আপনার শিশুর গ্যাজেট ব্যবহারের বিষয়ে আপনি কতটা সচেতন?
নাতাশা ক্লাস ফাইভে পড়ে, আর ক’মাস পরেই পিইসি দেবে। একসময়ের ভালো ছাত্রী নাতাশা ইদানিং ক্লাসের পরীক্ষায় ভালো করছে না। পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি রাতের ঘুমও কমে গেছে। চোখের নীচে কালি পড়েছে। সারাদিন কোন কাজ করতে ইচ্ছা করে না, পড়তেও আর ভালো লাগে না।
কিছুদিন আগে ওর মামা স্যামসাং এর একটা ট্যাব গিফট করেছিল নাতাশাকে। মজার মজার গেইমস আর এপসে ঠাসা ডিভাইসটা নিয়ে একবার বসলে আর উঠতে ইচ্ছা করে না। সারাদিন স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট পড়া নিয়ে ব্যস্ত নাতাশা ট্যাব নিয়ে বসার সময়ই পায় না। ট্যাবের নেশা হয়ে পড়াশোনায় যেন অবনতি না হয় – এব্যাপারে ওর বাবা-মা দুজনই বেশ সচেতন। তাদের নিষেধাজ্ঞার কারনে শুধু রাতে ঘুমানোর আগে ট্যাব হাতে বিছানায় যায়।
নাতাশার বাবা-মা যা জানে নাঃ
# যে সব শিশু রাতে স্মার্টফোন বা যে কোন ছোট স্ক্রিন দেখে ঘুমায়, তাদের প্রতিদিনের ঘুম গড়ে ২০.৬ মিনিট করে কমতে থাকে।
# মোবাইল বা ট্যাবের স্ক্রিনের উচ্চমাত্রার আলো মেলাটোনিন হরমোনের হ্রাস ঘটায় যা একজন শিশুর সারকেডিয়ান রিদম (circadian rhythm) বা ঘুম-জাগরণের স্বাভাবিক চক্রে ব্যাঘাত ঘটায়।
# বয়ঃসন্ধিকালের আগে এবং বয়ঃসন্ধিকালের সময়ে রাতে অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম তাদের দেহঘড়িতে প্রভাব ফেলে। যার ফলে ঘুমের সমস্যাসহ আরো নানান সমস্যা দেখা দেয়। অপর্যাপ্ত ঘুম আর বিশ্রামের কারনে পড়ালেখায় মনোযোগিতাও কমে যায়।
আপনার শিশুর গ্যাজেট ব্যবহারের বিষয়ে আপনি কতটা সচেতন?