও দরবেশগণ’। এখানে কথা হ’ল- আমরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত এবং অন্যান্য সুন্নাত, নফল ছালাতে সূরা ফাতেহা পাঠ ও বিভিন্ন দো‘আয় আল্লাহর নিকট হেদায়াত চাই, গুনাহ মাফ চাই। পক্ষান্তরে ঐ দেহমন নিয়ে খানকা, মাযার ও পীর-দরবেশের নিকট কি প্রার্থনা করতে যাই? এসব কি স্পষ্ট শিরক নয়? নাকি আমরা শিরক সম্পর্কে কোন জ্ঞানই রাখি না? আল্লাহ কি আমাদেরকে এত বড় বড় শিরক করার পরও হেদায়াত দিবেন?

পাঠকগণ! ফিরে আসি পূর্বের আলোচনায়। গযবপ্রাপ্ত ইহুদী ও জ্ঞানহীন মূর্খ খৃষ্টানদের আমল ও আক্বীদার অনুসরণ-অনুকরণ করবে এক শ্রেণীর মুসলিম। ভারতীয় উপমহাদেশে এক শ্রেণীর বড় বড় পীর, আলেম ও বুযর্গ দেখা যায়, যারা কুরআন ও হাদীছ নিয়ে গবেষণা করেন তারা কুরআনের তাফসীর করেন, বুখারী-মুসলিম, এমন কি কুতুবুস সিত্তার বাংলা অনুবাদ করেন, ব্যাখ্যা দেন, নিজে শিখেন, অপরকে শিক্ষা দেন, দেশ-বিদেশে তাদের নাম-ডাক ও সুনাম-খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু জীবনে কখনও কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপর আমল করেননি, কাউকে করতেও বলেননি। আর যারা কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়তে আগ্রহী, তাদের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করেন ও তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখান, সমাজে হেয় করার চেষ্টা করেন প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে হকপন্থীদেরকে জেল জরিমানা করানো এমনকি তাদেরকে দেশ ছাড়া করতে পারলে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চাওয়া ইত্যাদি কাজ কি ইহুদী-খৃষ্টানদের কর্ম নয়?

অথচ দাবী ও শক্তি বলে তারাই আহলেসুন্নাত ওয়াল জামা‘আত। আর যারা যোয়াল্লীন মার্কা মুসলিম- তারা অনেকেই কুরআন-হাদীছ মোতাবেক আক্বীদা পোষণকারীর ঘরে জন্মগ্রহণ করলেও তারা বাপ-দাদার রেখে যাওয়া আমল আক্বীদা ছাড়তে মোটেও রাযী নয়। তারা স্পষ্ট বিদ‘আত জানার পরও বলেন, আমাদের আগের বড় বড় আলেমরা কি সবাই তাহ’লে ভুলের উপর ছিলেন? তারা কি হাদীছ বুঝতেন না? বুঝলাম রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) করেননি কিন্তু করলে ক্ষতি কি? কাজ করলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? আল্লাহর নিকট চাইব, না তো কার নিকট চাইব? তারা বললেই হ’ল? করা যাবে না এর পক্ষে হাদীছ দেখাতে বল ইত্যাদি। কেউ বলেন যে, নিষেধ কোথায়?

মোটকথা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ কি ফায়ছালা দিচ্ছে সে কথা মুখে উচ্চারণ করাও যেন মহা অন্যায়। কুরআন ও ছহীহ হাদীছের কথা যারা বলেন, তাঁরা নাকি নতুন দল।

সত্য সন্ধানী বন্ধুগণ! আকাশের নীচে ও যমীনের উপর সত্য, সুন্দর ও ভাল কথায় যদি প্রমাণ করতে চান তাহ’লে বলতে হয়, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীগণ কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বাইরে এক বিন্দু পরিমাণ কোন আমল করেননি, যদি পৃথিবীর কোন মানব-মানবী প্রমাণ দেখাতে পারেন তাহ’লে তওবা করে সাথে সাথে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মেনে নিব ইনশাআল্লাহ।

কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মানদন্ডে প্রমাণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ কি নতুন দল? নাকি আমাদের আগের বড় বড় আলেমগণই পরের নতুন দল? চিন্তা-ভাবনা করে কথা বলা উচিৎ নয়কি? যারা বিদ‘আত করতে রাযী নয়, তারা যদি ইহুদী-খৃষ্টানদের দালাল হয়, আর সে দালাল যদি কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে মিথ্যা প্রমাণিত হয় তবে সে মিথ্যা ফৎওয়া কি নিজেদের উপর বর্তায় না? আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়াত দান করুন এবং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ বুঝার তাওফীক্ব দিন- আমীন!!

– যহূর বিন ওছমান


. তাফসীর ইবনে কাছীর, ১ম খন্ড, ১০৮ পৃঃ।

. ছহীহ মুসলিম, তাফসীর ইবনে কাছীর, ৮ম ও ৯ম খন্ড, পৃঃ ৬৮৪-৬৮৫।

. তাফসীর ইবনে কাছীর, ৮ম খন্ড, ৬৮৫ পৃঃ।

মন্তব্য করুন

আরও দেখুন
Close
Back to top button