সচেতনতা

আব্দুল্লাহর বিয়ে ভাবনা

[১] দ্বীনদার-অবিবাহিত যৌবন কিন্তু সূরা ফুরকানের আয়াতটা জানে না এমন বান্দা বিরল। স্বয়ং আল্লাহ আযযাওয়াজাল শিখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে তাঁর কাছে কেমন জীবনসাথী চাইতে হবে। আসমান ও জমিনের একমাত্র দুয়া কবুলকারী দুআ শিখিয়ে দিলেন, তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ দুআ কবুলের এত এত খাস সময়ও জানিয়ে দিলেন, এরপরও একমাত্র সেই দুআ কবুলকারীর কাছে যথার্থরূপে না চেয়ে হাটে, মাঠে, বাজারে, সোশ্যাল মিডিয়ার ভাগাড়ে “শীত লাগে, শীত লাগে; লিবাস চাই, লিবাস চাই” বলে আস্ফালন করা সত্যিই দুঃখজনক।

অন্যান্য সকলকিছুর মতই যে কোনো বান্দারই বিয়ে করতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি প্রয়োজন, তা হল ‘আল্লাহর ইচ্ছা’। বাকি সমস্তকিছুই তো আল্লাহর ইচ্ছার অধীন। আর এ তো প্রত্যেক দ্বীনদার বান্দাই জানেন! কিন্তু সুবহান-আল্লাহ! কিছু বান্দা ইনিয়ে বিনিয়ে, শত কৌশলে আগানে বাগানে তা এমনভাবে নিজের বিয়ের ব্যাপার প্রচার করে বেড়ান যেন একাই মহাসমুদ্রে পড়েছেন! আমরা ‘তাকদিরে বিশ্বাস’ এর কথা বলি, আমরা সবরের কথা বলি; কিন্তু বাস্তবে তা যেন কেবল বুলিতেই থেকে যায়। “আল্লাহ রব্বুল আলামীন এখনও একজন জীবনসঙ্গী উপযুক্ত মনে করেন নাই, তাই বিয়েটা হচ্ছে না”, “আল্লাহর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে অটল থাকাই হল সবর” এই চিরন্তন বোধগুলো আমাদের কেন যেন হারিয়ে যায়।

[২] চারিদিকে ফিতনাহ অনেক বেশি বা শারীরিক কামনা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ার ভয় রয়েছে, গুনাহে জড়াবার ভয় রয়েছে, কিছু বান্দার বিয়ে কত্ত সুন্দর স্বপ্ন সত্যি হবার মত করে হয়ে গিয়েছে, মানসিক অশান্তি লাগছে – এমন ব্যাপারগুলো প্রায় সকল অবিবাহিত দ্বীনদার যুবক-যুবতীর জন্যই সত্য। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ এই কষ্টের কথা নিজমুখে বলে গিয়েছেন, সাথে সমাধানও দিয়ে গিয়েছেন! সেই সমাধান হল ‘সিয়াম’। ইন্দ্রিয়গুলোকে যখন বশে আনার সাথে সাথে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই সবর করা হয়, তখন আর-রহমান কেন সহজ করবেন না?

আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদীনগণ সিরিয়া, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তানের যেমন পরিবেশে থেকে, খেয়ে না খেয়ে আল্লাহর জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন তাদের কী পরিমাণ কষ্ট সইতে হয়? তাদের কি শীতের রাতগুলোতে গোসল ফরজ হয়ে যায় না? তাদের কেউ কেউ তো স্ত্রী-সন্তানদের ছেড়ে আল্লাহর রাস্তায় রয়েছেন। আজ আমাদের একপাশে ভারত মুসলিম হওয়ার জন্যই মুসলিম কুপোয়, আগুনে পোড়ায়, সাথে ভিডিও করে তা জানানও দিয়ে দেয়। আরেকপাশে দেখা যায় আরাকানের স্থানীয় মুসলিমদের কুপিয়ে, জ্বালিয়ে, চিড়ে, ফেড়ে হত্যা করা হয় – তাও এক মুসলিম হবার কারণেই। উম্মতের পরিস্থিতিগুলো নিয়ে চিন্তা করলে, আল্লাহর রাস্তার লড়াইরত বান্দাদের কথা চিন্তা করলে নিজেদের কষ্টগুলো কত ঠুনকো হয়ে যায়!

[৩] মুমিনদের কিছুটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ সাধারণেরা রাসূলুল্লাহকে ﷺ চেনে না, তারা দ্বীনদারদের থেকেই সজ্ঞানে-অজ্ঞানে দ্বীন নিতে থাকে। তাই মদের বারে গিয়ে সাধারণ পানি খাওয়ায় সমস্যা না থাকতে পারে, তাই বলে এমনটা তো বাঞ্চনীয় নয়। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়ার পরতে পরতে দ্বীনদারদের হালাল রোমান্সের রসে ভরা কাহিনীর সয়লাব। আদতে যে এতে কোনো কল্যাণ নেই, বরং আরও ফিতনাহের দরজা খুলে দেওয়া তা কেন আমাদের মাথাতেই আসে না! মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর ﷺ স্ত্রীগণের সাথে রোমান্সের হাদিসগুলোর বেশিরভাগেরই উৎস কেবলমাত্র তাঁর স্ত্রীগণ ছিলেন। পরবর্তীতে সাহাবাগণ জেনেছেন উম্মুল মু’মিনীনদের থেকেই। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়াদি সাহাবাদের বলে বেড়াতেন না। কিন্তু তাঁর নবুওয়্যাত পরবর্তী জীবনের সকল ক্ষেত্রই উম্মতের জন্য আদর্শ বলে, স্বামী-স্ত্রীর একান্ত সম্পর্কগুলোতেও সুন্নাহর অনুসরণ আল্লাহর নিকট প্রিয় ইত্যাদি কারণে রাসূলুল্লাহর ﷺ একান্ত মুহুর্তগুলোও গাম্ভীর্যের সাথে লিপিবদ্ধ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

কিন্তু আমার-আপনার মত মামুলি বান্দার হালাল রোমান্সের চটকদার বর্ণনা তো কারও সত্যিকার প্রয়োজন নেই। নিজেদের দ্বীনি তাহসান বা কাশেম বিন আবু বকরের খানিক দ্বীনি ভার্সন প্রমাণ করে কী ফায়দা!? সুবহান-আল্লাহ অবাক হতে হয় কিছু বান্দা কত সময় খরচ করে, কত শব্দ বুনে বুনে রসিয়ে রসিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট রোমান্সের স্বপ্নগল্প লিখে চলে। আবার কিছু বান্দা-বান্দী সেসব গোগ্রাসে গিলেও চলে দিনের পর দিন। আর যারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সত্যিকার খুনসুঁটিগুলোই পরবর্তীতে মানুষের কাছে ছড়িয়ে বেড়ায় তারাও তো স্পষ্ট ফিতনাহ সৃষ্টিকারী। উমার ইবনুল খাত্তাব (রদিয়াল্লাহু আনহু) যে একজন সাহাবাকে আলতো চড় দিয়ে জনস্মমুখে হালাল মানুষটির সাথেও ফিতনাহর উদ্রেক করা কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে নিষেধ করেছিলেন তা আমাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন। অথচ সেই সাহাবা কেবল কাছে গিয়ে নির্লিপ্তভাবে কথা বলিছিলেন!

হালাল রোমান্স হবে কেবলই নিজেদের মধ্যে। উৎফুল্ল হয়ে জনসম্মুখে রোমান্স করা বা সবার কাছে নিজ ঘরের রোমান্স কাহিনী বলে বেড়ানো মোটেও মুমিনসুলভ কাজ নয়। আগে তাও এমন গল্পগুলো অনেক কম পরিমাণে আসতো। কিন্তু আজ কিছু বান্দা যেন নিজেদের সেসব রচনায় উৎসর্গ করে দিয়েছেন। হালাল রোমান্স, নিকাহ তথা বিয়ের নানারকম অনেক পেইজ এসেছে। ফলে কিছু প্লাটফর্মের বিষয়বস্তুই হয়ে গিয়েছে হুজুরদের রোমান্সের রসালাপ। আর অবিবাহিত ভাইবোনেরাও এসব পেইজে নিয়মিত ঢুঁ মেরে নিজেদের জন্য ফিতনাহ আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, বিয়ের জন্য বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে কেবল কষ্ট বাড়াচ্ছেন।

[৪] নিজেদের রোমান্সের ঘটনাগুলোর আরেকটি আগ্রাসী দিক হল বদনজর। কত ভাইবোনের সুন্দর সংসার নিয়মিত মার্কেটিংয়ে চুরমার হয়েছে তা হিসেব করলে অবাক হতে হবে। দ্বীনদারদের মধ্যে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার হার অস্বাভাবিক বাড়ার পিছনে আরেকজনের হালাল রোমান্সের কাহিনী পড়ে বেড়ানো, নিজেদের সাথে তুলনা করা, নিজের রোমান্সের কাহিনী বলে কয়ে অজান্তেই বদনজর কুড়িয়ে বেড়ানো ইত্যাদি কারণই প্রধান ভূমিকা রাখছে। কিন্তু সালাফগণের ঘরের খবর বাহিরের কেউ অপ্রয়োজনে জানতোও না। আল্লাহুম্মাগফিরলি! আমাদের কতই না অধঃপতন হয়েছে!

[৫] বোনদের জন্য খাস কিছু পেইজ, গ্রুপ ইত্যাদি আছে। সেসবে নিয়মিত হানা দেওয়া, অবিবাহিত গায়েরে মাহরামকে ফলো করতে গিয়ে তার প্রতি দুর্বলতা তৈরি করে ফেলা – এসব যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। দ্বীনি বিশেষ প্রয়োজনে লিখা পড়া হতে পারে, কিন্তু সেগুলো যেন ‘দ্বীনি ক্রাশ’ বা নেক সুরতে শয়তানের ধোঁকা না হয়ে যায়। আর যার লিখা পড়ে পড়ে ‘ইমোশনালি এটাচড’ হয়ে যাচ্ছেন তিনি অবিবাহিত হলেও যে আপনারই জীবনসঙ্গী হবে তার তো কোনোই গ্যারান্টি নেই। সুবহান-আল্লাহ! এইরকম অ্যাটাচমেন্ট তো কেবল আপনার জীবনসঙ্গীর হক! আল্লাহকে যথার্থরূপে ভয় না করে, গোপন হায়া হারিয়ে ফেলে দ্বীনদার মহলও আজ এমন অধঃপতনে এসে নেমেছে।

একজন বেপর্দা নারী যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, তখন তার দিকে যতগুলো হারাম নজর পড়ে সবগুলোর সমান গুনাহ সে কুড়িয়ে নেয়। কারণ সে হল ফিতনাহের উৎস। তাহলে আমরা ভাইরা যারা নিয়মিত লিখালিখি করি আর বোনেরা দ্বীনি কারণে ফলো করে থাকেন তারা কেন অপ্রয়োজনে ছবি দিয়ে বোনদেরকে ফিতনাহের মুখে ঠেলে দিচ্ছি!? ফিতনাহের উৎস হয়ে গুনাহে জারিয়া করে চলেছি কেন?! আর নিজেদের লিখাতেও যদি স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বান্দা অবিবাহিত, বান্দা রোমান্টিক, সঙ্গীকে অনেক ভালবাসবো, রেসপেক্ট করবো এইসমস্ত কথা ফিতনাহ উদ্রেককারী হয়ে যায় তাহলে আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে নেওয়ার সময় এখনই। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের গোপন খবর জানেন। আল্লাহুম্মাগফিরলি।

ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা নিষিদ্ধ ভাললাগা বা প্রেম সম্পর্কে ‘আল উবুদিয়াহ’ কিতাবে যা লিখেছেন তা অনেক দ্বীনদারদের ‘দ্বীনি ক্রাশ’ এর জন্যও যেন সত্য হয়ে যায় –

“প্রেমের আরেকটি ধরণ হল – কারো মন পর নারী বা কোন যুবকের ভালোবাসায় নিমগ্ন হয়। সে তার প্রেমের বেদীমূলে তার সারা দেহ ও মন উজাড় করে দেয়। এরূপ প্রেমের পরিণতি কঠিন আযাব ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব লোক হতভাগা। এরা আল্লাহর রহমত থেকে সবচেয়ে দূরে আর আল্লাহর আযাবের সবচেয়ে নিকটবর্তী।

কেননা কোন প্রেমিক/প্রেমিকা যতক্ষণ ঐ রূপের ধ্যান ধারণায় ডুবে থাকে [আমাদের আলোচনায় তা রূপ, লিখনী বা অন্যকোনো বিষয়] এবং তার পূজারী হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত তার হৃদয় মন যে অসংখ্য কাজ ও খারাপ খেয়ালের বধ্যভূমি হয়ে থাকে তা কে জানে। যদি ধরে নেওয়া হয়, এ ব্যাপারে সে কোন বড় গুনাহে লিপ্ত হওয়া হতে বেঁচেও থাকে তবুও প্রিয়তমর কল্পিতরূপে তার হৃদয় মন সবসময় ডুবে থাকার মধ্যেই তার অনিষ্ট নিহিত।”

আল্লাহ এমন অবস্থা থেকে হিফাজত করুন।

আর বিনা প্রয়োজনে বা ফালতু প্রয়োজনে ইনবক্সে আলাপের কথা তো সকলেই জানেন, কিন্তু গোপনে কয়জনই বা আল্লাহকে ভয় করছি? আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। সাক্ষী হিসেবে তো আল্লাহই যথেষ্ট। কয়েকজন সীমালঙ্ঘনকারীর কথা জানা আছে যারা দ্বীনি সেজে পরবর্তীতে বোনদের জঘন্য পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছেন। আর এমন সম্ভাবনা না থাকলেও তো ফালতু প্রয়োজনে কথা জায়েজ নেই সুবহান-আল্লাহ!

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে তেমনিভাবে ভয় করো যেমনিভাবে ভয় করা উচিত…” [সূরা আল-ইমরান, ১০২]

[৬] নারীর ফিতনাহ বিয়ে করলেই সবসময় উবে যায় না। বরং স্ত্রী সন্তান হল আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনের ভয়ঙ্কর নিআমতগুলোর অন্তর্ভূক্ত যা সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ আযযাওয়াজালই আমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

“(হে নবী আপনি) বলে দিন, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, সন্তান, ভাই, পত্নী, গোত্র, তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, ব্যবসা যা তোমরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর  আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর রাহে জিহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়েত করেন না।” (সূরা তাওবাহ, ২৪)

 

সুবহান-আল্লাহ! লক্ষ্য করুন স্বয়ং আল্লাহ রব্বুল আলামীন যে বিষয়গুলো থেকে সাবধান করছেন তার কোনোটিই নাজায়েজ কিছু নয়। কিন্তু তিনি সীমারেখা দিয়ে দিলেন। বাস্তবে এমন অনেক ভাইদের দেখেছি যারা অবিবাহিত অবস্থায় বিয়ে বিয়ে করতেন, কিন্তু বিয়ের পর স্ত্রীই তার জন্য ফিতনাহে পরিণত হয়েছেন। আজকে জুলুম যখন ঘরের দরজায় পৌঁছাই কেবল বাকি রয়েছে তখনও আমরা হালাল রোমান্স আর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করাকেই জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে নিয়েছি। আল্লাহর কাছে তাঁর দ্বীন থেকে ফিরে যাওয়া হতে পানাহ চাই।

ইবনে তাইমিয়্যার ‘আল উবুদিয়াহ’ কিতাবের আরেকটি ছোট্ট কথা না বললেই নয় –

“যখন কোন ব্যক্তি কোন সুন্দরী নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়, শরীয়তের দৃষ্টিতে সে নারী তার স্ত্রীই হউক না কেন এরপর তার হৃদয় তার তরে বন্দী হয়ে থাকে। তার খুশিমত সে তাকে নাচায়। অথচ স্বামী হিসেবে সে বাহ্যতঃ তার মুরব্বি ও মুনিব। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে সে পুরুষ তার হুকুম বরদার ও আজ্ঞাবহ।”

 

আর আজ উম্মতের এই পরিস্থিতিতে উম্মতের নারীরা চাইলে যেখানে নিজেদের হায়া-আব্রুর সাথে কিছু দুনিয়াবি খাহেশাতের হিফাজত করে স্বামী সন্তানদের সালাহউদদীন আল-আইয়্যুবি হতে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন, তারা যদি কেবল নিজেদের কথা চিন্তা করে রোমান্স নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তবে কিন্তু নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবেন। কিছু বছর আগের সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন কিন্তু আমাদের আজকের এখানকার মতই ছিল।

আল্লাহ আমাদের নিয়্যাতগুলো পরিশুদ্ধ করে দিন। অবিবাহিত ভাইবোনদের যথাদ্রুত নেককার ও চক্ষুশীতলকারী জীবনসঙ্গীর তাওফিক দিন। ভাইবোনদের জন্য সহজ করুন এবং নির্ধারিত সময়ের আগে যথার্থরূপে সবরের তাওফিক দিন।


লিখেছেন : ভাই তানভীর আহমেদ [[আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দিন]]

মন্তব্য করুন

Back to top button