সংবাদ

ভারতে প্রতিদিন ৩২ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়

এক সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতে প্রতিদিন ৩২ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। ভারতে অনাহারী এবং অপুষ্টির শিকার লোকদের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার সমান। ভারতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪২ শতাংশেরই ওযন কম। এ সংখ্যা সাব-সাহারান আফ্রিকার প্রায় দ্বিগুণ। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কারণে সৃষ্ট রোগব্যাধিতে ভারতে দৈনিক ৩ হাযার  শিশু মারা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, পুরো জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নিলে ভারতের প্রায় ৫০ শতাংশ বা মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই অপুষ্টির শিকার। ২০১১ সালের ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স’ অনুযায়ী পৃথিবীর ৮৭টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ৬৭তম। ভারতের অবস্থা দুর্ভিক্ষপীড়িত রুয়ান্ডার চেয়েও খারাপ।

ভারতীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান নন্দী ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারত স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির মাত্র ১.২ শতাংশ ব্যয় করে থাকে। এটা পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে কম। ভারতের মধ্যপ্রদেশের চিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানে প্রতি ১ হাযার শিশুর মধ্যে ৫ বছর হওয়ার আগেই ১০৩টি শিশু মারা যায়। ইউনিসেফের হিসাবে, ভারতে ৫ বছর হওয়ার আগেই ১ হাযার শিশুর মধ্যে ৬৬ জন মারা যায়।

[অথচ ভারতেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনীদের বাস। পৃথিবীর ১ম ও ২য় ধনী ব্যক্তি ভারতের। ভারতের টাটা-বিড়লা, মিত্তাল, সাহারা প্রভৃতি ব্যবসায়ী গ্রুপ বিশ্বসেরা ব্যবসায়ী গ্রুপ বলে পরিচিত। পুঁুজিবাদী অর্থনীতি ও তার সহযোগী গণতান্ত্রিক রাজনীতির এটাই হল বাস্তব পরিণতি। ভারত হ’ল বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। আর এদেশটিই তাদের জনগণের রক্ত চুষে হাড্ডিসার করে দিচ্ছে। দিন দিন ফুলে স্ফীত হচ্ছে হাতে গণা কয়েকটি ব্যবসায়িক গ্রুপ। অবাধ পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক দর্শনই এজন্য দায়ী। অথচ প্রয়োজন ছিল অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার। যা কেবল ইসলামী অর্থনীতিতেই সম্ভব ]

মন্তব্য করুন

Back to top button