স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবিতে জাতিসংঘে চূড়ান্ত প্রস্তাব আরব নেতাদের
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘে চূড়ান্ত প্রস্তাব পেশ করেছে জাতিসংঘের আরব প্রতিনিধি দল। সোমবার জাতিসংঘে উপস্থাপন করা ওই প্রস্তাবে এক বছরের মধ্যেই ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রেখেছে তারা। পাশাপাশি প্রস্তাবনায় ফিলিস্তিন জানিয়েছে, ২০১৭ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখ- অধিগ্রহণের অবসান দেখতে চায় তারা। ইসরাইল ও তার মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র না চাইলেও এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে অব্যাহত চাপ দিতে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, আব্বাস এবিষয়ে তার অবস্থান জানাতে ফোন করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে।
এদিকে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি প্রস্তাবনা গঠনমূলক ছিল না এবং তা ইসরাইলের নিরাপত্তা চাহিদা মোকাবেলার ব্যর্থ হয়েছে। ফিলিস্তিনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা সায়েব এরাকাত বলেছেন, দুটো স্বাধীন সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ রাষ্ট্রের কথা বলেছি আমরা। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা আশা করছে আজ বুধবার এই প্রস্তাবনার পক্ষে ভোটাভুটি হবে। গতকাল মঙ্গলবারও প্রস্তাবের উপর ভোট হওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইউরোপের কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে নিজেদের ইতিবাচক অবস্থান প্রকাশ করেছে। গত ১৩ অক্টোবর ভোট দিয়ে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা। ইসরাইলি বর্বরতা থেকে স্বাধীনতা পেতে দীর্ঘদিন ধরে যে সংগ্রাম করে আসছে ফিলিস্তিনিরা, গত ৩০ অক্টোবর সেই সংগ্রামকে স্বীকৃতি জানায় সুইডেন। সর্বশেষ ২ ডিসেম্বর ফ্রান্সের সংসদে এই দাবির পক্ষে ভোটাভুটি হয় এবং সেদিন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ফ্রান্স। উল্লেখ্য, নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘকালের স্বাধীনতা লাভের ন্যায্যদাবির প্রতি একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের প্রায় সকল প্রধান দেশ ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে সকল দুষ্কর্মের সহযোগী ব্রিটেনও এক কাতারে সামিল হয়েছে। এ অবস্থায় ইহুদিবাদী আগ্রাসী দেশ ইসরাইলের একগুয়েমির পরোয়া না করেই প্রয়োজনে ফিলিস্তিনের একতরফ স্বাধীনতা লাভ আর বেশিদিন ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।
রয়টার্স/ইনকিলাব