পবিত্র কোরআনের মহিমা নিয়ে পার্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কর্তৃপক্ষ অনন্যসাধারণ একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। পবিত্র কোরআনের মহিমা প্রদর্শনে তারা একটি পার্ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এর নাম হবে ‘হলি কোরআন পার্ক’।
গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা আইএএনএসের খবরে জানানো হয়, প্রায় ৬০ হেক্টর এলাকা নিয়ে পার্কটি করা হবে। পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত সব ধরনের উদ্ভিদ এই বিশেষ পার্কে রাখার চেষ্টা করা হবে।
থিম পার্কটি দুবাইয়ের আল খাওয়ানিজ এলাকায় অবস্থিত। ইসলামি প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে পার্কটি বিশেষভাবে সাজানো হবে। পবিত্র কোরআনের নানা বিস্ময়কর মহিমা দর্শনার্থীর জন্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হবে পার্কে।
দুবাই পৌর কর্তৃপক্ষের প্রকল্প বিভাগের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুর মাশরাউম সম্প্রতি প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের কথা বিস্তারিতভাবে জানান। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ ডলার বা ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ ছয় হাজার টাকা। তবে চূড়ান্ত নকশা অনুমোদনের পর খরচ কিছুটা এদিক-সেদিক হতে পারে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে দুবাই পৌরসভার সাধারণ প্রকল্প বিভাগ।
উদ্যোক্তারা জানান, পার্কটিতে থাকবে একটি দৃষ্টিনন্দন প্রধান প্রবেশ পথ, একটি প্রশাসনিক ভবন, একটি ইসলামি বাগান, শিশুদের খেলার জায়গা, ওমরা কর্নার, একটি আউটডোর থিয়েটার, কোরআনের মহিমা প্রদর্শনের স্থান ও ফোয়ারা।
এর পাশাপাশি আরও থাকবে বাথরুম, একটি কাচের ভবন, একটি মরূদ্যান, একটি পাম বাগান, একটি লেক, একটি রানিং ট্র্যাক, একটি সাইক্লিং ট্র্যাক ও একটি হাঁটার ট্র্যাক।
পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের নাম উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডুমুর, ডালিম, জলপাই, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রশুন, মসুর, যব, গম, আদা, কুমড়া, তেঁতুল, কলা, শসা ইত্যাদি। এই উদ্ভিদের মধ্যে যেগুলো পাওয়া যাবে, তা পার্কে রাখা হবে।
কাচের ভবনে ১৫ ধরনের উদ্ভিদ লাগানো হবে। অন্যান্য উদ্ভিদ লাগানো হবে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট বাগানে।
পার্ক নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি, ট্র্যাক নির্মাণ, সার্ভিস ভবনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে শেষ হবে। তৃতীয় দফার কাজ শুরু হবে ২০১৪ সালের আগস্টে। পার্কের কাজ পুরোপুরি শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর।
– প্রথম আলো