ছাহাবী চরিত

আল-বারা’ ইবনে মারুর (রাঃ)

নাম আল-বারা’ এবং ডাক নাম আবু বিশ্র। মদীনাদর বিখ্যাত খাযরাজ গোত্রের বনু সালমা শাখার সন্তান। পিতা মা’রুর ইবন সাখার এবং মাতা আর রুবাব বিনতুন নু’মান। মা আউস গোত্রের নেতা হযরত সা’দ ইবন মুযাজের ফুফু। হযরত আল-বারা ইবন মারুর ছিলেন স্বীয় গোত্রের রয়িস বা নেতা। মদীনার বেশ কয়েকটি দুর্গ ও উদ্যান ছিল তাঁর মালিকানাধীন। তাঁর জন্ম সন সম্পর্কে বিশেষ কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

হযরত আল-বারা ইবন মারুর যে আকার সর্বশেষ বইয়াতের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। অনেকের মতে তিনি আকাবার প্রথম বাই‘য়াতে উপস্থিত ছিলেন এবং রাসূলূল্লাহর (সা) হাতে বাই‘য়াতে অংশ নিয়েছিলেন। ইবনুল আসীরও বর্ণনাটি নকল করেছেন। অনেকের মতে এই বর্ণনাটির কোন ভিত্তি নেই। একমত্র মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ব্যতিত আর কোন সীরাত বিশেষজ্ঞ এটি নকল করেননী। হযরত আল-বরা’ ইবন মারুর যে সময় ইসলাম গ্রহণ করেন তখন বাইতুল মাকদাস মুসলমাসদের কিবলা। মুসলমারা সে দিকে মুখ করে নামায আদায় করতে অনিচ্ছুক ছিলেন। একারণে তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কা’বার দিকে মুখ করে নামায আদায় শুরু করলেন। ইমাম যুহুরী বলেছেন: আল-বারা ইবন মারুর প্রথম ব্যক্তি যিনি জীবিত ও মৃত উভয় আবস্থায় কা’বার দিকে মুখ করেছেন। হযরত রাসূলে কারীম (সা) যখন বাইতুল মাকদাসের দিকে মুখ করে নামায আদায় করতেন, সে সমযও তিনি কা’বামুখী হয়ে নামায আদায় করেছেন। রাসূল (সা) একথা জানতে পেরে তাঁকে বাইতুল মাকদাসের  দিকে মুখ করতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আমাকে তোমার কা’বামুখী করে দাও। হযরত আল বারা ইবন মারুর আকাবার শেষ বাইয়াতের একজন সদস্য। এ বাইয়াতের অন্যততম সদস্য হযরত কা’ব ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন: হজ্বের মওসুমে, যে বার আমরা রাসূলুল্লাহর (সা) হাতে বাইয়াত করেছিলাম আমাদের কাওমের পৌত্তলিকদের সাথে আমারও মদীনসা থেকে বের হলাম। আমাদের সথে ছিলেন আমাদের বয়োঃজ্যেষ্ঠ নেতা আল বারা ইবন মারুর।যখন আমরা আল-বায়দা’র উপকণ্ঠে,তিনি আমাদের বললেন: এই তোমরা শোন! আমি একটি শিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। জানিনে তোমরা বামার সাথে একমত হবে কিনা। আমনা বললামঃ আবু বিশ্র! বলুন তে আপনার সিদ্ধান্ত কি? বললেনঃ আমি এই গৃহের (কা’বা) দিকে মুখ করে নামায আদায় করবো এবং তা কক্ষনো আমার টিছনে রাখবো না। আমরা বললামঃ আল্লাহর কসম! আপনি  এমনটি করবেন না। করণ, আমরা জানি, রাসূল (সা) কেবল শামের দিকেই মুখ করে নামায আদায় করেন। আমাদের এ অনুরোধের পরও তিনি বললেন: কসম আল্লাহর! আমি ঐদিকেই মুখ করে নামায আদার করবো! যখন নামাযের সময় হলো, তিনি কা’বা মুখী হয়ে দাঁড়ালাম শামের দিক মুখ করে! এভাবে আমরা মাক্কায় পৌচ্ছালাম।

মক্কায় পৌঁছে তিনি আমাকে বললেন: ভাতিজা!  আমাকে একটু রাসূলল্লাহর (সা) কাছে নিয়ে চলো।  আমি যা করেছি, সে বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাই। কারণ, তোমাদের বিরোধিতা করে আমি অন্তরে একটু অস্বস্তি বোধ করছি। কা’ব বলেন: আমরা রাসূলের (সা) খোঁজ বেরিয়ে পড়লাম। আবতাহ উপত্যাকায় এক ব্যক্তির দেখা পেলাম। তাকে বললাম: আমাদেরকে একটু মুহাম্মদের সন্ধান দিতে পরেন? আল্লাহর কসম! মোটেয় না। সে প্রশ্ন করলোঃ তোমরা কি আব্বাসকে চেন? বললাম: হাঁ, তা চিনি। তিনি মাঝে মাঝে তিজারাতের উদ্দেশ্যে আমাদের ওখানে যান তো। সে বললো : মসজিদে ঢুকতেই তোমরা আব্বাসকে দেখতে পাবে। তাঁর সাথে যে লোকটি বসা,তিনিই মুহাম্মদ।

কা’ব বলেন: আমরা মসজিদে ঢুকে দেখতে পেলাম, রাসূলুল্লাহ (সা) ও আব্বাস এক কোণে বসে আছেন। আমরা কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বসে পড়লাম। রাসূল (সা) ‘আব্বসকে লক্ষ্য করে বললেন: আবুল ফাদল! এ দুজনকে আপনি চেনেন। আব্বাস বললেন: হাঁ চিনি।ইনি আল-বারা ইবন মারুর তার গোত্রের নেতা।। আর ইনি কা’ব ইবন মালিক। রাসূল (সা) জিঞ্জেসা কররেন: সেই কবি কা’ব? আব্বাম বললেন হাঁ এবার আল-বারা বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি মদীনা থেকে আসার পথে একটি সিদ্ধান্তে পৌছেচ্ছি। আমার ইচ্ছা, সে বিষয়ে আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বললেন: তা বিষয়টি একটু পরিস্কার করে বল। আল-বারা বললেন: আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছে,এই গৃহকে (কাবা) আর কক্ষনো পেছনে রাখবো না। এ দিকে মুখ করেই নামায আদায় করবো। রাসূল (সা) তাঁকে বললেন: তুমি েয কিবরার ওপর ছিলে তার ওপর যদি একটিু ধৈর্য ধরে থাকতে। এরপর আল-বারা রাসূলের (সা) কিবলার দিকে ফিরে যান এবং আমাদের সাথে শামের দিকে মুখ করে নাময আদায় করের। তাঁর পরিবারের লোকেরা বলতো তিনি তাঁর কিবলার ওপরই মৃত্যুবরন করেছেন।

কা’ব বলেন: আমরা জানি তিনি রাসূলুল্লাহর (সা) কিবলার দিকে প্রত্যার্তবন করেছিলেন এবং আমাদের সাথে শামের  ুদিকে মুখ করে নামাযও পড়েছিলেন। তারপর আমরা আইয়্যামে তাশরীকের মাঝামাঝি সমায়ে আকাবায় রাসূলুল্লাহর (সা) সাথে মিলিত হওয়ার জন্য কথা দিলাম। আমাদের সাথে যে সকল মুষরিক (পৌত্তলিক) ছিল তাদের কাছে বিষয়টি গোপন রাখলাম। আমাদের সাথে জাবিরের বয়োবৃদ্ধ পিতা আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন হারাম ছিলেন। তিনি তখনও ইসলাম গ্রহণ করেননি। তবে তাঁর অল্পবয়স্ক ছেলে জাবির ইসলাম গ্রহন করেছিলেন এবং এই কাফিলায় ছিলেন।

কা’ব বলেনঃ আমরা সবাই মিলে আবদুল্লাহকে ঘিরে ধরে বললাম: জাবিরের আব্বা, আপনার জন্য আমদের দুঃখ হয়। আপনি যে বিশ্বাসের ওপর আছেন,তার ওপর যদি মারা যান তাহলে কালই এই আগুনের ইন্ধনে পরিনত হবেন। অথচ আল্লাহ একজন রাসূল পাঠিয়েছেন। তিনি আল্লাহর ওয়াহদানিয়্যাত ও ইবাদতের দিকে মানষকে আহবান জানাচ্ছেন। আপনার সম্পদ্রায়ের আনেক তাঁর প্রতি ঈমান এনে মুসলমান হয়েছে। আমরা রাসূলুল্লাহর (সা) হাতে বাই’য়াতের জন্য আঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি। আমাদের একথার পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং বাই’য়াতে শরীক হন। অবশেষ মিনার সেই প্রতিশ্র“তি রাতটি এসে গেলে। মানুষ যখন গভীর ঘুমে অচেতেন, আমরা মরুভূমির কাতা পাখির ন্যায় শয্যা ছেড়ে উঠে পড়লাম এবং এক সময় আকাবায়ে সমবেত হলা। রাসূল (সা) চাচা আব্বাসকে সংগে নিয়ে আসলেন। মুহাম্মাদ ্পামাদের মধ্যে কেমন আছেন, তা তোমরা জান। তিনি স^ীয় সম্পদায়ের মধ্যে সম্মান ও নিরাপত্তার মধ্যে আছেন। আমরা তাঁকে রক্ষা করেছি। কিন্তু তিনি তোমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে তোমাদের কাছেই যেতে চান। যদি তোমরা প্রতিশ্রুতি অঙ্গীকার পালন করতে পারবে বলে মনে কর তাহলে তাঁকে নিয়ে যাও। আর যদি অপমান ও লাঞ্জনার ভয় কর তাহলে তাকে নিজ কাওমে থাকতে দাও। তিনি তার নিজ সম্প্রদায়ের কাছে সম¥ান ও নিরাপত্তার মেধ্য আছেন।

আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! এবার আপনি কিছু বলুন। রাসূল (সা)বক্তব্য রাখলেন, আল্লাহর কাছে দুআ কররেন এবং কুরআনের কিছু অংশ তিলাওয়াত করলেন। তারপর আমরা রাসুলুল্লাহকে (সা) বললাম: আপনার নিজের ও আপনার রবের জন্য আমাদের নিকট থেকে বা’য়াত গ্রহণ করুন। রাসূল (সা) বললেন: আমি আপনাদের নিকট থেকে এই কথার ওপর বাই’য়াতে গ্রহণ করছি যে,যা থেকে আপনারা আপনাদের সন্তানের ও নরীরে রক্ষা করে থাকেন তাথেকে আমাকেও রক্ষা করবেন।

জবাবে আল-বারা ইবন মারুর বললেন: হাঁ যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, সেই সত্তার নামে শপথ, যা থেকে আমরা আমাদের জীবন ও নারীদের রক্ষা করি তা থেকে আপনাকেও রক্ষা করবো। অতপর আমরা রাসূলুল্লাাহর (সা) হাতে বাই’য়াত করলাম। আল-বারা ইবন মা’রুর আবেদন জানালেন:  ইয়া রাসূলুল্লাহর (সা) হতে বাই’য়্যত  করলাম। আল-বারা ইবন মারুর আবেদন জানালেন: ইয়া রাসূলুল্লাহর! আপনার হাতটি একটু বাড়িয়ে ুদিন আমরা বাইয়াত করি। রাসূল (সা) হতে বাড়িয়ে  দিলে তিনি হাতে হাত রাখেন এবং আমদের মধ্যে সর্বপ্রথম বাই’য়াতকারী তিনি। তারপর অন্যরা একের পর এক বাই’য়াত করতে থকে। ‘আকাবার শেষ বাই’য়াতে কে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহর (সা) হাতে হাত রেখে বাই’য়াত করেন সে সম্পর্কে মতভেদ আছে। বনু নাজ্জারের লোকেরা দাবী করেছেন, এ গৌরবের অধিকারী আস’য়াত ইবন যুরারা আর বনু আবদিল আশহালের লোকেরা দাবী করেছেন, আবুল হায়সাম ইবন আত-তায়্যিহান। তবে কা’ব ইবন মালিকের সূত্রে ইমাম যুহরী বলেছেন, এ অনন্য গৌরবের অধিকারী আল-বারা ইবন মারুর। এটি ছিল বনু  সালামার লোকদের বিশ্বাস। ইবন ইসহাকও একতাও বলেছেন। আল্লামা যিরক্লী বলেন: যে বার আনসাদের সত্তর জন ‘ আকাবায় রাসূলুল্লাহর (সা) সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর হতে বাইয়াত করেন। সেই বার সর্বপ্রথম আল-বারা ইবস মারুর আনসারদের পক্ষে থেকে রাসূলুল্লাহর (সা) সাথে কথা বলেন। বাইয়াতের পর রাসূল (সা) তাঁকে ও জাবিরের পিতা আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবস হারামকে বনু সালামার নাকঅব ঘোষনণা করেন। পূব্র্ইে উল্লেখ করা হয়েছে, এই শেষ আকাবায় প্রখ্যাত সাহাবী জাবির ইবন আবদিল্লাহর পিতা আবদুল্লাহ ইবন আমর ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম সময় হযরত আল-বারা তাঁকে দুই প্রস্থ পরিচ্ছন কাপড় দেন এবং তিনি তাই পরে কালেমা পাঠ করেন। শেষ আকাবাব বাইয়াতে যে সকল নেতার সাথে তাঁদের ছেলেও অংশগ্রহণ করেছিল, আল-বারা তাদের একজন। তার ছেলে বিশর ইবন আল-বারাও সেদিব বাই‘য়াত করেছিলেন।

নবুয়াতের দ্বাদশ বছরের জ্বিলহাজ্জ মাসে আকাবায়ে তিনি রাসূলুল্লাহর (সা) হাতে বাই‘য়াত করেন। এর মাত্র দুই মাস পরে সফর মাসে তিনি মদীনায় ইনতিকাল করেন। মৃত্যুর সময় আসীয়াত করে যান, আমাকে কাবার দিকে মুখ করে কবরে রাখবে, আর আমার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ রাসূলুল্লাহর (সা) জন্য থাকবে। তিনি যেখানে ভালো মনে করেন সেখানে খরচ করবেন। ইবন ইসহাকের মতে এটা রাসূলুল্লাহর (সা) মদীনায় আগমনের  পূর্বের ঘটনা। ইবনুল আসীরের এই মত সঠিক বলে মনে হয় না। কারণ তাঁর পূর্বে আরও দুই একজন মুসলানের মদীনায় মৃত্যুর কথা জানা যায়। তবে নকঅবদের মধ্যে সর্ব প্রথম তিনি ইনতিকাল করেন বলে আল্লামা  যিরিকলী  যে  মন্তব্য করেছেন তা সঠিক।

হযরত রাসূলে কারীম (সা) হিজরাত করে মদীনায় আসলেন। সাহাবীদের সংগে নিয়ে তিনি আল-বারা কবরে যান এবং চার তাকবীরে সাথে তাঁর জনাযার নামায আদায় করেন। আর যে সম্পদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর অনুকূলে  অসীয়াত করে গিয়েছিলেন, তা তিনি গ্রহন করে পুনরায় আল-বারা ছেলেকে দান করেন।

আবদুল্লাহ ইবনে আবী কাতাদাহ্ বলেছেনঃ মদীনায় আসার পার রাসূল (সা) সর্বপ্রথম আল-বারা ইবস মারুরের জানাযার নামায পড়ে। সংগীদের নিয়ে তিনি তাঁর কবরের কছে যান এবং কাতার বন্দী হযে তাঁর জন্য দু‘আ করেন:

(হে আল্লাহ, আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন, তাঁর প্রতি রহমত বর্ষণ করুন এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট হউন।)

অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (সা) তার জন্য এই বলে দু‘আ করেনঃ  হে আল্লাহ আপনি আল-বারা ইবন মা’রুরের প্রতি রহমত বর্ষন করুন। কিয়ামতের দিন আপনার ও তার মাঝে আড়াল না রাখুন এবং তাকে জান্নাতবসী করুন।)

হযরত আল-বারা মা-রুর (রা) সন্তানাদির তথ্য পাওয়া যায় না। সীরাতের গ্রন্থসমূহে শুধু এতটুকু পাওযা যায় যে বিশ্র নামে তার এক ছেলে ছিল এবং তিনি আকাবার শেষ বাইয়াতের শরীক হয়ে রাসূলুল্লাহর (সা) হাতে বাইয়াত করেছিলেন। হযরত আল-বারার মৃত্যার পর হযরত রাসূলে করীম (সা) তাকে বনু সালামর নেতা মনোনীত করেন। খাইবার যুদ্ধের সময় যয়নাব বিনতুল হারিস নাম্নী এক ইয়াহুদ মাহিলা ছাগলের গোশতের সাথে বিষ মিশিয়ে রাসূলুল্লাহকে (সা) খাওয়ায়। হযরত বিশরও সেই বিষ মিশ্রিত গোশত খেয়েছিলেন এবং তারই ক্রিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে হযরত আল-বারা ইবন মারুর (রা) ইসলাম গ্রহণের পরই মক্কার কা‘বাকে কিবলা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং মরণকালেও সেই দিকে মুখ করে কবর দেওয়ার জন্য অসীয়াত করে যান। তখনও কিন্তু ইসলাম কা’বকে কিবলা বলে ঘোষনা দেয়নি। কেন তিনি এননটি করেন? তিনি কি বুঝেছিলেন ভবিষ্যতে কা’বাই হবে ইসলামের কিবলা? তাঁর কী সৌভাগ্য যে পরবর্তীকালে তাঁর মৃত্যুর পর  অনেক পরে তাঁরই গৃহে রাসূলুল্লাহর (সা) অবস্থানের সময় আল্লাহ পাক  ওহীর মাধ্যমে কা’বাকে কিবলা হিসেবে ঘোষনা করেন এবং রাসূল (সা) তারই গৃহে সর্বপ্রথম মক্কার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেন।ঘটনাটি এই রকম: আল-বারা ইবন মারুরের স্ত্রী হযরত উম্মু বিশ্র (রা) আল-বারার বাড়ীতে হযরত রাসূলে করীমের (সা) জন্য একবার খাবার তৈরী করলেন। তিনি সেই খাবার খেয়ে সাহাবীদের নিয়ে জুহরের নামাযে দাঁড়িয়েছেন। দুই রাকায়াতে শেষ হতেই কা’বার দুকে মুখ করে নামায পড়ার নির্দেশ আসে। বাকী নামায তিনি কা’বার দিকে ফিরে আদায় করেন। এটা দ্বিতীয় হিজরীর শা’বান মতান্তারে রজব মাসের মাঝামাঝি মঙ্গলবারের ঘটনা।

আনসারী কবি আওন ইবন আইউব তাঁর একটি কাসীদায় আনাসরদের গৌরবসযয় কীর্তি কান্ড তুলে ধরেছেন। তারই একটি পংক্তিতে তিনি আল-বারা ইবন মারুর সর্বপ্রথম হিশাস পংক্তিটি তাঁর সীরাত গ্রন্থে সংকলন করেছেন। সীরাত বিশেষজ্ঞগণ আল-বারা ইবন মারুর (রা) নিন্মের পাঁচটি বৈশিষ্টের কথা উল্লেখ করেছেন।

– ড. মুহাম্মদ আবদুল মা’বুদ

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Back to top button