সংবাদ

শার্লি হেবদোর পর ফ্রান্সে ইসলাম গ্রহণ দ্বিগুণ বেড়েছে

কার্টুন পত্রিকা শার্লি হেবদোতে উগ্রপন্থীদের হামলার পর হামলাকারীদের নিন্দা করতে গিয়ে ফ্রান্স এবং ইউরোপজুড়ে ইসলামের সমালোচনার বন্যা বয়ে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, নতুন কারো ইসলাম গ্রহণ করা তো দূরের কথা, মুসলমানরাই সেখান হয়তো টিকে থাকতে পারবে না। ভয়াবহ বিষোদগারে মুসলমানদের জীবন অতীষ্ঠ হয়ে যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে উল্টা চিত্র। ওই ঘটনার পর ইসলাম গ্রহণের হার দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। ইমাম সাহেবরা জানাচ্ছেন, মসজিদে এসে ফরাসিরা কলেমা পড়ছেন।

গত সপ্তাহে এক নওমুসলিম আরটিএল রেডিওকে জানান, ‘ওই ঘটনাই আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করেছে, সবার কাছে সত্যিকারের ইসলামের রূপরেখা তুলে ধরেছে।’

ওই রেডিও’র ভাষ্যানুযায়ী, প্যারিসের গ্রেট মসজিদ ইসলামে ধর্মান্তরের ৪০টি সনদ বিতরণ করেছে।

গত বছর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২২টি। অর্থাৎ চলতি বছর ইসলাম গ্রহণের হার প্রায় ৫০ ভাগ বেড়ে গেছে।

স্ট্রাসবার্গ ও আবারভিলিয়ার্সেও ইসলাম গ্রহণের হার অনেক বেশি। এই দুটি নগরীতে ইসলাম গ্রহণ বেড়েছে ৩০ ভাগ। আর লিওঁ নগরীতে বেড়েছ ২০ ভাগ।

এসব শহরের মসজিদের ইমামরা বলছেন, নওমুসলিমদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তারা বিস্মিত। আরো বড় কথা হলো, নওমুসলিমদের মধ্যে বৈচিত্র্যও দেখা যাচ্ছে। তাদের একজন চিকিৎসক, একজন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল, একজন পুলিশ অফিসার। তারা সবাই গ্রেট মসজিদে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

শার্লি হেবদোতে হামলার কয়েক দিন পর ফরাসি পরিালক ইসাবেলে ম্যাটিতক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করেছিলেন। তার এই ঘোষণা ছিল অপ্রত্যাশিত, বিস্ময়কর।

প্যারিসে শার্লি হেবদোতে উগ্রপন্থীদের হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল। মহানবিকে (সা.) নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করার প্রেক্ষাপটে এই হামলা চালানো হয়।

এই হামলায় সমালোচনায় মুখর হয়েছিল মুসলিম দেশ আর সংগঠনগুলো। তারা বলেন, এ ধরনের হামলাকারীদের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা এ ধরনের কার্টুন না আঁকারও আহ্বান জানিয়েছেন।

 

নয়া দিগন্ত

মন্তব্য করুন

Back to top button