সচেতনতা

আমরা কি ডিসলেকশিয়া সম্পর্কে জানি?

ব্যাপারটা কী এমন?
– আপনার সন্তান বেশ বুদ্ধিমান, কিন্তু তার বয়সের অনুপাতে সে পড়া, লেখা বা বানানে তেমন ভালো নয়।
– বানান করার সময় ফোনেটিকস অনুসরণ করে লেখার চেষ্টা করে, আসল বানান ভুল করে।
– দিক চিনতে ভুল করে।
– একাধিক নির্দেশনা একসাথে দিলে অনুসরণ করতে পারে না।
– কোনো লেখা পড়ার সময় মনে হয় অক্ষরগুলো নাচছে।
– তাকে কেয়ারলেস হাবাগোবা বা বোকা মনে হয়।
– অথবা মনে হয় সে পারে কিন্তু চেষ্টা করছে না।
– মুখে পড়া ধরলে ভালো করে, কিন্তু লিখতে দিলে পারে না।
– আত্মবিশ্বাস খুব কম, পড়া না পেরে সহজে হাল ছেড়ে দিচ্ছে।
– ছবি আঁকা, অভিনয়, নাচ-গান, খেলা-ধূলা, গল্প বলা, লেগো দিয়ে সৃজনশীল কিছু বানানো, কোনো খেলনা খোলা আবার লাগানো, সৃজনশীল কাজে পারদর্শী।
– পড়তে পড়তে খেই হারিয়ে ফেলছে, মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে।
– বই পড়ে শেখার চেয়ে হাতে কলমে করলে ভালো শেখে।

আপনার সন্তানকে বকা দেয়ার আগে পরীক্ষা করুন, ওর ডিসলেকশিয়া আছে কিনা।
ডিসলেকশিয়া এক ধরণের রোগ যেসবে আক্রান্ত শিশুরা স্পেশাল কিন্তু গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতিতে তারা ভালো করে না।
অনেক শিশুই পরীক্ষায় ফল খারাপ করতে থাকে, পিছিয়ে যায় এবং আত্মবিশ্বাস আরো হারিয়ে পড়াশোনা শেষ করেই উঠতে পারে না।

আপনার শিশুকে সমালোচনা না করে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সে সত্যি ডিসলেকশিয়াতে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাকে সাহায্য করুন।

আরও দেখুন:  বাংলাদেশে শুধুমাত্র 'রাষ্ট্রধর্ম' নয়, রাষ্ট্রব্যবস্থা ইসলাম চাই

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

মন্তব্য করুন

Back to top button