টেকনাফে ৪২ মুসলিম পরিবারকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা
টেকনাফে ৪২ মুসলিম নারী-পুরুষকে কৌশলে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টার অভিযোগে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ২৯ মার্চ সকালে টেকনাফ পৌরসভার পুরান পল্লানপাড়ার জাগ্রত তৌহিদী জনতার ব্যানারে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী বক্তারা বলেন, টেকনাফ থেকে দালালচক্র এসব নারী-পুরুষকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে কালীপুর ইউনিয়নের গুনগরি এলাকায় দিশারী ক্যাম্প নামে একটি সংস্থায় নিয়ে গিয়ে বনী ঈসরাঈলসহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাতের পর কিতাবুল মোকাদ্দস নামে একটি গ্রন্থ ধরিয়ে দেয়। চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল পরিচালিত প্রতিষ্ঠান দিশারী এনজিও। দিশারী এনজিও পরিচালক রুবেল তালুকদার বলেন, বাঁশখালীর দিশারী ক্যাম্পটি হিউম্যান রাইটসের কাজ করে, এ কাজ সংস্থার একটি অংশ। বাইবেল পিপলস ফাউন্ডেশন ও ওয়ে ইজ ট্রাস্টের পরিচালক মারটিন আবদুল মান্নান মৃধার নেতৃত্বে ধর্মান্তরিত করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। গত ১৮ মার্চ তাদেরকে প্রশিক্ষণের নামে টেকনাফ থেকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩ দিন তাদেরকে সেখানে রেখে উক্ত ধর্মের আচার্য্য শিখানো হয়। পরে তারা টেকনাফে ফিরে আসার পর এক পর্যায়ে এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুরান পল্লানপাড়া এলাকায় বসবাসকারী মোমেনা, বেলুজা, সনজিদার সাথে কথা বলে জানা যায়, একই এলাকার জাহেদ হোসেনের ছেলে নুরুল আলম, ছৈয়দ আলমের স্ত্রী নুরুনী টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৩ রোহিঙ্গা মুসলিম নারী-পুরুষকে হাঁস-মুরগির প্রশিক্ষণের নামে বাঁশখালীর ঐ স্থানে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ৫ জনকে কানাডায় নেয়ার প্রলোভন দেয়া হয়। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে বাড়ি তৈরিসহ মাসিক উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেয়া হয়। কিতাবুল মোকাদ্দস গ্রন্থের উপরে তোরাত শরীফ, জবুর শরীফ, নবীদের কাহিনী ও ইঞ্জিল কিতাব লিখা রয়েছে। মোঃ হারুন বাইলা নামে সেখানে যাওয়া এক ব্যক্তি জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে চাইলে তাকে বকাঝকা করা হয় এবং ওই ক্যাম্প থেকে তাদের কাউকে বের হতে দেয়া হতো না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেকনাফে লেদা রোহিঙ্গা বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে ধর্মান্তরের এ প্রক্রিয়া শুরু করেন। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এলাকার লোকজন। এ ঘটনায় তারা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে কৌশলে ধর্মান্তরিত চেষ্টার প্রতিবাদে ২৯ মার্চ সকালে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনকিলাব
আমাদের সরকারের চোখে এই সকল কু-দৃশ্য গুলো পড়ছে না কেন? জানি এই রকমের দৃশ্য গুলো ওরা দেখেও না দেখার ভান করবে। যাক এসব কথা। আসল কথাটা বলি….
আমরা সেই রাসূল(স.) এর উম্মত, যেই রাসূল(স.) বলেছিলেন, আমার একহাতে যদি সূর্য ও আরেক হাতে যদি চন্দ্র এনে দেয়া হয়। তারপরও আমি এই তাওহিদের পথ ছাড়বো না।
সুতরাং বেদ্বীন ও বেদ্বীনের দালালেরা শুনে নাও….. তোমাদের চক্রান্ত হচ্ছে শয়তানের চক্রান্ত। আর শয়তানের চক্রান্তের কাছে কোন মুমিন হারতে পারে না।
এটি চরম বাড়াবাড়ি ও ঔধ্যত্বের প্রকাশক। পশ্চিমা বিশ্বের জনসেবা ও মানবাধিকারের স্বপক্ষে ভূমিকার পেছনে লুকিয়া থাকা মুখোশ এটি। এদের মুখোশ উম্মীলিত হয়ে পড়েছে। একইভাবে মাদার তেরেসা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জনসেবার আড়ালে ধর্মান্তরিত করার কাজে নিজেকে ব্যাপৃত রেখে পশ্চিমী প্রভূদের মনযোগানোর কাজ করেছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশে। তাই দাজ্জালী শক্তির এই বন্ধুপ্রতিমদের বিরুদ্ধে কিত্বালের ফরমান জারী করে এদের জবাই করে দেয়া উচিত।