ইহকাল-পরকাল

জালেমদের পরিণতি

আব্দুল্লাহ শাহেদ

ভূমিকাঃ المقدمة

বর্তমানে মানব সমাজে ব্যাপক আকারে জুলুম-নির্যাত ছড়িয়ে পড়েছে। পবিত্র কুরআন ও রাসূলের সুন্নাতে জুলুমকে হারাম ঘোষাণা করা হয়েছে। তার সাথে আবার জুলুমের নিন্দাও করা হয়েছে এবং এর ভয়াবহ পরিণামের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইমাম মুসলিম আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা হাদীছে কুদসীতে বলেনঃ

يا عبادي إني حرمت الظلم على نفسي وجعلته بينكم محرماً، فلا تظالموا

হে আমার বান্দাগণ! আমি জুলুমকে নিজের উপর হারাম করেছি এবং তোমাদের উপরও তা হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা পরস্পর জুলুম করবে না। রাসূল (সাঃ) আরও বলেনঃ

أتقوا الظلم فإن الظلم ظلمات يوم القيامة

তোমরা জুলুম থেকে বিরত থাকো। কেননা কিয়ামতের দিন জুলুমের পরণিাম হবে খুবই অন্ধকার। (মুসলিম)

জুলুম কাকে বলে? ما معنى الظلم

والظلم هو وضع الشيء في غير محله باتفاق أئمة اللغة

ভাষা বিদদের ঐক্যমতে কোন বস্তুকে তার আসল স্থানে না রেখে অন্য স্থানে রাখার নাম হচ্ছে জুলুম।

জুলুমের প্রকারভেদঃ أنواع الظلم

জুলুম প্রথমত তিন প্রকার।

১) আল্লাহর এবাদতের ক্ষেত্রে জুলুমঃ الظلم في العبادة

মানুষের উপর আবশ্যক হল তারা তাদের সকল এবাদকে সঠিক স্থানে রাখবে তথা এককভাবে আল্লাহর এবাদত করবে। কিন্তু অনেক মানুষ তা না করে তাঁর এবাদতে এমন এমন বস্তুকে শরীক করে থাকে, যা এবাদত পাওয়ার কোন অধিকারই রাখে না। যেমন মূর্তি, গাছ, পাথর, অলী-আওলীয়া ইত্যাদিকে মানুষ আল্লাহর সাথে শরীক নির্ধারণ করে থাকে। আমাদের বাংলাদেশসহ আরও অনেক মুসলিম দেশের মাজারগুলোতে যে ধরণের শির্কের বাজার জমে উঠেছে, তা সুস্পস্ট ও বিরাট একটি জুলুম। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ

নিশ্চয়ই শির্ক একটি বিরাট জুলুম। (সূরা লুকমানঃ ১৩)

২) বান্দা কর্তৃক তার নফসের উপর জুলুমঃ ظلم الإنسان لنفسه

মানুষ তার কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে নানা অপরাধ ও পাপকাজে লিপ্ত হয় এবং তাঁর প্রভুর নির্ধারিত সীমা লংঘন করে থাকে। সেই সাথে তারা ওয়াজিব ও ফরজ এবাদতগুলো পালনে অলসতা করে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

وَمَا ظَلَمَهُمُ اللّهُ وَلـكِن كَانُواْ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ

আর আল্লাহ তাদের উপর জুলুম করেন নি। কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুম করতো। (সূরা নাহলঃ ৩৩)

৩) আল্লাহর সৃষ্ট ও তাঁর বান্দাদের উপর মানুষের জুলুমঃ ظلم الإنسان لغيره من عباد الله ومخلوقاته

এই প্রকারের জুলুম হয়ে থাকে অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ আত্মসাৎ করা, মারপিট, গালিগালাজ ইত্যাদির মাধ্যমে। সাধারণত সমাজের দুর্বল ও অসহায়দের উপরই এ প্রকারের জুলুম বেশী হয়ে থাকে।

বান্দার পারস্পরিক জুলুমের কিছু নমুনাঃ صور من ظلم الإنسان لغيره من عباد الله ومخلوقاته

ক) কারও যমিন অন্যভাবে জবর দখল করাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

مَنْ ظَلَمَ قِيدَ شِبْرٍ مِنَ الْأَرْضِ طُوِّقَهُ مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ

“যে ব্যক্তি কারো অর্ধহাত জমিন জবরদখল করবে কিয়ামত দিবসে তার গলায় সাতটি যমিন ঝুলিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)

খ) অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ আত্মসাৎ করাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি কিয়ামতের দিন তোমাদের কাউকে এমন অবস্থায় দেখতে চাইনা যে, সে ঘাড়ে একটি চিৎকাররত ছাগল কিংবা ঘোড়া বহন করছে। সে আমাকে ডেকে বলছেঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করুন!! তখন আমি বলবঃ আমি তোমার কোন উপকার করতে পারবোনা। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি এবং তোমাদের কাছে আল্লাহর দ্বীন পৌঁছিয়ে দিয়েছি। তোমাদের কেউ যেন কিয়ামতের দিন গলায় এমন একটি উট ঝুলন্ত অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাৎ না করে যে উটটি আওয়াজ করতে থাকবে। সে বলবেঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন!! আমি তখন বলবঃ আমি তোমার কোন উপকার করতে পারবনা। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি এবং তোমাদের কাছে আল্লাহর দ্বীন পৌঁছিয়ে দিয়েছি। তোমাদের কেউ যেন কিয়ামতের দিন গলায় স্বর্ণ-রৌপ্য ঝুলন্ত অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাৎ না করে। সে বলবেঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন!! তখন আমি বলবঃ আমি তোমার কোন উপকার করতে পারবোনা। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি এবং তোমাদের কাছে আল্লাহর দ্বীন পৌঁছিয়ে দিয়েছি। তোমাদের কেউ যেন কিয়ামতের দিন গলায় কাপড়ের বোঝা ঝুলন্ত অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাৎ না করে। সে বলবেঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন!! তখন আমি বলবঃ আমি তোমার কোন উপকার করতে পারবনা। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি এবং তোমাদের কাছে আল্লাহর দ্বীন পৌঁছিয়ে দিয়েছি”। (বুখারী)

গ) বিনা কারণে কোন প্রাণীকে কষ্ট দেয়াঃ বিনা প্রয়োজনে কোন প্রাণী হত্যা করাও জুলুম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

عُرِضَتْ عَلَيَّ النَّارُ فَرَأَيْتُ فِيهَا امْرَأَةً مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ تُعَذَّبُ فِي هِرَّةٍ لَهَا رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الْأَرْضِ

“আমার কাছে জাহান্নামকে পেশ করা হল। তাতে দেখলাম বনী ইসরাঈলের একটি মহিলাকে একটি বিড়াল হত্যা করার অপরাধে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। উক্ত মহিলা বিড়ালটিকে বেধে রাখত। সে নিজেও বিড়ালকে কোন কিছু খেতে দেয়নি এবং যমিন থেকে পোকা-মাকড় ধরে খাওয়ার জন্য ছেড়েও দেয়নি। এভাবে ক্ষুধার তাড়নায় বিড়ালটি মৃত্যু বরণ করল।

ঘ) ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করাঃ মহান আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا

“যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমদের ধন-সম্পদ ভক্ষণ করে নিশ্চয় তারা স্বীয় উদরে অগ্নি ব্যতীত কিছুই ভক্ষণ করে না এবং সত্বরই তারা প্রজ্বলিত অগ্নিতে প্রবেশ করবে”। (সূরা নিসাঃ ১০)

ঙ) বিনা কারণে কাউকে হত্যা তরা, সুদ খাওয়া, মিথ্যা অপবাদ দেয়া ইত্যাদিঃ যারা বিনা কারণে এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

اجْتَنِبُوْاالسَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُنَّ قَالَ الشِّرْكُ بِاللَّهِ وَالسِّحْرُ وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَأَكْلُ الرِّبَا وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ وَالتَّوَلِّي يَوْمَ الزَّحْفِ وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ الْغَافِلَاتِ

“তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক বিষয় হতে বিরত থাকবে। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন সেগুলো কি কি? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা হলো (১) আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা (২) যাদু করা (৩) আল্লাহ তা’আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা। (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা (৬) যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করা (৭) সতী-সাধ্বী মু’মিন মহিলার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়া”।

এমনিভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, মানুষকে কষ্ট দেয়া, চুরি করা, কারও নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়া, শ্রমিকের অধিকার নষ্ট করা, আমানতের খেয়ানত করা, মানুষের গিবত করা, মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করা, ওয়াদা-অঙ্গিকার ভঙ্গ করাসহ আরও অসংখ্য জুলুম রয়েছে, যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।

রাষ্ট্রীয়ভাবে জুলুমঃ ظلم الحكومات

বর্তমান কালে যে জুলুমটি দিবালোকের মত সুষ্পষ্ট ও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে জুলুম। এ ক্ষেত্রে আমরা মুসলিম রাষ্ট্র প্রধান বা সরকারের পক্ষ হতে জন সাধারণের উপর যে জুলুম হচ্ছে তার কিছু উদাহরণ পেশ করার চেষ্টা করবো।

যুগে যুগে অনেক জালেম সরকার বা রাষ্ট্র নায়ক পৃথিবীর বুকে আগমণ করেছে। তাদের প্রত্যেকেই করুণ ও ভয়াবহ পরিণতির শিকার হয়ে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ফেরাউন ভেবেছিল সে দুর্বলের উপর জুলুম করে চিরস্থায়ী হতে পারবে। কিন্তু সে আল্লাহর পাকড়াও হতে রেহাই পায় নি। কুরআন বলছে, সকাল-বিকাল ফেরাউন সম্প্রদায়ের সামনে জাহান্নামের আযাব পেশ করা হয়। কিয়ামতের দিন তাদেরকে কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ করা হবে।

নমরুদ তাই ভেবেছিল। সেও একই ভাবে পৃথিবী হতে বিদায় নিয়েছে। এমনি আরও অনেক সৈরাচার পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে আল্লাহর বান্দাদেরকে কষ্ট দিয়ে শেষ রক্ষা পায়নি।

বর্তমান শতাব্দির মধ্যপ্রাচ্যের কতিপয় সৈরশাসকের কথাই বলি। তিউনিসিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদীনের নামটি খুবই সুন্দর। কিন্তু তার কাজগুলো শয়তানী কর্মকান্ড ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এই অহংকারী জালেম সমগ্র তিউনিসয়াকে একটি বিশাল জেলখানায় পরিণত করেছিল। এই জালেম ও সৈরাচার ভেবেছিল ক্ষমতায় সে চিরস্থায়ী হবে। তিউনিসিয়ার জমিন থেকে ইসলামের নাম নিশানা মিটিয়ে ফেলতে সে কোন প্রচেষ্টাই বাদ রাখে নি। ইসলাম পন্থীদের উপর যে নির্যাতন সে করেছে, তার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। সে তার রাষ্ট্রে মুসলিম মহিলাদের উপর হিজাবকে নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। কোন একজন আরব লেখক আফসোস করে বলেছেনঃ

زين العابدين منع في دولته الحجاب ففر مع زوجته متحجبةً إلى بلاد الحجاب

অর্থাৎ জয়নুল আবেদীন তার দেশে মহিলাদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করেছিল। পরিশেষে সে তার হিজাব পরিহিত স্ত্রীসহ হিজাবের দেশেই পলায়ন করতে বাধ্য হল (তার এক সময়কার বন্ধু ফ্রান্স এবং অন্যান্য রাষ্ট্র তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় সে তার হিজাব পরিহিত স্ত্রীসহ সে সৌদি আরবে পালিয়ে গিয়েছে)।

উপসংহারঃ الختام

পরিশেষে বলতে চাই, হে অন্যের উপর জুলুমকারী! জেনে রাখো, মজলুমের দুআ অচিরেই কবুল হবে। ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেনঃ

اتقوا دعوة المظلوم وإن كان كافراً؛ فإنه ليس دونها حجاب

তোমরা মজলুমের বদ দুআ থেকে বেঁচে থাকো। যদিও সে কাফের হয়। কেননা মজলুমের দুআ কবুল হওয়ার কোন অন্তরায় নেই।

সুতরাং হে জালেম! জুলুম থেকে বিরত হও। অন্যথায় অচিরেই মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে জুলুমের ফলাফল তোমাকে অবশ্যই ভোগ করতে হবে।

হে জালেম! তুমি আল্লাহর সেই বাণীকে স্মরণ কর, যেখানে তিনি বলেছেনঃ

وَلاَ تَحْسَبَنَّ اللّهَ غَافِلاً عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الأَبْصَارُ مُهْطِعِينَ مُقْنِعِي رُءُوسِهِمْ لاَ يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ وَأَفْئِدَتُهُمْ هَوَاء

জালেমরা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ্কে কখনও বেখবর মনে করো না। তাদেরকে তো ঐ দিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, যেদিন চক্ষুসমূহ অবনত হবে। তারা মস্তক উপরে তুলে ভীত-বিহ্বল চিত্তে দৌড়াতে থাকবে। তাদের দিকে তাদের দৃষ্টি ফিরে আসবে না এবং তাদের অন্তর উড়ে যাবে। (সূরা ইবরাহীমঃ ৪২-৪৩)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ

وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ

আর তোমার পরওয়াদেগার যখন কোন জুলুমপূর্ণ জনপদকে ধরেন, তখন এমনিভাবেই ধরে থাকেন। নিশ্চয় তার পাকড়াও খুবই মারাত্মক, বড়ই কঠোর। (সূরা হুদঃ ১০২)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ

وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ

জালেমরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ? (সূরা শুআরাঃ ২২৭)

সুতরাং হে জালেম! এখনও সময় আছে। আল্লাহর বান্দাদের উপর জুলুম করা থেকে ক্ষ্যান্ত হও। আল্লাহর কাছে তাওবা কর। তোমার জন্য এখনও তাওবার দরজা খোলা আছে। তাওবা করলে তোমার সকল অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

হে আল্লাহ! আপনি মজলুমদের দুআ কবুল করুন। জালেমদের পতনকে তরান্বিত করুন এবং তাদেরকে হেদায়াত করুন। দুর্বল ও অসহায়দেরকে সাহায্য করুন। আমীন।

মন্তব্য করুন

Back to top button