সংবাদ

মহানবীর কার্টুন মুদ্রণ অবৈধ ঘোষণা রাশিয়ায়

মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন ছাপানোকে অবৈধ ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে রাশিয়া। দেশটির গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিষয়ক সংস্থা রোসকোমনাদজর মহানবীর কার্টুন ছাপানোর বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এ ধরনের কাজ দেশের আইন ও নৈতিকতার বিরুদ্ধে যাবে। সংস্থাটি বলেছে, রাশিয়া এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে যে রীতিনীতি ও গণমাধ্যমের প্রথা অনুসরণ করে আসছে এ ধরনের কার্টুন ছাপানো তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে এ ধরনের অবমাননাকর কার্টুন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উস্কানি ছড়ানো বলে বিবেচিত হতে পারে যা রাশিয়ার আইনে অপরাধ।এছাড়া, এ ধরনের কার্টুন ছাপানো হলে তা রাশিয়ার গণমাধ্যম ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনেরও লঙ্ঘন হবে। সে কারণে এ ধরনের কার্টুন ছাপানো থেকে বিরত থাকতে রোসকোমনাদজর রুশ গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি ফ্রান্সের শার্লি এবদো ব্যঙ্গ ম্যাগাজিনে মহানবীর কার্টুন ছাপানোর পর তার প্রধান কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা করা হয় এবং এতে কার্টুনিস্টসহ ১২ জন নিহত হয়। কিন্তু এই ঘটনার পরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকা ওই কার্টুন ছেপে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উস্কানি বৃদ্ধি করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রুশ গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ সংস্থা এসব কথা বললো। বিশ্বের ধর্মীয় উস্কানিদাতাদের পথ অনুসরণ করে যাতে রাশিয়াতেও কেউ এ ধরনের অপকর্ম করতে সাহসী না হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে এবং এ ক্ষেত্রে রুশ সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্যই এই আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, পাকিস্তানের করাচিতে ফ্রান্সের ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি এবদোবিরোধী বিক্ষোভের সময় গুলিবিদ্ধ এএফপির ফটোগ্রাফার মারা গেছেন। তার নাম আফিস হাসান। তবে পুলিশের গুলিতে নাকি বিক্ষোভকারীদের গুলিতে তিনি মারা গেছেন, তা নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইসলামি জমিয়াত তালাবা নামের একটি সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। ফ্রান্সের ব্যঙ্গ সাময়িকী শার্লি এবদোতে হামলার পর তাদের নতুন সংখ্যায় আবারও মহানবী (সা.)-এর কার্টুন প্রকাশ করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে জমিয়াত তালাবা। গত শুক্রবারের এই বিক্ষোভে কয়েক শ’ মানুষ অংশ নেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ছোড়ে এবং জলকামান ব্যবহার করে।  পুলিশ আকাশের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে এ সময়। করাচি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খালিক শেখ দাবি করেছেন, তাদের ছোড়া গুলিতে এএফপির সাংবাদিক নিহত হননি। এদিকে বিক্ষোভকারীরাও দাবি করেছেন, তাদের মধ্যে কেউ গুলি ছোড়েনি।

ডন/ইনকিলাব

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button