সংবাদ

সেহরিতে ডাকতে যুদ্ধবিমান!

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। সেহরির জন্য রোজাদারদের জাগাতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। যুদ্ধবিমানের তুমুল শব্দে রোজাদারদের ঘুম ভাঙানো হবে সেহরি খাওয়ার জন্য।

এ রমজান থেকে এমনই একটি উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনী। রোজাদারদের জাগ্রত করা এবং নিজেদের প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে দেশটির বিমানবাহিনী এ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। খবর দ্য জাকার্তা পোস্টের।

৩০০টিরও বেশি নৃগোষ্ঠীর দেশ ইন্দোনেশিয়ার অঞ্চলগুলোতে নিজস্ব পদ্ধতিতে ডাকা হয় সেহরির জন্য। মসজিদের মাইক বা টিনের ড্রাম বাজানোর পাশাপাশি এখন থেকে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের আওয়াজেও ঘুম ভাঙবে দেশটির মুসলমানদের।

দেশটির বিমানবাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্টে জানানো হয়, সেহরির সময় জাভাদ্বীপের সুরাবায়া, সুরাকার্তা, ক্লাতেন, স্রাজেন ও ইয়োগইয়াকার্তায় বিমানবাহিনী পাইলটদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে।

বিমানবাহিনীর ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা সেহরির সময় রোজাদারদের ডেকে তুলতে যুদ্ধবিমান কাজে লাগাব।’

সম্প্রতি দেশটির বিমানবাহিনী জানায়, রমজান মাসে সেহরির সময় রোজাদারদের ডেকে তোলার যে রীতি দেশটিতে আছে, তাতে এবারে তারাও যোগ দিতে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বিমানবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সুস এম ইয়ুরিস জানান, শুধু সেহরির সময় মুসল্লিদের ডেকে তোলার জন্যই নয়, বরং রোজা অবস্থায় পাইলটদের যাতে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে না হয়, এর মাধ্যমে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীদের মতে, ভোরের সময়টুকু যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের জন্য যথার্থ সময়। অভুক্ত অবস্থায় সাধারণত সকাল ১০টার পরে প্রশিক্ষণকে নিরুৎসাহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, এ সময় থেকেই অভুক্তদের সুগার লেভেল নেমে যেতে থাকে।

তাই কর্নেল ইয়ুরিস বলেন, ‘ব্লাড সুগার লেভেল কম থাকাবস্থায় পাইলটদের যুদ্ধবিমান চালানোর ব্যাপারে বাধানিষেধ আছে।’

তাই এ উদ্যোগের মাধ্যমে পাইলটদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও সেহরির জন্য রোজাদারদের ডেকে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ায় আকাশের নিম্নস্তরে উড্ডয়নে সক্ষম যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট শব্দ তৈরি হয়, এমন বিশেষ যন্ত্রও ব্যবহার করা হবে।

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button