কা‘বা ঘরে বাংলাদেশী নারী খাদেমা
মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান বায়তুল্লাহ তথা কা‘বা গৃহ ২৪ ঘণ্টাই থাকে ইবাদতকারীদের ভিড়ে মুখর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদেমরা এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। তবে আনন্দের কথা হ’ল, এসব খাদেমদের মধ্যে বাংলাদেশী নারীরাও রয়েছে। ২০ বছর ধরে এখানে কাজ করছে বরিশালের মাসূদা বেগম ও জাহানারা এবং খুলনার সুলতানা। তাদের সঙ্গে আরো চার বাংলাদেশী নারী আছে। তবে তারা বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাননি। বরং তারা সঊদী প্রবাসী পিতা-মাতার সন্তান হিসাবে সেখানেই বড় হয়েছে। প্রথম তিনজন খাদেমা নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে এ দায়িত্ব পালন করছে। এ কাজ করতে পেরে তারা খুব আনন্দিত ও গর্বিত। নিরাপদ পরিবেশে কা‘বা গৃহের মতো পবিত্র মসজিদে কাজ করতে পারায় তারা নিজেদের সৌভাগ্যবান বলে মনে করে।
মাসূদা ও জাহানারা বলেছে, এখানে কাজের পরিবেশ খুবই ভালো ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। বেতন-বোনাস ছাড়াও তারা অন্যান্য বহু সুবিধা পেয়ে থাকে। নারীদের ছালাত আদায়ের জায়গা পরিষ্কার করা, ওযূখানা ছাফ রাখা, বিভিন্ন বুক সেলফে কুরআন মুছে গুছিয়ে রাখা, কার্পেট ছাফ রাখা ইত্যাদি নানা কাজ করতে হয় এখানে।
মাসূদা বলেছে, এখানে খুবই কড়াকড়ি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। একাকী কোথাও যাওয়ার নিয়ম নেই। বেতন পাওয়ার দিন কর্তৃপক্ষ সবাইকে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বাজারে নিয়ে যান প্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য ২০০৫ সালে মাসূদা পুরস্কৃতও হয়েছে। এখানে অধিকাংশ খাদেমা একত্রে সরকারী হোস্টেলে থাকে এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় কা‘বা ঘরে যাওয়া আসা করে।
Its really shameful that Such a wonderful and well informed and mostly well written site but no comments.
এটি আমার খুব প্রিয় একটি সাইট আপনারা ইসলামের সত্তিকার দিকটা আরও বেশি করে লিখুন।আমিন