বই: মুসনাদে আহমাদ (ইসলামিক ফাউণ্ডেশন; ১ম-২য় খণ্ড)
হাদীসে রাসূল (সা) সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য যেসকল ইমাম প্রাণান্ত পরিশ্রম করে গেছেন, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (র) তাঁদের মধ্যে অন্যতম। হাদীসের এই মুজতাহিদ হাদীরেস শরীয়াতী মাসআল-মাসায়েল সংগ্রহ অপেক্ষা প্রিয় রাসূল (সা)-এর হাদীস যাতে সঠিক অবস্থায় সংরক্ষণ করা যায়, এ ব্যাপারে অধিক দৃষ্টি দেন। তিনি হাদীসগুলোকে মুসনাদ তথা সাহাবায়ে কিরাম (রা)-এর নামানুসারে সন্নিবেশ করেছেন। এই পদ্ধতি হলো, বিষয়ভিত্তিক হাদীস না সাজিয়ে সাহাবীদের বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। প্রায় উনত্রিশ হাজারের এই বিশাল সংকলন ‘মুসানাদে আহমাদ’ যাকে ইলমে হাদীসের বিশ্বকোষও বলা হয়।
পরবর্তিতে আহমদ ইবন আবদুর রহমান ইবন মুহাম্মাদ আল-বান্না (র) এই মুসনাদ গ্রন্থটিকে অপরাপর হাদীস সংকলনের মতো বিষয়ভিত্তিক অধ্যায় ও পরিচ্ছেদে সুবিন্যস্ত করেন এবং এর নামকরণ করেন ‘আল-ফাতহুর রাব্বানী ফী তারতীবী মুসনাদি আল-ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল আশ-শায়বানী’। এটি ‘আল-ফাতহুর রাব্বানী’ নামে পরিচিত।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এই হাদীস গ্রন্থের দুইটি খন্ড অনুবাদ করেছে এবং প্রকাশ করেছে। বইটিতে অধ্যায় ভিত্তিক সাজানো রয়েছে। সেই সাথে হাদীসগুলি অন্য গ্রন্থে বর্ণিত হলে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ডাউনলোড:
Musnad_Ahmad_Part-1.pdf | 28.3 MB | |
Musnad_Ahmad_Part-2.pdf | 17.3 MB |
ইমাম বিন হাম্বল (র) এর হাসিদ সঙ্কলন কি ভাবে পাবো..? অবথা বর্তমানে এ্যাণ্ড্রয়েড মোবাইলে এ ধরনের কোনো অ্যাপস্ থাকলে জানাবেন।
ধন্যবাদ, এত সুন্দর বই আপলোড করার জন্য, জাযাকাল্লাহু খাইরান
যুবক এসে বলল, আমাকে যিনার অনুমতি দিন। অন্যরা ধমকাতে লাগল- এই তুমি কার সামনে কী বলছ? চুপ কর!
নবীজী ধমক দিলেন না। কাছে ডেকে নিলেন। বললেন-
-তোমার মায়ের সাথে কারো ব্যভিচার করা কি তুমি পছন্দ কর?
-আল্লাহ্র কসম, আপনার উপর আমার জান কোরবান হোক! কক্ষনো আমি এটা পছন্দ করব না, এটা হতে দিব না।
-কোনো মানুষই তার মায়ের সাথে কারো ব্যভিচার করাকে পছন্দ করবে না।
তোমার মেয়ের সাথে কারো ব্যভিচার করা কি তুমি পছন্দ কর?
-আল্লাহ্র কসম, আপনার উপর আমার জান কোরবান হোক! কক্ষনো আমি এটা পছন্দ করব না, এটা হতে দিব না।
-কোনো মানুষই তার মেয়ের সাথে কারো ব্যভিচার করাকে পছন্দ করবে না।
তোমার বোনের সাথে কারো ব্যভিচার করা কি তুমি পছন্দ কর?
-আল্লাহ্র কসম, আপনার উপর আমার জান কোরবান হোক! কক্ষনো আমি এটা পছন্দ করব না, এটা হতে দিব না।
-কোনো মানুষই তার বোনের সাথে কারো ব্যভিচার করাকে পছন্দ করবে না।
-তোমার ফুফুর সাথে কারো ব্যভিচার করা কি তুমি পছন্দ কর?
-আল্লাহর কসম, আপনার উপর আমার জান কোরবান হোক! কক্ষনো আমি এটা পছন্দ করব না, এটা হতে দিব না।
-কোনো মানুষই তার ফুফুর সাথে কারো ব্যভিচার করাকে পছন্দ করবে না।
তোমার খালার সাথে কারো ব্যভিচার করা কি তুমি পছন্দ কর?
-আল্লাহ্র কসম, আপনার উপর জান কোরবান হোক! কক্ষনো আমি এটা পছন্দ করব না, এটা হতে দিব না।
-কোনো মানুষই তার খালার সাথে কারো ব্যভিচার করাকে পছন্দ করবে না।
নবীজী তাকে আরো কাছে টানলেন। তার গায়ে হাত রেখে দুআ করে দিলেন-
اللهُمّ اغْفِرْ ذَنْبَهُ وَطَهِّرْ قَلْبَهُ، وَحَصِّنْ فَرْجَهُ.
আল্লাহ! আপনি তার গুনাহ ক্ষমা করে দিন। হৃদয়টা পবিত্র করে দিন। লজ্জাস্থানকে (অন্যায় কাজ থেকে) হেফাজতে রাখুন।
বর্ণনাকারী আবু উমামা রা. বলেন, এরপর সে আর কোনোদিন ব্যভিচারের দিকে ফিরেও তাকায়নি। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২২১১
উপরোক্ত হাদিসটির অথেন্টিক সোর্স বা লিংক প্রয়োজন একটু খুজে দিলে উপকৃত হবো
আপনি শাইখ মুয়াজ্জিনেেের সাইটে দেখতে পারেন। আমি পড়েছি ওখানে।
মন্তব্য…মুসনাদে আহাম্মক আরও খন্ডন দরকার 3 4