আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজ বন্ধ
ইসরায়েলের হামলার কারণে সব চোখ এখন গাজার দিকে। পুরো বিশ্ব যখন বোমায় বিধ্বস্ত গাজার ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়া শিশু-নারী-বৃদ্ধ-যুবার লাশ গুনতে ব্যস্ত, তখন ফিলিস্তিনের আরেক অংশ পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার খবর চাপা পড়ে যাচ্ছে।
পশ্চিম তীরের, বিশেষ করে জেরুজালেমে মুসলমানদের ওপর এখন ইসরায়েল যে উৎপীড়নের মাত্রা বাড়িয়েছে, তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তেমন কোনো গুরুত্ব পাচ্ছে না।
এর মধ্যে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজ এজেন্সি জানাচ্ছে, আল-আকসা মসজিদে গত পরপর পাঁচটি শুক্রবারে ফিলিস্তিনিরা জুমার নামাজ পড়তে পারেননি।
শিগগিরই তাঁরা সেখানে নামাজ পড়তে পারবেন, এমন আশাও নেই। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কোনো মুসল্লিকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ইহুদিরা প্রতিদিনই ঢুকছেন, এমনকি এই চত্বরে তাঁরা প্রার্থনাও করছেন।
আল-আকসায় মুসলমানদের নামাজ পড়তে না দেওয়ার এ ঘটনা শুধু ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য নয়, পুরো আরব বিশ্ব তথা মুসলিম বিশ্বের মুসলমানদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ উদ্বেগের পেছনে শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়; বরং রাজনৈতিক বিষয়ও বড় কারণ হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে উদ্বেগের বিষয়টি ফুটে উঠছে।