বৃক্ষ রোপণ ও সংরক্ষণের গুরুত্ব
বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বৃক্ষরোপণ করতে হবে। কেননা তাতে মানবজাতি ও প্রাণীকুলের বৃহত্তর কল্যাণ সাধিত হয়ে থাকে। তাই রাসূল (ছাঃ) বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষপরিচর্যার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি নিজ হাতে বৃক্ষরোপণ করেছেন। একে ইবাদত হিসাবে গণ্য করেছেন। তিনি তার উম্মতকে বৃক্ষরোপণ করতে বারবার তাকীদ দিয়েছেন। যাতে উদ্ভিদ বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য অক্ষুণ্ণ থাকে।
- একটি চারা থাকলেও তা রোপণ করতে হবে
- ছাদাক্বার অনন্য মাধ্যম বৃক্ষরোপণ
- রোপিত বৃক্ষের ফল চুরি হয়ে গেলেও তা ছাদাক্বা
- বৃক্ষরোপণ ‘ছাদাক্বায়ে জারিয়া’র মাধ্যম
- মুমিনের উপমা সবুজ বৃক্ষের ন্যায়
- বিনা প্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন নিষিদ্ধ
- বৃক্ষ নিধন আল্লাহর ক্রোধের কারণ
- ইকোসিস্টেমের পরিমিতিতে বৃক্ষ
- বৃক্ষরাজি ও প্রাণীজগত পরস্পর নির্ভরশীল
একটি চারা থাকলেও তা রোপণ করতে হবে
কারো কাছে একটি চারা থাকলেও তা রোপণ করার নির্দেশ দিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, إِنْ قَامَتِ السَّاعَةُ وَبِيَدِ أَحَدِكُمْ فَسِيلَةٌ فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لاَّ يَقُومَ حَتَّى يَغْرِسَهَا فَلْيَفْعَلْ، ‘যদি ক্বিয়ামত সংগঠিত হওয়ার সময়ও এসে যায়, আর তোমাদের হাতে একটি চারা গাছ থাকে, তাহ’লে বসা অবস্থায় থাকলে দাঁড়ানোর পূর্বেই যেন সে তা রোপণ করে দেয়’।১
ছাদাক্বার অনন্য মাধ্যম বৃক্ষরোপণ
বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ছাদাক্বার নেকী অর্জিত হয়। যেমন হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَبِى الدَّرْدَاءِ أَنَّ رَجُلاً مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْساً بِدِمَشْقَ فَقَالَ لَهُ أَتَفْعَلُ هَذَا وَأَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ لاَ تَعْجَلْ عَلَىَّ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ غَرَسَ غَرْساً لَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ آدَمِىٌّ وَلاَ خَلْقٌ مِّنْ خَلْقِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةً-
আবুদ্দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা তিনি দামেশকে বৃক্ষরোপণ করছিলেন। এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলল, আপনি এ কাজ করছেন, অথচ আপনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবী? তখন তিনি বললেন, আপনি ব্যতিব্যস্ত হবেন না। আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন বৃক্ষরোপণ করল, যা থেকে কোন মানুষ বা আল্লাহর কোন সৃষ্টিজীব ভক্ষণ করল, তাতে তার জন্য ছাদাক্বা রয়েছে’।২
অন্যত্র তিনি বলেন,مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا، فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ، إِلاَّ كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَةٌ، ‘কোন মুসলমান যদি বৃক্ষ রোপণ করে বা ফসল চাষাবাদ করে, অতঃপর তা থেকে পাখী, মানুষ অথবা চতুষ্পদ প্রাণী কিছু খেয়ে নেয়, তবে তার জন্য সেটি ছাদাক্বাহ হিসাবে গণ্য হবে’।৩
রোপিত বৃক্ষের ফল চুরি হয়ে গেলেও তা ছাদাক্বা
কারো গাছের ফল অন্য কেউ না বলে খেলেও ছাদাক্বা হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا إِلاَّ كَانَ مَا أُكِلَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا سُرِقَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ مِنْهُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا أَكَلَتِ الطَّيْرُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةً وَلاَ يَرْزَؤُهُ أَحَدٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةٌ- ‘কোন মুসলিম যদি বৃক্ষ রোপণ করে, অতঃপর তা থেকে যা কিছু খাওয়া হয় তা তার জন্য ছাদাক্বা স্বরূপ। যা কিছু চুরি হয়ে যায়, তা ছাদাক্বা। হিংস্র পশু যা খেয়ে নেয়, তা ছাদাক্বা। সেখান থেকে পাখী যা খায়, তা ছাদাক্বা। আর কেউ ক্ষতি সাধন করলে সেটাও তার জন্য ছাদাক্বা হিসাবে গণ্য হয়’।৪
বৃক্ষরোপণ ‘ছাদাক্বায়ে জারিয়া’র মাধ্যম
বৃক্ষরোপণকে ‘ছাদাক্বায়ে জারিয়া’ বা প্রবাহমান দান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, سَبْعَةٌ يَّجْرِي لِلْعَبْدِ أَجْرُهُنَّ وَهُوَ فِي قَبْرِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ، مَنْ عَلَّمَ عِلْمًا أَوْ كَرَى نَهَرًا أَوْ حَفَرَ بِئْرًا أَوْ غَرَسَ نَخْلاً أَوْ بَنَى مَسْجِدًا أَوْ وَرَّثَ مُصْحَفًا أَوْ تَرَكَ وَلَدًا يَسْتَغْفِرُ لَهُ بَعْدَ مَوْتِهِ ‘মানুষের মৃত্যুর পর তার কবরে ৭টি নেক আমলের ছওয়াব জারী থাকে। (১) যে ব্যক্তি (উপকারী) ইল্ম শিক্ষা দিল বা (২) খাল-নালা প্রবাহিত করল অথবা (৩) কূপ খনন করল বা (৪) ফলবান বৃক্ষরোপণ করল অথবা (৫) মসজিদ নির্মাণ করল বা (৬) কুরআনের উত্তরাধিকারী বানাল অথবা (৭) এমন সুসন্তান রেখে গেল, যে মৃত্যুর পর তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে’।৫
অপর এক হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) একদা উম্মে মা‘বাদের বাগানে প্রবেশ করেন। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে উম্মে মা‘বাদ! এ গাছ কে রোপণ করেছে? কোন মুসলমান, না কাফের? সে বলল, মুসলমান রোপণ করেছে। তখন তিনি বললেন,فَلاَ يَغْرِسُ الْمُسْلِمُ غَرْسًا فَيَأْكُلَ مِنْهُ إِنْسَانٌ وَلاَ دَابَّةٌ وَلاَ طَيْرٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةً إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، ‘কোন মুসলমান যদি বৃক্ষরোপণ করে, আর তা থেকে মানুষ কিংবা চতুষ্পদ প্রাণী অথবা পাখী কিছু ভক্ষণ করে, তবে ক্বিয়ামতের দিন পর্যন্ত তার জন্য তা ছাদাক্বা স্বরূপ থাকবে’।৬
মুমিনের উপমা সবুজ বৃক্ষের ন্যায়
সবুজ বৃক্ষের সাথে মুমিনের সাদৃশ্য বিষয়ে প্রসিদ্ধ একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যে,
عَنِ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَمَثَلِ شَجَرَةٍ خَضْرَاءَ، لاَ يَسْقُطُ وَرَقُهَا وَلاَ يَتَحَاتُّ. فَقَالَ الْقَوْمُ هِىَ شَجَرَةُ كَذَا هِىَ شَجَرَةُ كَذَا، فَأَرَدْتُ أَنْ أَقُولَ هِىَ النَّخْلَةُ. وَأَنَا غُلاَمٌ شَابٌّ فَاسْتَحْيَيْتُ، فَقَالَ : هِىَ النَّخْلَةُ. فَقَالَ عُمَرَ : لَوْ كُنْتَ قُلْتَهَا لَكَانَ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْ كَذَا وَكَذَا، مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘মুমিনের উপমা হ’ল এমন একটি সবুজ বৃক্ষের ন্যায়, যার পাতা ঝরে পড়ে না এবং মলিন হয় না। তখন কেউ বলল, এটি অমুক অমুক গাছ। তখন আমি বলতে চেয়েছিলাম যে, এটি খেজুর গাছ। তবে আমি অল্প বয়সী হওয়ায় বড়দের সামনে বলতে সংকোচ বোধ করলাম। তখন রাসূল (ছাঃ) বলে দিলেন যে, সেটি হ’ল খেজুর গাছ। অতঃপর ওমর (রাঃ) বললেন, তুমি যদি এটা সবার সামনে বলতে, তবে তা এত এত ধন-সম্পদ থেকেও আমার জন্য বেশী খুশীর কারণ হ’ত’।৭
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি বৃক্ষের পাতা, কান্ড, ছাল-বাকল, ফলমূল সবই যেমন আমাদের জন্য উপকারী, তেমনি প্রতিটি মুমিনের কথা-বার্তা, আচার-আচরণ, লেনদেন সবকিছুই অপর মুমিনের জন্য কল্যাণকর হওয়া উচিৎ। উল্লেখিত হাদীছে উক্ত শিক্ষাই দেওয়া হয়েছে।
বিনা প্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন নিষিদ্ধ
মহান আল্লাহর বিশেষ নে‘মত হ’ল বৃক্ষ। বৃক্ষ প্রাণীকুলকে রোদের প্রচন্ড উত্তাপ থেকে ছায়া প্রদান করে। আমরা যত সুস্বাদু ফল-মূল ভক্ষণ করি, সবই বৃক্ষ থেকে আহরিত। মানবদেহের মরণব্যাধি অনেক রোগের ঔষধ এই বৃক্ষের নির্যাস থেকেই তৈরী হয়। তাই প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) অপ্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন করাকে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করেছেন। যেমন তিনি বলেন, مَنْ قَطَعَ سِدْرَةً صَوَّبَ اللهُ رَأْسَهُ فِي النَّارِ ‘যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে কুল বৃক্ষ কর্তন করবে, আল্লাহ তাকে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন’।৮
হযরত আবুবকর (রাঃ) বৃক্ষ কর্তনের ব্যাপারে সাবধান করেছেন। যেমন তিনি ইয়াযীদ বিন আবি সুফিয়ানকে শামে প্রেরণের সময় বিনা প্রয়োজনে কোন ফলবান বৃক্ষ কর্তন করতে নিষেধ করেছিলেন (نَهَى أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ يَزِيدَ أَنْ يَّقْطَعَ شَجَرًا مُّثْمِرًا)।৯
বৃক্ষ নিধন আল্লাহর ক্রোধের কারণ
যারা নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করবে, তারা আল্লাহর ক্রোধের শিকার হবে। আল্লাহ বলেন,وَإِذَا تَوَلَّى سَعَى فِي الْأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيهَا وَيُهْلِكَ الْحَرْثَ وَالنَّسْلَ وَاللهُ لاَ يُحِبُّ الْفَسَادَ- ‘যখন সে ফিরে যায় (অথবা নেতৃত্বে আসীন হয়), তখন সে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির এবং শস্য ও প্রাণী বিনাশের চেষ্টা করে। অথচ আল্লাহ অশান্তি পসন্দ করেন না’ (বাক্বারাহ ২/২০৫)। সুতরাং আমরা যেন পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণী ধ্বংসের পাঁয়তারা করে আল্লাহর ক্রোধের শিকার না হই।
ইকোসিস্টেমের পরিমিতিতে বৃক্ষ
আল্লাহর বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে পরিমিতভাবে সৃষ্টি হয়েছে বৃক্ষ। প্রত্যেক সৃষ্ট বস্ত্ত বা বিষয়ের মধ্যেও আল্লাহ আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ বলেন,وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْبَتْنَا فِيهَا مِنْ كُلِّ شَيْءٍ مَّوْزُونٍ- ‘আর পৃথিবীকে আমরা বিস্তৃত করেছি এবং তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি। আর সেখানে আমরা প্রত্যেক বস্ত্ত উৎপন্ন করেছি পরিমিতভাবে’ (হিজ্র ১৫/১৯)। আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের মধ্যে বৃক্ষ এক অনন্য সৃষ্টি। এর রয়েছে বহুমুখী গুরুত্ব ও তাৎপর্য। বৃক্ষরাজি সহ সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেমকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা আবশ্যক। কেননা তাতেই নিহিত রয়েছে গোটা প্রাণী জগৎ, ভৌত জগৎ এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া। এখানে মানুষ একটি উপাদান মাত্র এবং তার কল্যাণের জন্যই প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেম অবশ্য প্রয়োজন। অন্যথা মনুষ্যজাতি নিজেও একদিন বিপন্ন ও বিলুপ্ত হয়ে পড়বে।
বৃক্ষরাজি ও প্রাণীজগত পরস্পর নির্ভরশীল
বৃক্ষরাজি ও প্রাণীজগতের মধ্যে এক গভীর সম্পর্ক। তাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা। বিশেষ করে মানুষ ও উদ্ভিদের পরস্পরের জীবনোপকরণের জন্য একে অন্যের ওপর পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। আল্লাহ মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় আসীন করেছেন। আর জগতের সবকিছুই তিনি কোন না কোনভাবে মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। বৃক্ষ বা তৃণলতাও মানুষের কল্যাণের জন্যই সৃজিত হয়েছে। আল্লাহ নিজেই এর গুরুত্ব সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,اَلَّذِي خَلَقَ فَسَوَّى، وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَى، وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَى، فَجَعَلَهُ غُثَآءً أَحْوَى- ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর বিন্যস্ত করেছেন। যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেন। অতঃপর তাকে শুষ্ক-কালো বর্জ্যে পরিণত করেন’ (আ‘লা ৮৭/২-৫)। আল্লাহ এখানে বৃক্ষরাজি ও প্রাণীজগতের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং পরিবেশের ভারসাম্যের কথা উল্লেখ করেছেন। যা পৃথিবীর জন্য অত্যাবশ্যক।
১. আহমাদ হা/১৩০০৪, সনদ ছহীহ।
২. আহমাদ হা/২৭৫৪৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪০০।
৩. বুখারী হা/২৩২০; মুসলিম হা১৫৫২/; মিশকাত হা/১৯০০।
৪. মুসলিম হা/১৫৫২ (৭)।
৫. বায়হাক্বী শো‘আব হা/৩১৭৫; ছহীহুত তারগীব হা/৭৩।
৬. মুসলিম হা/১৫৫২ (১০); আহমাদ হা/১৩০২২।
৭. বুখারী হা/১৩১; মুসলিম হা/২৮১১।
৮. আবুদাঊদ হা/৫২৩৯; মিশকাত হা/২৯৭০; ছহীহাহ হা/১৬১৪।
৯. বায়হাক্বী হা/১৮৬১৬; তিরমিযী হা/১৫৫২, সনদ ছহীহ।