ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি নয় : সউদি আরব
যথক্ষণ না ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করছে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি পুরোপুরি একটি স্বাধীন দেশে পরিণত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করবে না সউদি আরব।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে হঠাৎ করে শান্তিচুক্তির পর বুধবারই (১৯ আগস্ট) প্রথম এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সউদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান এ কথা বলেছেন।
দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে সউদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না সৌদি আরব, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে। তৃতীয় কারো সঙ্গে চুক্তি করে ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়, ইসরায়েলকে সমঝোতায় আসতে হবে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে। জার্মানিতে সফরে থাকা সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বার্লিনে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আরব পিস ইনিশিয়েটিভের ভিত্তিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে সৌদি আরব। আমাদের জন্য এই একটি পথই খোলা আছে।’ উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১২ সালে সৌদি আরব ‘আরব পিস ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে। সেই প্রস্তাবের মৌলিক দুটি বিষয় হলো- রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত ১৯৬৭ সালের আগের ভূখণ্ড ফিলিস্তিনকে ফিরিয়ে দেওয়া।
এই দুটি শর্ত মানার ওপরই আরব বিশ্বের শান্তি নির্ভর করে বলে ওই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। সৌদি আরব নতুন করে শর্তগুলো মনে করিয়ে দিয়ে বলেছে, এই দুটি বিষয় বাস্তবায়ন হলে শুধু সৌদি আরব নয়, আরব বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস এর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইসরালের পশ্চিম তীরে স্থাপনা নির্মাণ, এলাকা আত্মীকরণসহ তাদের আচরণের সমালোচনা করেন।
ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য ইসরায়েলের যে কোনও ধরনের একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে হেয় করার শামিল বলে মনে করে সৌদি আরব।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সুসম্পর্ক থাকলেও গত এপ্রিলে মার্কিন একটি ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ইসরায়েলিরা শুধুমাত্র তাদের নিজ ভূখণ্ডেই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রাখেন।
সূত্র: রয়টার্স